আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ অন্যতম। শুধু চিকিৎসক তৈরিই নয়, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায়ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। কিন্তু সেই মেডিকেল কলেজেই অকেজো পড়ে আছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। শুধু তা-ই নয়, কয়েকটি বিভাগে জনবলসংকটও রয়েছে। ফলে শিক্ষাদান কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে, একই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমও।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর এমবিবিএস কোর্সে প্রায় তিন শ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন। এর বাইরে চিকিৎসাশাস্ত্রের উচ্চতর ডিগ্রিও দেওয়া হয় এখানে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, এসব শিক্ষার্থীর হাতে-কলমে রোগ নির্ণয় শেখাতে নানা যন্ত্র থাকলেও অধিকাংশই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগে দুটি হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন, ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিন, এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন, প্রোথ্রমবিন টাইম মেশিন, এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন ও ক্রায়োস্ট্যাট মেশিন অকেজো। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ইমোলিট ১০০০ মেশিনটিও ছয় বছর ধরে অকেজো।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন দিয়ে রক্তের কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) পরীক্ষা করা হয়। ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিনটি মূত্রের নানা ধরনের জীবাণু শনাক্তের কাজে লাগে। প্রোথ্রমবিন টাইম মেশিন ও এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন কাজে লাগে রক্তের নানা ধরনের পরীক্ষায়। ক্রায়োস্ট্যাট মেশিন দিয়ে বায়োপসি করা হয়। ইমোলিট ১০০০ মেশিন দিয়ে রক্তের হরমোনের নানা ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
মেডিকেল কলেজ সূত্র বলেছে, হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন দুটির মধ্যে একটি প্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়ে ২০১০ সালে কেনা হয়েছিল। ছয় বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে এটি। আরেকটি হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন কেনা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা দিয়ে। ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিনটি কেনা হয়েছিল ৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া কলেজের প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজিসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রও (এসি) দীর্ঘদিন ধরে অকেজো।
এ বিষয়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা অলাভজনক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক সিনিয়র অ্যাডভাইজার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের জন্য রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি অনেক গুরুত্ব বহন করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। আবার কোথাও থাকলেও সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগে আগে দৈনিক ৭০-৮০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। অ্যানালাইজার মেশিনের পরিবর্তে এখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে কোনোমতে কাজ চালানো হচ্ছে। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অনেক পদও শূন্য। কলেজে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্টসহ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের মোট পদ আছে ১৮টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদটি গত ডিসেম্বর থেকে খালি।
অকেজো যন্ত্রের বিষয়ে কথা বলতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নূরুল হুদা লেনিনের মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এরপর খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রগুলো কেন অকেজো পড়ে আছে, বিষয়টি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে। যন্ত্রগুলো সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ অন্যতম। শুধু চিকিৎসক তৈরিই নয়, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায়ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। কিন্তু সেই মেডিকেল কলেজেই অকেজো পড়ে আছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। শুধু তা-ই নয়, কয়েকটি বিভাগে জনবলসংকটও রয়েছে। ফলে শিক্ষাদান কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে, একই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমও।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর এমবিবিএস কোর্সে প্রায় তিন শ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন। এর বাইরে চিকিৎসাশাস্ত্রের উচ্চতর ডিগ্রিও দেওয়া হয় এখানে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, এসব শিক্ষার্থীর হাতে-কলমে রোগ নির্ণয় শেখাতে নানা যন্ত্র থাকলেও অধিকাংশই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগে দুটি হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন, ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিন, এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন, প্রোথ্রমবিন টাইম মেশিন, এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন ও ক্রায়োস্ট্যাট মেশিন অকেজো। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ইমোলিট ১০০০ মেশিনটিও ছয় বছর ধরে অকেজো।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন দিয়ে রক্তের কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) পরীক্ষা করা হয়। ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিনটি মূত্রের নানা ধরনের জীবাণু শনাক্তের কাজে লাগে। প্রোথ্রমবিন টাইম মেশিন ও এসবি ইলেকট্রোফরেসিস মেশিন কাজে লাগে রক্তের নানা ধরনের পরীক্ষায়। ক্রায়োস্ট্যাট মেশিন দিয়ে বায়োপসি করা হয়। ইমোলিট ১০০০ মেশিন দিয়ে রক্তের হরমোনের নানা ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
মেডিকেল কলেজ সূত্র বলেছে, হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন দুটির মধ্যে একটি প্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়ে ২০১০ সালে কেনা হয়েছিল। ছয় বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে এটি। আরেকটি হেমাটোলজিক্যাল অ্যানালাইজার মেশিন কেনা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা দিয়ে। ইউরিন অ্যানালাইজার মেশিনটি কেনা হয়েছিল ৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া কলেজের প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজিসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রও (এসি) দীর্ঘদিন ধরে অকেজো।
এ বিষয়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা অলাভজনক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক সিনিয়র অ্যাডভাইজার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের জন্য রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি অনেক গুরুত্ব বহন করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। আবার কোথাও থাকলেও সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগে আগে দৈনিক ৭০-৮০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। অ্যানালাইজার মেশিনের পরিবর্তে এখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে কোনোমতে কাজ চালানো হচ্ছে। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অনেক পদও শূন্য। কলেজে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্টসহ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের মোট পদ আছে ১৮টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদটি গত ডিসেম্বর থেকে খালি।
অকেজো যন্ত্রের বিষয়ে কথা বলতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নূরুল হুদা লেনিনের মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এরপর খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রগুলো কেন অকেজো পড়ে আছে, বিষয়টি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে। যন্ত্রগুলো সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে