নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকা-১৮ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শেরীফা কাদের। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁদের পাশে রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আসনটির উত্তরা ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রচার-নির্বাচনী সভা-সমাবেশে এই চিত্রই দেখা গেল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা পূর্ব ও উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, ভাটারা থানার কিছু অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ আসন। এই আসনে এক সময় সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি মারা যাওয়ার পর সেখানে সংসদ সদস্য হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা হাবিব হাসান। তিনি এবার মনোনয়ন পাননি। এই আসনে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী (কেটলি প্রতীক), মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এসএম তোফাজ্জল হোসেন (ট্রাক প্রতীক) এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন (মোড়া প্রতীক)।
গতকাল সকালে দক্ষিণখানের ধোবাদিয়া এলাকায় প্রচার চালান জাপার লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শেরীফা কাদের। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। এখানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুয়েকজন নেতাকে দেখা যায়। দুপুরে দক্ষিণখানের কাচকুড়া বাজারে একটি অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন শেরীফা কাদের। সেখানে উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মামুন শিহাবকে দেখা যায়। এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে শেরীফা কাদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এর বেশি কিছু বলতে চাইছি না।’
দক্ষিণখানের গাওয়াইর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। তবে শেরীফা কাদেরের পোস্টার তুলনামূলক কম। এই এলাকায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় দেখা গেছে। তবে শেরীফা কাদেরের কোনো কার্যালয় দেখা যায়নি। দক্ষিণখানের মধ্যপাড়া ও মাস্টারবাড়ি এলাকাতেও প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের যখন দক্ষিণখানে প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন শুধু তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাই প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। তবে অন্য কোনো এলাকায় তাঁর পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়নি। যদিও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার। ওই প্রার্থীদের গতকাল দক্ষিণখানে না দেখা গেলেও তাঁদের প্রতিনিধিদের প্রচারে দেখা যায়।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া এই আসনে দলের এমন বিভক্তিকে সাদরে গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। বিভক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘লাঙ্গল না থাকলে নৌকার সঙ্গে স্বতন্ত্রের লড়াই হতো। সেখানেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নানা জনের হয়ে কাজ করত। আমাদের লক্ষ উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক ও আন্দন্দঘন নির্বাচন করা। যে যার সঙ্গে ইচ্ছা কাজ করুক। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অস্বস্তি নেই।’
তবে এই প্রচারে জনসাধারণের খুব একটা আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি। দক্ষিণখানের ধোবাদিয়া এলাকার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের পাশে কথা হয় সেখানকার বাসিন্দা কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু পোস্টার আর মাইকিং শুনি। কোনো প্রার্থী আসে না। ভোটের ব্যাপারে আর কী বলব। তবে এখানকার ভোটে এলাকার স্থানীয় প্রার্থী প্রাধান্য পাবে।’
সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকা-১৮ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শেরীফা কাদের। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁদের পাশে রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আসনটির উত্তরা ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রচার-নির্বাচনী সভা-সমাবেশে এই চিত্রই দেখা গেল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা পূর্ব ও উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, ভাটারা থানার কিছু অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ আসন। এই আসনে এক সময় সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি মারা যাওয়ার পর সেখানে সংসদ সদস্য হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা হাবিব হাসান। তিনি এবার মনোনয়ন পাননি। এই আসনে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী (কেটলি প্রতীক), মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এসএম তোফাজ্জল হোসেন (ট্রাক প্রতীক) এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন (মোড়া প্রতীক)।
গতকাল সকালে দক্ষিণখানের ধোবাদিয়া এলাকায় প্রচার চালান জাপার লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শেরীফা কাদের। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। এখানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুয়েকজন নেতাকে দেখা যায়। দুপুরে দক্ষিণখানের কাচকুড়া বাজারে একটি অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন শেরীফা কাদের। সেখানে উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মামুন শিহাবকে দেখা যায়। এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে শেরীফা কাদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এর বেশি কিছু বলতে চাইছি না।’
দক্ষিণখানের গাওয়াইর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। তবে শেরীফা কাদেরের পোস্টার তুলনামূলক কম। এই এলাকায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় দেখা গেছে। তবে শেরীফা কাদেরের কোনো কার্যালয় দেখা যায়নি। দক্ষিণখানের মধ্যপাড়া ও মাস্টারবাড়ি এলাকাতেও প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের যখন দক্ষিণখানে প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন শুধু তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাই প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। তবে অন্য কোনো এলাকায় তাঁর পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়নি। যদিও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার। ওই প্রার্থীদের গতকাল দক্ষিণখানে না দেখা গেলেও তাঁদের প্রতিনিধিদের প্রচারে দেখা যায়।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া এই আসনে দলের এমন বিভক্তিকে সাদরে গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। বিভক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘লাঙ্গল না থাকলে নৌকার সঙ্গে স্বতন্ত্রের লড়াই হতো। সেখানেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নানা জনের হয়ে কাজ করত। আমাদের লক্ষ উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক ও আন্দন্দঘন নির্বাচন করা। যে যার সঙ্গে ইচ্ছা কাজ করুক। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অস্বস্তি নেই।’
তবে এই প্রচারে জনসাধারণের খুব একটা আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি। দক্ষিণখানের ধোবাদিয়া এলাকার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের পাশে কথা হয় সেখানকার বাসিন্দা কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু পোস্টার আর মাইকিং শুনি। কোনো প্রার্থী আসে না। ভোটের ব্যাপারে আর কী বলব। তবে এখানকার ভোটে এলাকার স্থানীয় প্রার্থী প্রাধান্য পাবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪