ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগের পক্ষে ব্যবসায়ীদের মত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২২, ০৭: ১১
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১২: ১২

ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বহুমুখীকরণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, ‘এ খাতগুলো আরএমজি খাতের মতো বৃহৎ খাতে উন্নীত হতে পারে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুটিকয়েক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা হ্রাসে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে বর্তমানের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সে ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’

‘ফ্রম ব্লু ইকোনমি টু ব্লু গভর্নেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) উদ্যোগে আয়োজিত ওই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিয়েরে ফেলার। সহযোগিতায় ছিল যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটি।

সিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বিসিইর চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন চিটাগাং চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন ব্লু ইকনোমি সেলের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) এস এম জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব বে অব বেঙ্গল অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের পরিচালক কমোডর (অব.) ওয়াহিদ হাসান কুতুবউদ্দিন, পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অফিসার জু হল এবং যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিজনেস ইন্টারলিংকের সিইও ম্যাবস নূর।

মূল প্রবন্ধে পিয়েরে ফেলার ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন খাত, সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ব্লু গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্লু ফাইনান্সিং এবং সমুদ্র সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি আবশ্যক বলে উল্লেখ করেন।

ওয়েবিনারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বক্তারা সরকারের কাছে পাঁচ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন। সুপারিশগুলো হলো, যত শিগগির সম্ভব ব্লু ইকনোমি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা। বর্তমান ব্লু ইকনোমি সেলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ব্লু ইকনোমি কমিশনে রূপান্তরের বিষয় বিবেচনা করা। ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন খাত যেমন বন্দর পরিচালনা, লজিস্টিকস, উপকূলীয় পর্যটন, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ এবং অ্যাকুয়া কালচারের দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহী করার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অংশীদারত্বের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যৌথ কোম্পানি গঠনে উৎসাহী করা এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্রিন পোর্টে রূপান্তর করা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত