সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
আশুগঞ্জ সাবস্টেশন থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় ফ্রিকোয়েন্সি ঠিকমতো না মেলায় জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিডের লোডের সঙ্গে সাবস্টেশনের লোড না মিললে তখন গ্রিড ফেল করে। দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা স্মার্ট গ্রিড না হওয়ায় এই লোড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল করতে গিয়ে অনেক সময় ভুলে গ্রিডে সমস্যা হয়। ঘটনা তদন্তে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এখনো তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেনি। গত মঙ্গলবার গ্রিড ট্রিপ করার কারণে দেশের অর্ধেক মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল ৭-৮ ঘণ্টা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থায় স্মার্ট গ্রিড নেই। যে কারণে গ্রিডে লোড দেওয়ার সময়ে গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সি সঙ্গে সাবস্টেশনের ভোল্টেজ না মিললে তখন গ্রিড ফেল করে। অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণেও বিদ্যুতের গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বজ্রপাতের কারণে গ্রিড ট্রিপ করেছিল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে স্মার্ট গ্রিড না থাকার কারণে অনেক সময় কোথায় গ্রিড ট্রিপ করেছে, তা জানতে সময় লাগে। গ্রিড ট্রিপ করলে একই সঙ্গে এই গ্রিডের সঙ্গে জড়িত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক করে পরে আবার গ্রিডে দিতে লোড ম্যানেজমেন্ট ও ফ্রিকোয়েন্সি মেলাতে সময় লাগার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সময় লাগে।
গ্রিড ট্রিপ করার কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান গ্রিডগুলো অনেক পুরোনো। আমরা এখনো স্মার্ট গ্রিড করতে পারিনি। ফলে এক জায়গায় ট্রিপ করলে এই গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়।’ স্মার্ট গ্রিডের সুবিধা হচ্ছে, প্রতিটা এলাকা ও জোনের জন্য আলাদা সার্কিট ব্রেকার থাকে। কোনো কারণে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গ্রিড ট্রিপ করলে বিদ্যুৎ চলে যাবে শুধু এই এলাকায়। বাকি এলাকা সুরক্ষিত থাকে।
মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘গ্রিডের বিপর্যয়ের পর আমরা ঈশ্বরদীর দিকের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগে চালু করে আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে। যে কারণে অনেক জায়গায় রাজধানী ঢাকার আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেছে। আমাদের দেশে গ্রিড ট্রিপ করে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপন করা হয় বিভিন্ন স্টেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এই সমন্বয়ে আমাদের অনেক সময় চলে যায়। স্মার্ট গ্রিডের সুবিধা হলো ডিজিটালি সমস্যাটা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে গত মঙ্গলবার দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এতে জনভোগান্তির পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে উৎপাদন ও ভোক্তা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও উৎপাদন খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। তাঁরা মনে করেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে উৎপাদনে ভোক্তা খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো কিছু দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭০ শতাংশ দখল করে আছে ভোক্তা খাত। এই ভোক্তাদের সঙ্গে জড়িত আছে দেশের সামগ্রিক উৎপাদনব্যবস্থা থেকে শুরু মানুষের জীবিকা। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৫-১৬ সালে বাজারের স্থির মূল্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ভোক্তা খাতে বছরে ব্যয় ছিল ২১ ট্রিলিয়ন টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন ভোক্তা খাতে ব্যয় হচ্ছে ৫৮০ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪০ শতাংশ। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমের ৭ ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোক্তা খাতে মোট অর্থনৈতিক ক্ষতি ২৪০ কোটি টাকা।
ড. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘স্থির মূল্য হচ্ছে ওই সময়ে বাজারে জিনিসপত্রের দাম। বর্তমানে বাজারের স্থির মূল্য হিসাব করলে এই ব্যয় আরও বেশি হবে। অর্থনৈতিক ক্ষতির এই হিসাবটা বৈজ্ঞানিক না, তবে ভোক্তা খাতের ওপর করা।’ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে আরও কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আছে সেবা ও উৎপাদন খাত। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের রপ্তানিতে অনেকেই হয়তো লিড টাইম মিস করতে পারে। সেখানে হয়তো আমাদের রপ্তানির মোট ১০ শতাংশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
গত মঙ্গলবার বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশ করে তৈরি পোশাক খাত। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তৈরি পোশাক খাতে বড় একটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঠিকমতো পোশাক ডেলিভারি করতে না পারার কারণে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো বিদেশে আমাদের ব্র্যান্ডিং ও ভাবমূর্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঠিকমতো ডেলিভারি করতে না পারার কারণে আমরা বায়ারদের সঙ্গে পোশাকের দাম নিয়ে দর-কষাকষি করতে পারি না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকেই শিপমেন্ট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।’
আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা মূলত দৈনিক সাড়ে ১২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করি। রপ্তানির এই অংশটা আমরা দৈনিক ১২ ঘণ্টায় তৈরি করি। সেই হিসাবেই আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ ডলার।’
আশুগঞ্জ সাবস্টেশন থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় ফ্রিকোয়েন্সি ঠিকমতো না মেলায় জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিডের লোডের সঙ্গে সাবস্টেশনের লোড না মিললে তখন গ্রিড ফেল করে। দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা স্মার্ট গ্রিড না হওয়ায় এই লোড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল করতে গিয়ে অনেক সময় ভুলে গ্রিডে সমস্যা হয়। ঘটনা তদন্তে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি এখনো তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেনি। গত মঙ্গলবার গ্রিড ট্রিপ করার কারণে দেশের অর্ধেক মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল ৭-৮ ঘণ্টা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থায় স্মার্ট গ্রিড নেই। যে কারণে গ্রিডে লোড দেওয়ার সময়ে গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সি সঙ্গে সাবস্টেশনের ভোল্টেজ না মিললে তখন গ্রিড ফেল করে। অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণেও বিদ্যুতের গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বজ্রপাতের কারণে গ্রিড ট্রিপ করেছিল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে স্মার্ট গ্রিড না থাকার কারণে অনেক সময় কোথায় গ্রিড ট্রিপ করেছে, তা জানতে সময় লাগে। গ্রিড ট্রিপ করলে একই সঙ্গে এই গ্রিডের সঙ্গে জড়িত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক করে পরে আবার গ্রিডে দিতে লোড ম্যানেজমেন্ট ও ফ্রিকোয়েন্সি মেলাতে সময় লাগার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সময় লাগে।
গ্রিড ট্রিপ করার কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান গ্রিডগুলো অনেক পুরোনো। আমরা এখনো স্মার্ট গ্রিড করতে পারিনি। ফলে এক জায়গায় ট্রিপ করলে এই গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়।’ স্মার্ট গ্রিডের সুবিধা হচ্ছে, প্রতিটা এলাকা ও জোনের জন্য আলাদা সার্কিট ব্রেকার থাকে। কোনো কারণে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গ্রিড ট্রিপ করলে বিদ্যুৎ চলে যাবে শুধু এই এলাকায়। বাকি এলাকা সুরক্ষিত থাকে।
মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘গ্রিডের বিপর্যয়ের পর আমরা ঈশ্বরদীর দিকের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগে চালু করে আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে। যে কারণে অনেক জায়গায় রাজধানী ঢাকার আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেছে। আমাদের দেশে গ্রিড ট্রিপ করে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপন করা হয় বিভিন্ন স্টেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এই সমন্বয়ে আমাদের অনেক সময় চলে যায়। স্মার্ট গ্রিডের সুবিধা হলো ডিজিটালি সমস্যাটা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে গত মঙ্গলবার দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এতে জনভোগান্তির পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে উৎপাদন ও ভোক্তা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও উৎপাদন খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। তাঁরা মনে করেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে উৎপাদনে ভোক্তা খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো কিছু দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭০ শতাংশ দখল করে আছে ভোক্তা খাত। এই ভোক্তাদের সঙ্গে জড়িত আছে দেশের সামগ্রিক উৎপাদনব্যবস্থা থেকে শুরু মানুষের জীবিকা। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৫-১৬ সালে বাজারের স্থির মূল্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ভোক্তা খাতে বছরে ব্যয় ছিল ২১ ট্রিলিয়ন টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন ভোক্তা খাতে ব্যয় হচ্ছে ৫৮০ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪০ শতাংশ। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমের ৭ ঘণ্টা বাদ দিয়ে বাকি ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোক্তা খাতে মোট অর্থনৈতিক ক্ষতি ২৪০ কোটি টাকা।
ড. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘স্থির মূল্য হচ্ছে ওই সময়ে বাজারে জিনিসপত্রের দাম। বর্তমানে বাজারের স্থির মূল্য হিসাব করলে এই ব্যয় আরও বেশি হবে। অর্থনৈতিক ক্ষতির এই হিসাবটা বৈজ্ঞানিক না, তবে ভোক্তা খাতের ওপর করা।’ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে আরও কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আছে সেবা ও উৎপাদন খাত। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের রপ্তানিতে অনেকেই হয়তো লিড টাইম মিস করতে পারে। সেখানে হয়তো আমাদের রপ্তানির মোট ১০ শতাংশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
গত মঙ্গলবার বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশ করে তৈরি পোশাক খাত। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তৈরি পোশাক খাতে বড় একটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঠিকমতো পোশাক ডেলিভারি করতে না পারার কারণে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো বিদেশে আমাদের ব্র্যান্ডিং ও ভাবমূর্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঠিকমতো ডেলিভারি করতে না পারার কারণে আমরা বায়ারদের সঙ্গে পোশাকের দাম নিয়ে দর-কষাকষি করতে পারি না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকেই শিপমেন্ট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।’
আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা মূলত দৈনিক সাড়ে ১২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করি। রপ্তানির এই অংশটা আমরা দৈনিক ১২ ঘণ্টায় তৈরি করি। সেই হিসাবেই আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ ডলার।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে