অর্চি হক, ঢাকা
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি সাপেক্ষে ফের যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২৮ অক্টোবর থেকে গ্রাহকেরা ইভ্যালির ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ইভ্যালি এবার তিন মডেলে ব্যবসা পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
গ্রাহক প্রতারণা ঠেকাতে ইভ্যালির কার্যক্রম নজরদারি করবেন উচ্চ আদালত। তদারকি থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও। নতুন যাত্রা নিয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৫ অক্টোবর কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দিতে তারিখ পিছিয়ে ২৮ অক্টোবর করা হয়েছে। এবার মুনাফা ছাড়া একটা পণ্যও বিক্রি করবে না ইভ্যালি।
ইভ্যালি এবার যে মডেলগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করবে, সেগুলো হলো পিক এন পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি। পিক এন পে মডেলে গ্রাহকেরা ইভ্যালির ওয়েবসাইট থেকে পণ্য অর্ডার করার পর নির্দিষ্ট আউটলেটে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে পণ্যটি সংগ্রহ করবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি মডেলে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করবে। আর ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি মডেলে পণ্য বুঝে পাওয়ার আগেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে এ মডেলেও গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
আজকের পত্রিকাকে সাঈদ আলী বলেন, ‘টাকা গেটওয়েতে জমা থাকবে। গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পরেই তা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে যাবে। তাই এবার গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের সুযোগ থাকছে না। গ্রাহক যেন প্রতারিত না হয়, আমরা সেটা দেখব। ইভ্যালির কার্যক্রমে আমাদের নজরদারি থাকবে। উচ্চ আদালতেও তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রতিবেদন নিয়মিত জমা দিতে হবে।’
ঢালাওভাবে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসার পর গত বছর জুলাইয়ে ইভ্যালির সদস্যপদ স্থগিত করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব)। নতুন যাত্রায় সেই সদস্যপদ ফিরে পেতে গত ১৩ অক্টোবর ইক্যাবে আবেদন করেছেন ইভ্যালি চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। চলতি মাসে ইক্যাবের নির্বাহী কমিটির (ইসি) বৈঠকে ইভ্যালির সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক (দাপ্তরিক) জাহাঙ্গীর আলম শোভন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ইভ্যালির সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা ইসি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেসব কারণে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল, তা সমাধান হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হবে। ইভ্যালির সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ইসির নয়জন সদস্যের মতামতের ওপর। তবে সদস্যপদ স্থগিত থাকলেও তাঁরা ব্যবসা করতে পারবেন।
গত বছর আগস্টের পর থেকে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্ধশতাধিক ই-কমার্সের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকমসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্সের মালিককে গ্রেপ্তারও করা হয়। বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্সগুলোর মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত কেবল কিউকম এবং ইভ্যালিই নতুন করে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। তবে কিউকম গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ প্রক্রিয়া শুরুর পরে ব্যবসায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ইভ্যালি গ্রাহকদের পাওনা প্রতিশোধ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ব্যবসায় ফিরছে।
গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ইভ্যালিকে কেন ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হলো জানতে চাইলে ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমরা যা করেছি আদালতের নির্দেশ মেনেই করেছি। রাসেলের পরিবারের কাছে ইভ্যালির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়াটাও আদালতের সিদ্ধান্তেই হয়েছে।’
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তার হন। এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন উচ্চ আদালত। নানা জটিলতায় গত ২০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব ছাড়ে মানিকের বোর্ড। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির দায়িত্ব নেয় পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড। বোর্ডে রয়েছেন শামীমা নাসরিন, তাঁর মা এবং বোনের স্বামী, ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি সাপেক্ষে ফের যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২৮ অক্টোবর থেকে গ্রাহকেরা ইভ্যালির ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ইভ্যালি এবার তিন মডেলে ব্যবসা পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
গ্রাহক প্রতারণা ঠেকাতে ইভ্যালির কার্যক্রম নজরদারি করবেন উচ্চ আদালত। তদারকি থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও। নতুন যাত্রা নিয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ১৫ অক্টোবর কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দিতে তারিখ পিছিয়ে ২৮ অক্টোবর করা হয়েছে। এবার মুনাফা ছাড়া একটা পণ্যও বিক্রি করবে না ইভ্যালি।
ইভ্যালি এবার যে মডেলগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করবে, সেগুলো হলো পিক এন পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি। পিক এন পে মডেলে গ্রাহকেরা ইভ্যালির ওয়েবসাইট থেকে পণ্য অর্ডার করার পর নির্দিষ্ট আউটলেটে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে পণ্যটি সংগ্রহ করবে। ক্যাশ অন ডেলিভারি মডেলে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করবে। আর ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি মডেলে পণ্য বুঝে পাওয়ার আগেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে এ মডেলেও গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
আজকের পত্রিকাকে সাঈদ আলী বলেন, ‘টাকা গেটওয়েতে জমা থাকবে। গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পরেই তা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে যাবে। তাই এবার গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের সুযোগ থাকছে না। গ্রাহক যেন প্রতারিত না হয়, আমরা সেটা দেখব। ইভ্যালির কার্যক্রমে আমাদের নজরদারি থাকবে। উচ্চ আদালতেও তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রতিবেদন নিয়মিত জমা দিতে হবে।’
ঢালাওভাবে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসার পর গত বছর জুলাইয়ে ইভ্যালির সদস্যপদ স্থগিত করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব)। নতুন যাত্রায় সেই সদস্যপদ ফিরে পেতে গত ১৩ অক্টোবর ইক্যাবে আবেদন করেছেন ইভ্যালি চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। চলতি মাসে ইক্যাবের নির্বাহী কমিটির (ইসি) বৈঠকে ইভ্যালির সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক (দাপ্তরিক) জাহাঙ্গীর আলম শোভন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ইভ্যালির সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা ইসি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেসব কারণে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল, তা সমাধান হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হবে। ইভ্যালির সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ইসির নয়জন সদস্যের মতামতের ওপর। তবে সদস্যপদ স্থগিত থাকলেও তাঁরা ব্যবসা করতে পারবেন।
গত বছর আগস্টের পর থেকে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্ধশতাধিক ই-কমার্সের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকমসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্সের মালিককে গ্রেপ্তারও করা হয়। বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্সগুলোর মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত কেবল কিউকম এবং ইভ্যালিই নতুন করে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। তবে কিউকম গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ প্রক্রিয়া শুরুর পরে ব্যবসায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ইভ্যালি গ্রাহকদের পাওনা প্রতিশোধ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ব্যবসায় ফিরছে।
গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ইভ্যালিকে কেন ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হলো জানতে চাইলে ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমরা যা করেছি আদালতের নির্দেশ মেনেই করেছি। রাসেলের পরিবারের কাছে ইভ্যালির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়াটাও আদালতের সিদ্ধান্তেই হয়েছে।’
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তার হন। এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন উচ্চ আদালত। নানা জটিলতায় গত ২০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব ছাড়ে মানিকের বোর্ড। এরপর আদালতের নির্দেশে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির দায়িত্ব নেয় পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড। বোর্ডে রয়েছেন শামীমা নাসরিন, তাঁর মা এবং বোনের স্বামী, ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে