রাহুল শর্মা, ঢাকা
উচ্চশিক্ষার ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল-সংখ্যক শিক্ষক। ছুটি শেষ হয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেরেননি। যোগ দেননি কর্মস্থলে। ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ১১৪ শিক্ষককে গত এক বছরে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ছুটির মেয়াদ শেষে না ফেরায় ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১৩০ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গত এক বছরে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় অংশই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আর তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষাছুটি শেষে দেশে না ফেরা বড় ধরনের ক্ষতি। কেননা, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে। সৃষ্টি হয় শিক্ষক-সংকট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন শিক্ষার্থীরা।
ছুটির নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে যাওয়া শিক্ষকেরা বৈতনিক, অবৈতনিকসহ বিভিন্নভাবে সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত ছুটি নিতে পারেন। এ সময় কারও ডিগ্রি বা গবেষণা শেষ না হলে আরও দুই বছরের অবৈতনিক ছুটি নিতে পারেন। তবে নিয়ম হলো, চার বছর ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে আবেদন করতে হবে পরবর্তী দুই বছরের ছুটির জন্য। কেউ যদি চার অথবা ছয় বছর ছুটি ভোগের পর পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাঁকে ছুটির সময় নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হয়। অথবা সমপরিমাণ সময় চাকরি করার পর নিতে হবে অব্যাহতি।
বিষয়টি নিয়ে ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইউজিসি। এতে দেখা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে না ফেরায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আর ছুটি শেষে এখনো ফেরেননি ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১২ জন শিক্ষক। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের বাইরে আরও ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গিয়ে না ফেরায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৩১ জন শিক্ষক। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১৮ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২। এর মধ্যে কার্যক্রম চলছে ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি।
শিক্ষা ছুটি শেষে না ফেরায় গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২৭ জন। এরপরই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫ জন। ২১ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন বুয়েটে। এ ছাড়া ৮ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৭ জন করে শিক্ষক। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৪ জন করে শিক্ষক। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর ১ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষা ছুটি শেষে না ফেরা প্রসঙ্গে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বিদেশে ভালো সুযোগের কারণে অনেকে দেশে ফেরেন না, এটা বাস্তবতা। কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্ন তোলা হলে অবশ্যই ফিরে আসা উচিত। এখানে দেশপ্রেমের প্রশ্ন জড়িত। কেন তাঁরা ফিরে আসছেন না, বাস্তবতার নিরিখে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং প্রাপ্যতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
উচ্চশিক্ষা শেষে ফিরে না আসাকে দুঃখজনক এবং দেশের প্রতি দায়িত্বহীনতা বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ছুটি শেষে না ফেরা শিক্ষকদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ছুটি শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে চিঠি দিয়ে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এরপরও তিনি সাড়া না দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কঠোর নিয়ম মানার কারণে চাকরিচ্যুতির সংখ্যা হয়তো বেশি।
শিক্ষকদের মধ্যে দেশে না ফেরার প্রবণতার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, মানুষ যেখানে ভালো সুযোগ পাবে, সেখানেই যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, তা শিক্ষকেরা পাচ্ছেন না বলেই ভালো সুযোগ খুঁজছেন। এ ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করা এবং মতপ্রকাশের জায়গা ক্রমশই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, এটাই অন্যতম কারণ হতে পারে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে কেন দেশে ফেরেননি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের এমন একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শেষে গবেষণার জন্য বড় ধরনের ফান্ড পাওয়ার কারণে আমার আর দেশে ফেরা হয়নি। এ ছাড়া পরিবারসহ এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার বিষয়টিও ছিল।’
আর না ফেরায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন—এমন তালিকায় শীর্ষে আছে বুয়েট। এ প্রতিষ্ঠানের মোট ৪১ জন শিক্ষক ছুটি শেষেও কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। দেশে ফেরার নাম নেই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকের। তালিকায় এর পরের অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৮ জন করে শিক্ষকের ছুটি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ছুটির সময় শেষেও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক। এ ছাড়া আরও ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষক ছুটি শেষেও দেশে ফিরছেন না।
উচ্চশিক্ষার ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল-সংখ্যক শিক্ষক। ছুটি শেষ হয়েছে। কিন্তু অনেকেই ফেরেননি। যোগ দেননি কর্মস্থলে। ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ১১৪ শিক্ষককে গত এক বছরে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ছুটির মেয়াদ শেষে না ফেরায় ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১৩০ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গত এক বছরে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় অংশই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আর তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষাছুটি শেষে দেশে না ফেরা বড় ধরনের ক্ষতি। কেননা, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে। সৃষ্টি হয় শিক্ষক-সংকট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন শিক্ষার্থীরা।
ছুটির নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে যাওয়া শিক্ষকেরা বৈতনিক, অবৈতনিকসহ বিভিন্নভাবে সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত ছুটি নিতে পারেন। এ সময় কারও ডিগ্রি বা গবেষণা শেষ না হলে আরও দুই বছরের অবৈতনিক ছুটি নিতে পারেন। তবে নিয়ম হলো, চার বছর ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে আবেদন করতে হবে পরবর্তী দুই বছরের ছুটির জন্য। কেউ যদি চার অথবা ছয় বছর ছুটি ভোগের পর পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাঁকে ছুটির সময় নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হয়। অথবা সমপরিমাণ সময় চাকরি করার পর নিতে হবে অব্যাহতি।
বিষয়টি নিয়ে ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইউজিসি। এতে দেখা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে না ফেরায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আর ছুটি শেষে এখনো ফেরেননি ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১২ জন শিক্ষক। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের বাইরে আরও ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গিয়ে না ফেরায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৩১ জন শিক্ষক। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ১৮ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২। এর মধ্যে কার্যক্রম চলছে ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি।
শিক্ষা ছুটি শেষে না ফেরায় গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২৭ জন। এরপরই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫ জন। ২১ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন বুয়েটে। এ ছাড়া ৮ জন শিক্ষক চাকরিচ্যুত হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৭ জন করে শিক্ষক। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৪ জন করে শিক্ষক। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর ১ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষা ছুটি শেষে না ফেরা প্রসঙ্গে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বিদেশে ভালো সুযোগের কারণে অনেকে দেশে ফেরেন না, এটা বাস্তবতা। কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্ন তোলা হলে অবশ্যই ফিরে আসা উচিত। এখানে দেশপ্রেমের প্রশ্ন জড়িত। কেন তাঁরা ফিরে আসছেন না, বাস্তবতার নিরিখে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং প্রাপ্যতা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
উচ্চশিক্ষা শেষে ফিরে না আসাকে দুঃখজনক এবং দেশের প্রতি দায়িত্বহীনতা বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ছুটি শেষে না ফেরা শিক্ষকদের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ছুটি শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে চিঠি দিয়ে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এরপরও তিনি সাড়া না দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কঠোর নিয়ম মানার কারণে চাকরিচ্যুতির সংখ্যা হয়তো বেশি।
শিক্ষকদের মধ্যে দেশে না ফেরার প্রবণতার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, মানুষ যেখানে ভালো সুযোগ পাবে, সেখানেই যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, তা শিক্ষকেরা পাচ্ছেন না বলেই ভালো সুযোগ খুঁজছেন। এ ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করা এবং মতপ্রকাশের জায়গা ক্রমশই সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, এটাই অন্যতম কারণ হতে পারে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে কেন দেশে ফেরেননি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের এমন একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি শেষে গবেষণার জন্য বড় ধরনের ফান্ড পাওয়ার কারণে আমার আর দেশে ফেরা হয়নি। এ ছাড়া পরিবারসহ এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার বিষয়টিও ছিল।’
আর না ফেরায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন—এমন তালিকায় শীর্ষে আছে বুয়েট। এ প্রতিষ্ঠানের মোট ৪১ জন শিক্ষক ছুটি শেষেও কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। দেশে ফেরার নাম নেই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকের। তালিকায় এর পরের অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৮ জন করে শিক্ষকের ছুটি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ছুটির সময় শেষেও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক। এ ছাড়া আরও ১৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষক ছুটি শেষেও দেশে ফিরছেন না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে