নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে তীব্র গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা বেশির ভাগ এলাকার চুলা জ্বলছে না। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও চাহিদা অনুসারে গ্যাস পাচ্ছে না। এতে ফিলিং স্টেশনের সামনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ির সারি লম্বা হচ্ছে। এই সংকটের কারণ হিসেবে সরবরাহ ঘাটতিকে দুষছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, এখন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটোই কাজ করছে। পাশাপাশি গ্যাসের কার্গো এসেছে। কাজেই ১৭ অক্টোবরের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুসারে, সব মিলিয়ে ঢাকা শহরে গ্যাসের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় সকালের নাশতা কিন্যা খাওয়া লাগে। দুপুরের খাবার রেডি হয় আসরের পরে (শেষ বিকেলে)। প্রতিবছর শীতকালে গ্যাসের সমস্যা হইলেও এবার শীতের আগেই সমস্যা দেখা দিছে।’ সায়েদাবাদের স্বামীবাগ এলাকার গৃহিণী হামিদা বেগম বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। দিনের খাবার আগের রাতেই রান্না করে রাখতে হয়।
একই রকম অভিযোগ বনশ্রীর গৃহিণী নূরজাহান বেগম ও কচুক্ষেত ঝিলপাড় এলাকার মোসাম্মৎ রোকেয়ারও। রোকেয়া বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় বিদ্যুতের চুলা কিনেছি। তাও লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক সময় ব্যবহার করতে পারি না। তখন বাইর থেকে খাবার কিনে আনতে হয়।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের মেট্রো ঢাকা বিপণন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. তওহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাসের সাপ্লাই কম, তাই দিনে শহরের বড় অংশে চুলায় আগুন জ্বলে না। কয়েক দিনের মধ্যে গ্যাসের সাপ্লাই বাড়বে, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও পড়েছে গ্যাস-সংকটে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজার এলাকার কানাডা-বাংলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কথা হয় কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের সঙ্গে। নজরুল ইসলাম নামের একজন বললেন, ‘গ্যাসের চাপ থাকলে ৩০০ টাকার নিই। চাপ কম থাকলে ৮০ টাকারও গ্যাস ঢোকে। সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে নিতে দিনের বড় অংশ চলে যায়।’ দু-তিন মাস ধরে এমন সংকট বলে জানালেন ফিলিং স্টেশনটির কর্মী সাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের চাপ না থাকায় গাড়িচালকেরাও কষ্ট করেন, আমাদেরও বেশি গ্যাস বিক্রি হয় না।’
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অস্বীকার করার সুযোগ নেই, এলএনজির সাপ্লাই কম থাকায় গ্যাস-সংকট দেখা দিচ্ছে। আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের একটা কয়েক মাস নষ্ট ছিল। বর্তমানে দুটোই ঠিক হয়েছে। কিন্তু গ্যাসের কার্গো এল মাত্র। এখন এলএনজি সাপ্লাই হচ্ছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। ১৭ অক্টোবরের পর ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো হবে, তখন সংকট কমবে। তা ছাড়া গ্যাসের অবৈধ সংযোগ লাইনের কারণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাহিদা মোতাবেক গ্যাসের সরবরাহ নেই, তাই ঘাটতি মেটাতে গিয়ে রেশনিং করা হচ্ছে। তারিখ বেঁধে দিয়ে গ্যাসের সংকট সমাধান করা যাবে না। টেকসই সমাধানের একটাই উপায়, সরবরাহ বাড়াতে হবে। বাসা-বাড়িতে অন্তত দুই বেলা গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে, না হলে নগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
রাজধানীতে তীব্র গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা বেশির ভাগ এলাকার চুলা জ্বলছে না। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও চাহিদা অনুসারে গ্যাস পাচ্ছে না। এতে ফিলিং স্টেশনের সামনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ির সারি লম্বা হচ্ছে। এই সংকটের কারণ হিসেবে সরবরাহ ঘাটতিকে দুষছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, এখন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটোই কাজ করছে। পাশাপাশি গ্যাসের কার্গো এসেছে। কাজেই ১৭ অক্টোবরের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুসারে, সব মিলিয়ে ঢাকা শহরে গ্যাসের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় সকালের নাশতা কিন্যা খাওয়া লাগে। দুপুরের খাবার রেডি হয় আসরের পরে (শেষ বিকেলে)। প্রতিবছর শীতকালে গ্যাসের সমস্যা হইলেও এবার শীতের আগেই সমস্যা দেখা দিছে।’ সায়েদাবাদের স্বামীবাগ এলাকার গৃহিণী হামিদা বেগম বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। দিনের খাবার আগের রাতেই রান্না করে রাখতে হয়।
একই রকম অভিযোগ বনশ্রীর গৃহিণী নূরজাহান বেগম ও কচুক্ষেত ঝিলপাড় এলাকার মোসাম্মৎ রোকেয়ারও। রোকেয়া বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় বিদ্যুতের চুলা কিনেছি। তাও লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক সময় ব্যবহার করতে পারি না। তখন বাইর থেকে খাবার কিনে আনতে হয়।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের মেট্রো ঢাকা বিপণন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. তওহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাসের সাপ্লাই কম, তাই দিনে শহরের বড় অংশে চুলায় আগুন জ্বলে না। কয়েক দিনের মধ্যে গ্যাসের সাপ্লাই বাড়বে, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোও পড়েছে গ্যাস-সংকটে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজার এলাকার কানাডা-বাংলা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কথা হয় কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের সঙ্গে। নজরুল ইসলাম নামের একজন বললেন, ‘গ্যাসের চাপ থাকলে ৩০০ টাকার নিই। চাপ কম থাকলে ৮০ টাকারও গ্যাস ঢোকে। সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে নিতে দিনের বড় অংশ চলে যায়।’ দু-তিন মাস ধরে এমন সংকট বলে জানালেন ফিলিং স্টেশনটির কর্মী সাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের চাপ না থাকায় গাড়িচালকেরাও কষ্ট করেন, আমাদেরও বেশি গ্যাস বিক্রি হয় না।’
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অস্বীকার করার সুযোগ নেই, এলএনজির সাপ্লাই কম থাকায় গ্যাস-সংকট দেখা দিচ্ছে। আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের একটা কয়েক মাস নষ্ট ছিল। বর্তমানে দুটোই ঠিক হয়েছে। কিন্তু গ্যাসের কার্গো এল মাত্র। এখন এলএনজি সাপ্লাই হচ্ছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। ১৭ অক্টোবরের পর ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো হবে, তখন সংকট কমবে। তা ছাড়া গ্যাসের অবৈধ সংযোগ লাইনের কারণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাহিদা মোতাবেক গ্যাসের সরবরাহ নেই, তাই ঘাটতি মেটাতে গিয়ে রেশনিং করা হচ্ছে। তারিখ বেঁধে দিয়ে গ্যাসের সংকট সমাধান করা যাবে না। টেকসই সমাধানের একটাই উপায়, সরবরাহ বাড়াতে হবে। বাসা-বাড়িতে অন্তত দুই বেলা গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে, না হলে নগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪