বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে ইতিমধ্যে শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর হারানো মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকজন পরিবার নিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাতে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নদীতে হারিয়ে যাবে শত বছরের পুরোনো একটি গ্রাম। যদিও ভাঙন রোধে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোটি টাকার বালু ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি গ্রামবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
জানা গেছে, নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খরস্রোতা ধনু নদী। নদীটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মালবাহী নৌযান চলাচল করে।
নৌযান চলার কারণে নদীর তীরে ঢেউ লাগে। এতে ভাঙন আরও তীব্র হয়। খালিয়াজুরী উপজেলার ২ নম্বর চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে ভাঙন শুরু হলেও চলতি বছর ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এরই মধ্যে শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কোন রকম বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন তারা। সহায় সম্বল হারিয়ে, উপায় না পেয়ে রাতে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে থাকছেন ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবার।
পাথরা গ্রামের জমি হারানো হিমাংশু সরকার, নেপাল সরকার, সঞ্জিত সরকারসহ আরও অনেকে জানান, ‘ধনু নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে বর্তমানে গ্রামের পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলায় বসবাস করছেন।
সবকিছু হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। সরকারি সহযোগিতার দাবি করছেন তারা।
পাথরা গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রলীগ কর্মী সাগর সরকার জয় জানান, আমাদের গ্রামের কয়েকশত মানুষ নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমাদেরও ৫০ শতাংশ জমি নদীতে চলে গেছে।
এখন গ্রামের অসহায় মানুষগুলোর শেষ আশ্রয়ের ঘরটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীতে।
অমৃত চন্দ্র দাস নামের অপর আরেকজন জানান, পাথরা গ্রামটি ধনু নদীর তীরে অবস্থিত সবচেয়ে ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আশা করি সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষগুলোর জন্য দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার সুবিন্দু কান্তি সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ ধনু নদীর ভাঙনে আমাদের গ্রামটি এখন বিলীনের পথে। ইতিমধ্যে সবকিছু হারিয়ে পথে বসেছে গ্রামের অনেকেই। গ্রামটি রক্ষা করা না হলে এখানকার হাওরের একমাত্র ফসলি জমি রক্ষা করাও কঠিন হয়ে যাবে।
দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে সর্বশান্ত হয়ে যাবে এলাকার মানুষ। এছাড়াও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের টিউবওয়েল ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, ইতিমধ্যে নদীতে জিও ব্যাগ দিয়ে গ্রামটি রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানিসহ পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসনের কথা জানান তিনি।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে ইতিমধ্যে শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর হারানো মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকজন পরিবার নিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাতে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নদীতে হারিয়ে যাবে শত বছরের পুরোনো একটি গ্রাম। যদিও ভাঙন রোধে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোটি টাকার বালু ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি গ্রামবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
জানা গেছে, নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খরস্রোতা ধনু নদী। নদীটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মালবাহী নৌযান চলাচল করে।
নৌযান চলার কারণে নদীর তীরে ঢেউ লাগে। এতে ভাঙন আরও তীব্র হয়। খালিয়াজুরী উপজেলার ২ নম্বর চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে ভাঙন শুরু হলেও চলতি বছর ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এরই মধ্যে শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কোন রকম বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন তারা। সহায় সম্বল হারিয়ে, উপায় না পেয়ে রাতে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে থাকছেন ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবার।
পাথরা গ্রামের জমি হারানো হিমাংশু সরকার, নেপাল সরকার, সঞ্জিত সরকারসহ আরও অনেকে জানান, ‘ধনু নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে বর্তমানে গ্রামের পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলায় বসবাস করছেন।
সবকিছু হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। সরকারি সহযোগিতার দাবি করছেন তারা।
পাথরা গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রলীগ কর্মী সাগর সরকার জয় জানান, আমাদের গ্রামের কয়েকশত মানুষ নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমাদেরও ৫০ শতাংশ জমি নদীতে চলে গেছে।
এখন গ্রামের অসহায় মানুষগুলোর শেষ আশ্রয়ের ঘরটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীতে।
অমৃত চন্দ্র দাস নামের অপর আরেকজন জানান, পাথরা গ্রামটি ধনু নদীর তীরে অবস্থিত সবচেয়ে ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আশা করি সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষগুলোর জন্য দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার সুবিন্দু কান্তি সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ ধনু নদীর ভাঙনে আমাদের গ্রামটি এখন বিলীনের পথে। ইতিমধ্যে সবকিছু হারিয়ে পথে বসেছে গ্রামের অনেকেই। গ্রামটি রক্ষা করা না হলে এখানকার হাওরের একমাত্র ফসলি জমি রক্ষা করাও কঠিন হয়ে যাবে।
দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে সর্বশান্ত হয়ে যাবে এলাকার মানুষ। এছাড়াও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের টিউবওয়েল ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, ইতিমধ্যে নদীতে জিও ব্যাগ দিয়ে গ্রামটি রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানিসহ পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসনের কথা জানান তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে