আয়নাল হোসেন, ঢাকা
ছয়জন কর্মকর্তার হাতেই এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজকর্ম। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব মর্যাদার এসব কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অধিশাখা ও শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন তাঁরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসন, অর্থ, পুলিশ, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শাখা, অনুবিভাগ কিংবা অধিশাখার দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ছয়জন কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, যুগ্ম সচিব শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক, উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার ও নূরে মাহবুবা জয়া এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবীর মেনন এবং যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিজেদের প্রভাব বহাল রাখার জন্য এসব কর্মকর্তা নতুন করে পদায়ন ঠেকাতে মরিয়া। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে পদায়ন বন্ধ। মূলত এ ছয় কর্মকর্তাই মন্ত্রণালয়ে প্রভাবের ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
সূত্র বলছে, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান একাই এ বিভাগের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রশাসন, অর্থ ও মেডিকেল অনুবিভাগ, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধিশাখা ও আইসিটি সেলের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৭ সালের দিকে উপসচিব হিসেবে যোগ দেন। এরপর একাধিক পদোন্নতি পেলেও একই মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন।
জানতে চাইলে আজকের পত্রিকা’কে আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা কমে যাওয়ায় তিনি এসব দায়িত্ব পালন করছেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক প্রশাসন অধিশাখা, মেডিকেল অনুবিভাগ-১ ও মেডিকেল অনুবিভাগ-২-এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৮ সালে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এরপর থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। একই বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার পুলিশ-১ শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তাঁকে পুলিশ-৪ ও পুলিশ-৫ শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাহবুবুল আলম মজুমদার এ মন্ত্রণালয়ে ৫ বছর ধরে কর্মরত।
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব নূরে মাহবুবা জয়া কাজ করছেন পুলিশ-৩ শাখায়। এ ছাড়া এনটিএমসি-১ ও এনটিএমসি-২ শাখারও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। নূরে মাহবুবা ২০১৫ সালের দিকে অবিভক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এরপর চার বছরের জন্য মিশনে যান। সেখান থেকে ফিরে আবার যোগদান করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ একই সঙ্গে প্রশাসন বিভাগ ও পরিকল্পনা অনুবিভাগে যুক্ত রয়েছেন। ২০১৭ সালের দিকে এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি। তখন থেকে একই মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তিনি।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবীর মেনন প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগেরও দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছেন এক বছর ধরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল কবীর মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগে একজন কর্মকর্তা যোগ দেওয়ায় তাঁর দায়িত্ব গতকালই ছেড়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে দুর্নীতি-অনিয়ম নজরদারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ে একাধিক শাখা বা অধিশাখা গঠনের অন্যতম কারণ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। একজন একাধিক শাখা বা অধিশাখায় দায়িত্ব পালন করলে সেখানে বৈষম্য সৃষ্টি হয় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। অন্যদের মধ্যে কাজে নিস্পৃহ মনোভাব সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও খবর পড়ুন:
ছয়জন কর্মকর্তার হাতেই এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজকর্ম। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব মর্যাদার এসব কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অধিশাখা ও শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন তাঁরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসন, অর্থ, পুলিশ, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শাখা, অনুবিভাগ কিংবা অধিশাখার দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ছয়জন কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, যুগ্ম সচিব শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক, উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার ও নূরে মাহবুবা জয়া এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবীর মেনন এবং যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিজেদের প্রভাব বহাল রাখার জন্য এসব কর্মকর্তা নতুন করে পদায়ন ঠেকাতে মরিয়া। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে পদায়ন বন্ধ। মূলত এ ছয় কর্মকর্তাই মন্ত্রণালয়ে প্রভাবের ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
সূত্র বলছে, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান একাই এ বিভাগের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রশাসন, অর্থ ও মেডিকেল অনুবিভাগ, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধিশাখা ও আইসিটি সেলের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৭ সালের দিকে উপসচিব হিসেবে যোগ দেন। এরপর একাধিক পদোন্নতি পেলেও একই মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন।
জানতে চাইলে আজকের পত্রিকা’কে আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা কমে যাওয়ায় তিনি এসব দায়িত্ব পালন করছেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক প্রশাসন অধিশাখা, মেডিকেল অনুবিভাগ-১ ও মেডিকেল অনুবিভাগ-২-এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৮ সালে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এরপর থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। একই বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার পুলিশ-১ শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তাঁকে পুলিশ-৪ ও পুলিশ-৫ শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাহবুবুল আলম মজুমদার এ মন্ত্রণালয়ে ৫ বছর ধরে কর্মরত।
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব নূরে মাহবুবা জয়া কাজ করছেন পুলিশ-৩ শাখায়। এ ছাড়া এনটিএমসি-১ ও এনটিএমসি-২ শাখারও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। নূরে মাহবুবা ২০১৫ সালের দিকে অবিভক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এরপর চার বছরের জন্য মিশনে যান। সেখান থেকে ফিরে আবার যোগদান করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সেখ ফরিদ আহমেদ একই সঙ্গে প্রশাসন বিভাগ ও পরিকল্পনা অনুবিভাগে যুক্ত রয়েছেন। ২০১৭ সালের দিকে এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি। তখন থেকে একই মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তিনি।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল কবীর মেনন প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আইন ও শৃঙ্খলা অনুবিভাগ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগেরও দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছেন এক বছর ধরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল কবীর মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগে একজন কর্মকর্তা যোগ দেওয়ায় তাঁর দায়িত্ব গতকালই ছেড়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে দুর্নীতি-অনিয়ম নজরদারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ে একাধিক শাখা বা অধিশাখা গঠনের অন্যতম কারণ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। একজন একাধিক শাখা বা অধিশাখায় দায়িত্ব পালন করলে সেখানে বৈষম্য সৃষ্টি হয় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। অন্যদের মধ্যে কাজে নিস্পৃহ মনোভাব সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও খবর পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪