নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাস্তা আছে। কিন্তু হাঁটার জো নেই। রাস্তার পাশ দিয়ে জমির পাঁচ ইঞ্চি সীমানাপ্রাচীরের ওপর দিয়েই হেঁটে আসছেন দুই নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম নিউ কলোনিতে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড।
সীমানাপ্রাচীরের ওপর দিয়ে হেঁটে চলা দুই নারীর একজন রোখসানা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এই কাদার ভেতর দিয়ে হাঁটলেই বিপদ। পায়ে কাদা লেগে যায়। তাই ওয়ালের ওপর দিয়েই হাঁটছি। এই ওয়াল থেকে পড়লে কাদাপানিতেই পড়তে হবে। তাও হাঁটছি।’
নিউ কলোনিতে নতুন বাড়ি করেছেন এক ঠিকাদার। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুই দিকের রাস্তা গত বুধবারের বৃষ্টিতে ডুবে আছে। ওই ঠিকাদার বলেন, ‘শহরের মধ্যেও এই এলাকাটা যেন গ্রাম। ওই যে সামনের জমিওয়ালা পাইলিং করে রেখে দিয়েছেন। রাস্তা পাকা হয়নি বলে বাড়ি করছেন না।’
মানুষের এমন দুর্ভোগ শহরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে। মহল্লার ভেতরে ছোট রাস্তাগুলোতে জমে থাকে পানি। নগরীর কয়েরদাঁড়া, মধ্য নওদাপাড়া, সিলিন্দা, দাসপুকুর, রায়পাড়া বড়বনগ্রাম, আলীগঞ্জসহ শহরতলির এলাকাগুলোতে গিয়ে কাদাপানিতে মানুষের দুর্ভোগ দেখা গেছে। মধ্যশহরের কলাবাগান, হেতেমখাঁর মতো এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বিপদ বাড়ে এসব এলাকার মানুষের।
রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের বিপরীত দিকে নতুন আবাসিক এলাকা হচ্ছে। নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়িও। কিন্তু রাস্তার কাজ খুব একটা এগোচ্ছে না।
ফলে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল সকালে বড়বনগ্রাম শেখপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, অল্প একটু পাকা রাস্তা পরেই কাঁচা রাস্তায় কাদাপানিতে মানুষকে চলতে হচ্ছে। এই এলাকাটি পড়েছে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদাত আলী শাহু বলেন, ‘সব রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। প্যাকেজ অনুযায়ী কাজ চলমান।’
জানতে চাইলে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, ‘আগে যাঁরা কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁরা সব ড্রেন করেছেন পুকুর-ডোবাকেন্দ্রিক।
পুকুর-ডোবাগুলো ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আমরাও শাখা ড্রেন করে সমস্যার সাময়িক সমাধান করছি।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলছে। শহরের ৩০টি ওয়ার্ডেই এ প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে।
প্রকল্পের পরিচালক ও সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘শহরের সব এলাকায় প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলছে। কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরের কোথাও আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
রাস্তা আছে। কিন্তু হাঁটার জো নেই। রাস্তার পাশ দিয়ে জমির পাঁচ ইঞ্চি সীমানাপ্রাচীরের ওপর দিয়েই হেঁটে আসছেন দুই নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম নিউ কলোনিতে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড।
সীমানাপ্রাচীরের ওপর দিয়ে হেঁটে চলা দুই নারীর একজন রোখসানা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এই কাদার ভেতর দিয়ে হাঁটলেই বিপদ। পায়ে কাদা লেগে যায়। তাই ওয়ালের ওপর দিয়েই হাঁটছি। এই ওয়াল থেকে পড়লে কাদাপানিতেই পড়তে হবে। তাও হাঁটছি।’
নিউ কলোনিতে নতুন বাড়ি করেছেন এক ঠিকাদার। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুই দিকের রাস্তা গত বুধবারের বৃষ্টিতে ডুবে আছে। ওই ঠিকাদার বলেন, ‘শহরের মধ্যেও এই এলাকাটা যেন গ্রাম। ওই যে সামনের জমিওয়ালা পাইলিং করে রেখে দিয়েছেন। রাস্তা পাকা হয়নি বলে বাড়ি করছেন না।’
মানুষের এমন দুর্ভোগ শহরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে। মহল্লার ভেতরে ছোট রাস্তাগুলোতে জমে থাকে পানি। নগরীর কয়েরদাঁড়া, মধ্য নওদাপাড়া, সিলিন্দা, দাসপুকুর, রায়পাড়া বড়বনগ্রাম, আলীগঞ্জসহ শহরতলির এলাকাগুলোতে গিয়ে কাদাপানিতে মানুষের দুর্ভোগ দেখা গেছে। মধ্যশহরের কলাবাগান, হেতেমখাঁর মতো এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বিপদ বাড়ে এসব এলাকার মানুষের।
রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের বিপরীত দিকে নতুন আবাসিক এলাকা হচ্ছে। নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়িও। কিন্তু রাস্তার কাজ খুব একটা এগোচ্ছে না।
ফলে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল সকালে বড়বনগ্রাম শেখপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, অল্প একটু পাকা রাস্তা পরেই কাঁচা রাস্তায় কাদাপানিতে মানুষকে চলতে হচ্ছে। এই এলাকাটি পড়েছে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদাত আলী শাহু বলেন, ‘সব রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। প্যাকেজ অনুযায়ী কাজ চলমান।’
জানতে চাইলে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, ‘আগে যাঁরা কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁরা সব ড্রেন করেছেন পুকুর-ডোবাকেন্দ্রিক।
পুকুর-ডোবাগুলো ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আমরাও শাখা ড্রেন করে সমস্যার সাময়িক সমাধান করছি।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলছে। শহরের ৩০টি ওয়ার্ডেই এ প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে।
প্রকল্পের পরিচালক ও সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘শহরের সব এলাকায় প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলছে। কাজ শেষ হয়ে গেলে শহরের কোথাও আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে