সাত বছর পর ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে শহর। প্রধান সড়কে শোভা পাচ্ছে তোরণ।

পদপ্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। কারা পাচ্ছেন জেলার নতুন নেতৃত্ব, সেই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।

ইতিমধ্যে সভাপতি পদে তিনজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজনের নাম উঠে এসেছে আলোচনায়।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের ১৩টি সাংগঠনিক ইউনিটের অধীনে সব ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্মেলন করা হয়েছে। যদিও দু-একটা উপজেলার সম্মেলন এখনো করা সম্ভব হয়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে জেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও টাঙ্গাইল পৌর শহরের সব সড়কে শতাধিক তোরণ তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক হতে আগ্রহী নেতাদের পোস্টার, বিলবোর্ড সভাস্থল পর্যন্ত ইতিমধ্যেই লাগানো হয়েছে।

এদিকে সভাপতি ও সম্পাদক পদের জন্য অনেকেই উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তদবির করছেন। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক পুনরায় সভাপতি পদপ্রার্থী হবেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর খান মেনু ও শাহজাহান খান সভাপতি পদের জন্য গ্রুপিং-লবিং করে যাচ্ছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম পদে ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন। অপর দিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি ও নাহার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য।

এদিকে সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে নির্মাণাধীন সভাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন মহাসমাবেশে পরিণত হবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করবে। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে আবারও প্রমাণিত হবে।’