সনি আজাদ, চারঘাট
পদ্মার শাখা বড়াল ছিল প্রমত্তা ও খরস্রোতা নদ। বর্ষাকালে এ নদের দুকূল ছাপিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। সারা বছরই জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ পথে বিভিন্ন জায়গায় পণ্য আনা-নেওয়া চলত। অথচ বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে বড়াল পুরোদস্তুর ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। নদের বুকে হালচাষ করে, গভীর নলকূপে পানি তুলে ফসল ফলানো হচ্ছে।
জানা যায়, বড়াল নদের সোনালি দিনগুলো ক্ষীণ হয়ে আসে ১৯৮০ সালের দিকে। স্লুইসগেট দেওয়ার পর বড়াল তার খরস্রোতা রূপ হারায়। আর এখন দূষণ ও দখলে বর্ষা মৌসুমেও বড়াল থাকে সরু নালা। ২০১০ সালে নদ খননের রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেওয়া ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প কাজে আসেনি। এটি খনন করে সেই বালু নদে স্তূপ করে রাখার ফলে বর্ষা মৌসুমে তা আবার নদে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বড়াল বেসিন প্রকল্প’ নামের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ নদ খননকাজ শুরু করে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০০৪-০৫ অর্থবছরে। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন রেগুলেটর, অবকাঠামো, খাল ও নদ পুনর্খননের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ২০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে মূল্যবাবদ ৭৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ভূমির মালিকদের পরিশোধ করা হয়। তারপরও নদের তীরবর্তী এলাকা দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বড়ালে পদ্মার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বড়াল ঘিরে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ‘নাটোরের নারদ ও মুসা খান (আংশিক) নদী ও রাজশাহীর চারঘাটের রেগুলেটরের ইনটেক চ্যানেল খনন’ নামের ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রায় ১৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদী খনন ও প্রবেশমুখে খনন করতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারঘাট বড়াল নদের ইনটেক চ্যানেল খননকাজ শেষ হয়। কিন্তু তারপরও বড়ালের সুদিন ফেরেনি।
স্থানীয়রা জানান, বড়াল নদের আশপাশে যারা বসবাস করছে, তারা নদ দখল করে সেখানে ধান, গম, আখ, বাদামসহ নানা ফসল চাষ করেন। প্রভাবশালীরাও আছেন এ তালিকায়। ফলে মূল পদ্মা থেকে পানি যাতে বড়ালে আসতে না পারে সে জন্য মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। ফলে বড়ালে কোনো পানি নেই। এখন নদের বুকে সেচ মেশিন বসিয়ে আবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় জেলে খাইরুল বলেন, ‘একসময় এই নদে পাল তোলা নৌকা ভিড়ত। পণ্য নিয়ে আসা নৌকাগুলোকে ঘিরে রোজগার হতো মানুষের। নৌকা চালিয়ে মাছও ধরে চলত আমার মতো অনেকের সংসার। এখন নদে ধান-গম চাষ হয়। নদের বুকে যাঁরা ফসলের আবাদ করছেন, তাঁরা সবাই প্রভাবশালী। এতে সাধারণ মানুষ কোনো লাভবান হচ্ছে না।’
উপজেলার পুঠিমারী গ্রামের কৃষক শামসুল হক বলেন, ‘আগে বড়ালে মাছ ধরে সংসার চলত আমার। এবার এখানে ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। এক নেতার কাছে থেকে জমি বর্গা নিতে হয়েছে। যদিও নদের জমি, তবু কৃষকেরা নিজ ইচ্ছায় আবাদ করতে পারে না।’
চারঘাট বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে বড়াল নদ শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় নদে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে হয় মরা নদ। এবারও তা-ই হয়েছে। এলাকার কৃষকেরা নদের বুকজুড়ে ফসল আবাদ করছে। নদ আছে, নৌকা আছে, নেই শুধু পানি। নদের নাব্যতা ফেরাতে পরিকল্পনা হাতে নিতে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি।’
বড়াল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদ পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী বড়ালে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
পদ্মার শাখা বড়াল ছিল প্রমত্তা ও খরস্রোতা নদ। বর্ষাকালে এ নদের দুকূল ছাপিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। সারা বছরই জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ পথে বিভিন্ন জায়গায় পণ্য আনা-নেওয়া চলত। অথচ বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে বড়াল পুরোদস্তুর ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। নদের বুকে হালচাষ করে, গভীর নলকূপে পানি তুলে ফসল ফলানো হচ্ছে।
জানা যায়, বড়াল নদের সোনালি দিনগুলো ক্ষীণ হয়ে আসে ১৯৮০ সালের দিকে। স্লুইসগেট দেওয়ার পর বড়াল তার খরস্রোতা রূপ হারায়। আর এখন দূষণ ও দখলে বর্ষা মৌসুমেও বড়াল থাকে সরু নালা। ২০১০ সালে নদ খননের রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেওয়া ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প কাজে আসেনি। এটি খনন করে সেই বালু নদে স্তূপ করে রাখার ফলে বর্ষা মৌসুমে তা আবার নদে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বড়াল বেসিন প্রকল্প’ নামের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ নদ খননকাজ শুরু করে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০০৪-০৫ অর্থবছরে। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন রেগুলেটর, অবকাঠামো, খাল ও নদ পুনর্খননের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ২০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে মূল্যবাবদ ৭৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ভূমির মালিকদের পরিশোধ করা হয়। তারপরও নদের তীরবর্তী এলাকা দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বড়ালে পদ্মার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বড়াল ঘিরে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ‘নাটোরের নারদ ও মুসা খান (আংশিক) নদী ও রাজশাহীর চারঘাটের রেগুলেটরের ইনটেক চ্যানেল খনন’ নামের ১৩ কোটি ৩ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রায় ১৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদী খনন ও প্রবেশমুখে খনন করতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারঘাট বড়াল নদের ইনটেক চ্যানেল খননকাজ শেষ হয়। কিন্তু তারপরও বড়ালের সুদিন ফেরেনি।
স্থানীয়রা জানান, বড়াল নদের আশপাশে যারা বসবাস করছে, তারা নদ দখল করে সেখানে ধান, গম, আখ, বাদামসহ নানা ফসল চাষ করেন। প্রভাবশালীরাও আছেন এ তালিকায়। ফলে মূল পদ্মা থেকে পানি যাতে বড়ালে আসতে না পারে সে জন্য মাটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। ফলে বড়ালে কোনো পানি নেই। এখন নদের বুকে সেচ মেশিন বসিয়ে আবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় জেলে খাইরুল বলেন, ‘একসময় এই নদে পাল তোলা নৌকা ভিড়ত। পণ্য নিয়ে আসা নৌকাগুলোকে ঘিরে রোজগার হতো মানুষের। নৌকা চালিয়ে মাছও ধরে চলত আমার মতো অনেকের সংসার। এখন নদে ধান-গম চাষ হয়। নদের বুকে যাঁরা ফসলের আবাদ করছেন, তাঁরা সবাই প্রভাবশালী। এতে সাধারণ মানুষ কোনো লাভবান হচ্ছে না।’
উপজেলার পুঠিমারী গ্রামের কৃষক শামসুল হক বলেন, ‘আগে বড়ালে মাছ ধরে সংসার চলত আমার। এবার এখানে ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। এক নেতার কাছে থেকে জমি বর্গা নিতে হয়েছে। যদিও নদের জমি, তবু কৃষকেরা নিজ ইচ্ছায় আবাদ করতে পারে না।’
চারঘাট বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে বড়াল নদ শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় নদে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে হয় মরা নদ। এবারও তা-ই হয়েছে। এলাকার কৃষকেরা নদের বুকজুড়ে ফসল আবাদ করছে। নদ আছে, নৌকা আছে, নেই শুধু পানি। নদের নাব্যতা ফেরাতে পরিকল্পনা হাতে নিতে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি।’
বড়াল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদ পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী বড়ালে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে