গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়া উপজেলার হরি নদীর স্লুইচ গেটটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় ৫২ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশাল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেচ প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করলেও নেই কোনো সুফল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৬১-৬২ সালে খুলনার হরি নদীতে নির্মাণ করা হয় ২১ ভেন্টের একটি স্লুইচ গেট। এর কিছু দুরে ৯ ভেন্টের আরেকটি স্লুইচ গেট স্থাপন করা হয়। সে সময়ে স্লুইচ গেটটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল ভবদহ এলাকার অর্ধশত বিলের ফসলকে বন্যা ও সাগরের নোনা পানি থেকে ফসল রক্ষা করা।
কিন্তু মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই ভরাট হতে থাকে হরি নদীর মাঝে দেওয়া স্লুইচ গেটটি। ধীরে ধীরে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে বর্তমানে ৫২টি গ্রাম জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর এই জলাবদ্ধ অবস্থা থেকে উত্তরণে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ভবদহ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১২ সালে সরকার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু সেই প্রকল্প কোনো কাজে আসেনি। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বাংলাদেশ কষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরে পুনরায় শুরু করে সেচ কার্যক্রম। কিন্তু মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবদহ স্লুইচগেট দিয়ে সেচ পাম্পে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। তাই স্থানীয়রা এ পদ্ধতিকে সাগরে ঢিল দিয়ে মাছ ধরার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এ ছাড়া বছর দু-এক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প জমা দেয় যা বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের জন্য আরও ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
ভবদহ অঞ্চলের বিল কেদারিয়া পাড়ের বাসিন্দা সত্য বিশ্বাস বলেন, ‘সেই ৮০ সালের দিকে ভবদহে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ ৪০ বছর হয়ে গেলেও নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। বরং দিনের পর দিন জলাবদ্ধতা বাড়ছে। সরকারের বরাদ্দ যা আসছে তা প্রভাবশালীরা লুট করছে।’
হাটাগাছা গ্রামের গৃহবধূ অনামিকা বিশ্বাস বলেন, ‘ঘরের চারপাশে জল। কিন্তু একটুও খাওয়ার উপযোগী পানি নেই। গরু ছাগল হাস-মুরগি ঘরেই থাকে। ঘরের নিচ দিয়ে মাছ বেড়ায়। কিন্তু তা ধরে খাওয়ার কোনো উপায় নেই। সেই মাছের ওপরও প্রভাবশালীদের অধিকার।’
বিএডিসির যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেচ বিভাগ) আবদুল্লাহ আল রশিদ জানান, এ অঞ্চলের বিলে ফসল ফলাতে ও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পাউবোকে বিএডিসি ৩০ এইচপি (হর্স পাওয়ার) পাওয়ারের ২০টি পাম্প সরবরাহ করে। যা রক্ষণাবেক্ষণে বিএডিসির ৮ জন শ্রমিকসহ একজন উপ-প্রকৌশলী সেখানে সার্বক্ষণিক দেখভাল করে থাকেন।
পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসির কাছ থেকে ২০টি পাম্প পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় কম। তাই আরও বড় পাম্প নিতে ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ের ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২ বছর আগে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পড়ে আছে। সেটিরও অনুমোদন মেলেনি।’
স্থানীয় ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে হরি নদী খননসহ এর শাখা ও উপশাখা খননের কোনো বিকল্প নেই। ভবদহের জল হরি নদী দিয়ে ভদ্রা, ঘ্যাংরাইল হয়ে শিপসা নদীতে পড়ে সাগরে যাওয়ার রাস্তা আছে। তাই ভবদহ বিলের মধ্যে থাকা সব বাঁধ অপসারণ করতে হবে।’
ডুমুরিয়া উপজেলার হরি নদীর স্লুইচ গেটটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় ৫২ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশাল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সেচ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেচ প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করলেও নেই কোনো সুফল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৬১-৬২ সালে খুলনার হরি নদীতে নির্মাণ করা হয় ২১ ভেন্টের একটি স্লুইচ গেট। এর কিছু দুরে ৯ ভেন্টের আরেকটি স্লুইচ গেট স্থাপন করা হয়। সে সময়ে স্লুইচ গেটটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল ভবদহ এলাকার অর্ধশত বিলের ফসলকে বন্যা ও সাগরের নোনা পানি থেকে ফসল রক্ষা করা।
কিন্তু মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই ভরাট হতে থাকে হরি নদীর মাঝে দেওয়া স্লুইচ গেটটি। ধীরে ধীরে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে বর্তমানে ৫২টি গ্রাম জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর এই জলাবদ্ধ অবস্থা থেকে উত্তরণে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ভবদহ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১২ সালে সরকার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু সেই প্রকল্প কোনো কাজে আসেনি। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বাংলাদেশ কষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরে পুনরায় শুরু করে সেচ কার্যক্রম। কিন্তু মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবদহ স্লুইচগেট দিয়ে সেচ পাম্পে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। তাই স্থানীয়রা এ পদ্ধতিকে সাগরে ঢিল দিয়ে মাছ ধরার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এ ছাড়া বছর দু-এক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্প জমা দেয় যা বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের জন্য আরও ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
ভবদহ অঞ্চলের বিল কেদারিয়া পাড়ের বাসিন্দা সত্য বিশ্বাস বলেন, ‘সেই ৮০ সালের দিকে ভবদহে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ ৪০ বছর হয়ে গেলেও নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। বরং দিনের পর দিন জলাবদ্ধতা বাড়ছে। সরকারের বরাদ্দ যা আসছে তা প্রভাবশালীরা লুট করছে।’
হাটাগাছা গ্রামের গৃহবধূ অনামিকা বিশ্বাস বলেন, ‘ঘরের চারপাশে জল। কিন্তু একটুও খাওয়ার উপযোগী পানি নেই। গরু ছাগল হাস-মুরগি ঘরেই থাকে। ঘরের নিচ দিয়ে মাছ বেড়ায়। কিন্তু তা ধরে খাওয়ার কোনো উপায় নেই। সেই মাছের ওপরও প্রভাবশালীদের অধিকার।’
বিএডিসির যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেচ বিভাগ) আবদুল্লাহ আল রশিদ জানান, এ অঞ্চলের বিলে ফসল ফলাতে ও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পাউবোকে বিএডিসি ৩০ এইচপি (হর্স পাওয়ার) পাওয়ারের ২০টি পাম্প সরবরাহ করে। যা রক্ষণাবেক্ষণে বিএডিসির ৮ জন শ্রমিকসহ একজন উপ-প্রকৌশলী সেখানে সার্বক্ষণিক দেখভাল করে থাকেন।
পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসির কাছ থেকে ২০টি পাম্প পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় কম। তাই আরও বড় পাম্প নিতে ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ের ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২ বছর আগে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পড়ে আছে। সেটিরও অনুমোদন মেলেনি।’
স্থানীয় ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে হরি নদী খননসহ এর শাখা ও উপশাখা খননের কোনো বিকল্প নেই। ভবদহের জল হরি নদী দিয়ে ভদ্রা, ঘ্যাংরাইল হয়ে শিপসা নদীতে পড়ে সাগরে যাওয়ার রাস্তা আছে। তাই ভবদহ বিলের মধ্যে থাকা সব বাঁধ অপসারণ করতে হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে