মশা থেকে বাঁচতে দিনেও মশারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১২: ৩৩

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ সিলেট মহানগরের বাসিন্দারা। বেড়েছে ভোগান্তির পাশাপাশি মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের শঙ্কা। মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে নগরবাসী দিনের বেলায় মশারি ও কয়েল ব্যবহার করছেন।

এদিকে মশা নিধনে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রমও অন্য বছরের তুলনায় ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

নগরের কাজী ইলিয়াস এলাকার বাসিন্দা মো. আবু তাহের বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সবাই। সিটি করপোরেশন যে ওষুধ প্রয়োগ করবে, সেটি যেন সঠিক মানসম্পন্ন হয়।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মাধ্যমে এ কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের সব পাড়া-মহল্লার দায়িত্বশীলদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হোক।’

শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান চৌধুরী সিসিকের মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মশার উৎপাত বেড়েছে। সকাল-সন্ধ্যা বলে কোনো কথা নেই। সব সময়ই মশার উপদ্রব লেগেই আছে।

গত বুধবার সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জম্মেজয় দত্ত বলেন, এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৮১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আক্রান্ত সবাই ঢাকাতে গিয়েছিল, সেখান থেকে আসার পর তাদের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগ থেকে আমাদের মশকনিধন কার্যক্রম হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা নগরের ১৭টি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। বাকি ওয়ার্ডগুলোতে কাজ চলছে, কিছুদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

তবে এভাবে ওষুধ প্রয়োগ করে বেশি একটা সুফল মিলছে না জানিয়ে মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটানা নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটানো হলে একটা সমাধান মিলবে বা এক ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর পর সেই ওয়ার্ডে আবার পরপর আরও চারবার ওষুধ ছিটানো গেলে মশার উপদ্রব কমে আসবে। তবে এই কাজ করার জন্য যে পরিমাণ জনবল দরকার, তা আমাদের নেই।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত