Ajker Patrika

সুপেয় পানি সরবরাহ: ১৪ বছরেও চালু হয়নি ১১ কোটি টাকার শোধনাগার

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১১: ৩০
সুপেয় পানি সরবরাহ: ১৪ বছরেও চালু হয়নি ১১ কোটি টাকার শোধনাগার

বান্দরবানের আলীকদমে ২০১১ সালের ১১ জুন শুরু হয় পানি শোধনাগারের নির্মাণকাজ। কাজ শেষ হওয়ার আগেই গত বছর শোধনাগারটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১১ মাস অতিবাহিত হলেও শোধনাগারের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পানির সংযোগ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের আহ্বান জানালেও তেমন সাড়া মিলছে না। এতে জলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সরকারের সাড়ে ১১ কোটি টাকা। 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে আলীকদম উপজেলা পরিষদের পাশে ছাবের মিয়াপাড়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১১ সালের ১১ জুন প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। ১৪ বছর অতিক্রম হলেও পানি শোধনাগার নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।

গত বছর ১২ এপ্রিল এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও পানি দেখেনি স্থানীয়রা। উদ্বোধনের দিন কয়েক ঘণ্টা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় পানির সরবরাহ। 

সূত্র আরও জানায়, শোধনাগার নির্মাণকাজ শুরুর পর ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি জলাধার নির্মাণের পর প্রকল্পের কাজ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত শোধনাগারটি আবার নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। প্রকল্পের শুরু থেকে দুই দফায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও পানি পায়নি আলীকদমবাসী। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, তিন মাস আগে পানির সংযোগ দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিটি সংযোগের 
জন্য ফি নির্ধারণ হয় ১০ হাজার টাকা। নিয়মিত পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে কি না, এমন সংশয় থাকায় পানি শোধনাগার থেকে পানি সংগ্রহে স্থানীয়দের আগ্রহ কম। ফলে আবেদন করেনি কেউ। দ্বিতীয় দফায় ৫ হাজার, তৃতীয় দফায় ২ হাজার টাকা সংযোগ ফি নির্ধারণ করা হলে ৫০ জন আবেদন করেন। তারাও এখনো পানি পাননি। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশলী মোহাম্মদ হালিম বলেন, ‘পানি শোধনাগারের কাজটি শেষ হয়েছে। পানির সংযোগ নিতে স্থানীয়দের 
আগ্রহ কম।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত