শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মাদারীপুরের শিবচরের সন্যাসীরচরে নির্মাণ করা হয় ট্রমা সেন্টার। ২০২২ সালের নভেম্বরে এটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় আহতরা কেউ এই সেন্টারে চিকিৎসাসেবা পায়নি। এর বদলে দূরের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেকে মারাও গেছে।
চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার কারণ—ট্রমা সেন্টারটি চালুর জন্য যে জনবলের প্রয়োজন, তার পদ সৃষ্টি করা হয়নি আজ পর্যন্ত। ফলে অবকাঠামো থাকলেও চিকিৎসাসেবা চালু হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা। কিন্তু ট্রমা সেন্টার নিয়ে স্থানীয়রা যে আশা বুনেছিলেন মনে, তা আলোর মুখ দেখেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদ সৃষ্টির কোনো অনুমোদন না থাকায় অবকাঠামো নির্মাণ শেষেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ট্রমা সেন্টারটি আদৌ চালু হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ট্রমা সেন্টারে সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক (কনসালট্যান্ট), তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট (অবেদনবিদ), দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রমা সেন্টারের প্রধান ফটকের ভেতর ধান শুকাচ্ছেন স্থানীয়রা। চারপাশ আগাছায় ভরা। হাসপাতালের ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরেও নোংরা পরিবেশ। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, এসি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণকাজ শেষে যখন উদ্বোধন করা হয়, তখন সবকিছু সাজানো-গোছানো ছিল। এরপর আর কেউ আসেনি। এখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসে এখানে। রাতে পুরো ট্রমা সেন্টার অরক্ষিত থাকে।
এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই নির্মাণ করা ট্রমা সেন্টারটিতে চিকিৎসাসেবা চালু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এই রুটে চলাচলরত পরিবহনচালক ও যাত্রীরা।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া অংশে ৭২টি দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৪ জন; আহত হয়েছে ৭৮ জন, মামলা হয়েছে ৫৭টি এবং জিডি ১৫টি। জাজিরা-ভাঙ্গা অংশে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও ৯৪ জন আহত হয়েছে; মামলা হয়েছে ৫৭টি এবং জিডি ১৫টি। আহতদের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এক্সপ্রেসওয়ের পাশের বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ায় এখান থেকে কোনো সেবাই পাচ্ছে না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।
আবুল হাসান নামের এক গাড়িচালক বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রমা সেন্টার থাকা অত্যাবশ্যক বলে মনে করি। কারণ, যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনায় একজন আহত রোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা ফরিদপুর নিতে হয়। স্থানীয় হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ট্রমা সেন্টার থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি। এখানকার ট্রমা সেন্টারের সবই হলো, কিন্তু চালু হলো না।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব তালুকদার বলেন, ‘হাসপাতালটি উদ্বোধন হয়েছে দুই বছর হলো। এখনো চালু হয়নি। এখন রক্ষণাবেক্ষণের লোকও নেই। জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। আমরা দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবি জানাই।’
জানতে চাইলে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘আসলে শুধু অবকাঠামো হলেই তো হবে না। এখানে জনবলের বিষয় রয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয় যুক্ত। অর্থনৈতিক বরাদ্দ না থাকলে জনবল নিয়োগ হয় না। আমরা জনবলের চাহিদার প্রস্তাব দিয়েছি, হয়তো অনুমোদন হবে। তবে কবে হবে, তা বলা যাচ্ছে না।’
সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মাদারীপুরের শিবচরের সন্যাসীরচরে নির্মাণ করা হয় ট্রমা সেন্টার। ২০২২ সালের নভেম্বরে এটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় আহতরা কেউ এই সেন্টারে চিকিৎসাসেবা পায়নি। এর বদলে দূরের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেকে মারাও গেছে।
চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার কারণ—ট্রমা সেন্টারটি চালুর জন্য যে জনবলের প্রয়োজন, তার পদ সৃষ্টি করা হয়নি আজ পর্যন্ত। ফলে অবকাঠামো থাকলেও চিকিৎসাসেবা চালু হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা। কিন্তু ট্রমা সেন্টার নিয়ে স্থানীয়রা যে আশা বুনেছিলেন মনে, তা আলোর মুখ দেখেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদ সৃষ্টির কোনো অনুমোদন না থাকায় অবকাঠামো নির্মাণ শেষেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ট্রমা সেন্টারটি আদৌ চালু হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ট্রমা সেন্টারে সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক (কনসালট্যান্ট), তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট (অবেদনবিদ), দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রমা সেন্টারের প্রধান ফটকের ভেতর ধান শুকাচ্ছেন স্থানীয়রা। চারপাশ আগাছায় ভরা। হাসপাতালের ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরেও নোংরা পরিবেশ। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, এসি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণকাজ শেষে যখন উদ্বোধন করা হয়, তখন সবকিছু সাজানো-গোছানো ছিল। এরপর আর কেউ আসেনি। এখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসে এখানে। রাতে পুরো ট্রমা সেন্টার অরক্ষিত থাকে।
এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই নির্মাণ করা ট্রমা সেন্টারটিতে চিকিৎসাসেবা চালু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এই রুটে চলাচলরত পরিবহনচালক ও যাত্রীরা।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া অংশে ৭২টি দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৪ জন; আহত হয়েছে ৭৮ জন, মামলা হয়েছে ৫৭টি এবং জিডি ১৫টি। জাজিরা-ভাঙ্গা অংশে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও ৯৪ জন আহত হয়েছে; মামলা হয়েছে ৫৭টি এবং জিডি ১৫টি। আহতদের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এক্সপ্রেসওয়ের পাশের বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ায় এখান থেকে কোনো সেবাই পাচ্ছে না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।
আবুল হাসান নামের এক গাড়িচালক বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রমা সেন্টার থাকা অত্যাবশ্যক বলে মনে করি। কারণ, যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনায় একজন আহত রোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা ফরিদপুর নিতে হয়। স্থানীয় হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ট্রমা সেন্টার থাকলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি। এখানকার ট্রমা সেন্টারের সবই হলো, কিন্তু চালু হলো না।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব তালুকদার বলেন, ‘হাসপাতালটি উদ্বোধন হয়েছে দুই বছর হলো। এখনো চালু হয়নি। এখন রক্ষণাবেক্ষণের লোকও নেই। জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। আমরা দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবি জানাই।’
জানতে চাইলে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘আসলে শুধু অবকাঠামো হলেই তো হবে না। এখানে জনবলের বিষয় রয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয় যুক্ত। অর্থনৈতিক বরাদ্দ না থাকলে জনবল নিয়োগ হয় না। আমরা জনবলের চাহিদার প্রস্তাব দিয়েছি, হয়তো অনুমোদন হবে। তবে কবে হবে, তা বলা যাচ্ছে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে