মাওলানা ইসমাইল নাজিম
ইসলামের প্রচার-প্রসার মুমিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। এ কাজে যাঁরা ব্রতী হবেন, তাঁদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণের কথা পবিত্র কোরআনে আলোচিত হয়েছে। ইসলাম প্রচারকদের এসব গুণ থাকা আবশ্যক। দাওয়াত ও তাবলিগের মহান কাজ সফলভাবে আঞ্জাম দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব গুণের বিকল্প নেই। এখানে কয়েকটি গুণের কথা তুলে ধরা হলো—
সত্যবাদিতা: ইসলামের প্রচারককে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে। মিথ্যাচার করে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ পবিত্র কোরআনে মুমিনদের সত্য কথা বলার এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যদি তারা আল্লাহর সঙ্গে সত্য বলত, তাহলে তাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হতো।’ (সুরা মুহাম্মদ: ২১) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।’ (সুরা তওবা: ১১৯)
ধৈর্য ও সহনশীলতা: দাওয়াত ও তাবলিগের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির ধৈর্য ও সহনশীলতার গুণ অর্জন করতে হবে। দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত্ব তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
বিনয়-নম্রতা: বিনয়-নম্রতা ইসলাম প্রচারকের আবশ্যকীয় গুণ। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ফেরাউনের কাছে গিয়ে নরম ভাষায় দাওয়াত দেওয়ার কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা উভয়ে (মুসা ও হারুণ) ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয়ই সে সীমালঙ্ঘন করেছে। এরপর তার সঙ্গে নরম ভাষায় কথা বলো। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় পাবে।’ (সুরা ত্বহা: ৪৩-৪৪)
মার্জিত ভাষা: ইসলাম প্রচারকদের ভাষা হতে হবে অত্যন্ত মার্জিত ও ভদ্রোচিত। অসভ্য ও মূর্খের মতো কথা বলা দাওয়াত ও তাবলিগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
দয়ার্দ্র আচরণ: ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য মানুষের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা অন্তরে লালন করতে হবে। তাদের প্রতি কল্যাণকামী মনোভাব তৈরি করতে হবে। তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসূ হবে। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে বলেন, ‘আর আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছো। যদি তুমি কর্কশভাষী ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতে, তাহলে তারা তোমার পাশ থেকে সরে যেত। কাজেই তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও, তাদের জন্য ক্ষমা চাও এবং তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো।…’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
কথা-কাজে মিল: ইসলাম যাঁরা প্রচার করবেন, তাঁদের কথা ও কাজে মিল থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কথা ও কাজে মিল না পেলে মানুষ তাঁদের প্রতি আস্থা হারাবে। তাই তো ইসলাম প্রচারকদের উদ্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা নিজেরা পালন করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।’ (সুরা সফ: ২-৩)
এ ছাড়া একজন খাঁটি মুমিন হওয়ার জন্য যেসব গুণ দরকার, একজন খাঁটি দাঈ ও মুবাল্লিগ হওয়ার জন্যও তা দরকার। তাহলেই আমাদের দাওয়াতে সুফল মিলবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের প্রচার-প্রসার মুমিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। এ কাজে যাঁরা ব্রতী হবেন, তাঁদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণের কথা পবিত্র কোরআনে আলোচিত হয়েছে। ইসলাম প্রচারকদের এসব গুণ থাকা আবশ্যক। দাওয়াত ও তাবলিগের মহান কাজ সফলভাবে আঞ্জাম দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব গুণের বিকল্প নেই। এখানে কয়েকটি গুণের কথা তুলে ধরা হলো—
সত্যবাদিতা: ইসলামের প্রচারককে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে। মিথ্যাচার করে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ পবিত্র কোরআনে মুমিনদের সত্য কথা বলার এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যদি তারা আল্লাহর সঙ্গে সত্য বলত, তাহলে তাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হতো।’ (সুরা মুহাম্মদ: ২১) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।’ (সুরা তওবা: ১১৯)
ধৈর্য ও সহনশীলতা: দাওয়াত ও তাবলিগের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির ধৈর্য ও সহনশীলতার গুণ অর্জন করতে হবে। দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত্ব তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
বিনয়-নম্রতা: বিনয়-নম্রতা ইসলাম প্রচারকের আবশ্যকীয় গুণ। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ফেরাউনের কাছে গিয়ে নরম ভাষায় দাওয়াত দেওয়ার কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা উভয়ে (মুসা ও হারুণ) ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয়ই সে সীমালঙ্ঘন করেছে। এরপর তার সঙ্গে নরম ভাষায় কথা বলো। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় পাবে।’ (সুরা ত্বহা: ৪৩-৪৪)
মার্জিত ভাষা: ইসলাম প্রচারকদের ভাষা হতে হবে অত্যন্ত মার্জিত ও ভদ্রোচিত। অসভ্য ও মূর্খের মতো কথা বলা দাওয়াত ও তাবলিগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে ডাকো এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর পন্থায় বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহল: ১২৫)
দয়ার্দ্র আচরণ: ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য মানুষের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা অন্তরে লালন করতে হবে। তাদের প্রতি কল্যাণকামী মনোভাব তৈরি করতে হবে। তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসূ হবে। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে বলেন, ‘আর আল্লাহর রহমতে তুমি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছো। যদি তুমি কর্কশভাষী ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতে, তাহলে তারা তোমার পাশ থেকে সরে যেত। কাজেই তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও, তাদের জন্য ক্ষমা চাও এবং তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো।…’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
কথা-কাজে মিল: ইসলাম যাঁরা প্রচার করবেন, তাঁদের কথা ও কাজে মিল থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কথা ও কাজে মিল না পেলে মানুষ তাঁদের প্রতি আস্থা হারাবে। তাই তো ইসলাম প্রচারকদের উদ্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা নিজেরা পালন করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।’ (সুরা সফ: ২-৩)
এ ছাড়া একজন খাঁটি মুমিন হওয়ার জন্য যেসব গুণ দরকার, একজন খাঁটি দাঈ ও মুবাল্লিগ হওয়ার জন্যও তা দরকার। তাহলেই আমাদের দাওয়াতে সুফল মিলবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪