শেখ আব্দুস সাকুর (উল্লাস), নবাবগঞ্জ
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল-বকচর গ্রামের ইছামতী শাখানদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোই স্থানীয়দের ভরসা। এ সাঁকো দিয়েই তিনটি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হয় স্কুলশিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, মহিলা ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের। তিন যুগের বেশি সময় ধরে এখানে একটি পাকা সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক কিছু আশার বাণী ছাড়া মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সেতু।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, ভৌগোলিকভাবে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অবহেলিত হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ। প্রতিবার নির্বাচন এলে প্রত্যেকেই এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
তুইতাল এলাকার বাসিন্দা লুকাস রবি গমেজ অভিযোগ করে বলেন, ‘কেউ কথা রাখছে না। জনপ্রতিনিধিরাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন, কিন্তু আমরা পার হতে পারছি না। এই এলাকার বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না সেতুর দোহাই দিয়ে।’
বকচর গ্রামের দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘অনেক অভিভাবক সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার ভয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চায় না। আমাদের একটাই দাবি, এই নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হোক। কারণ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এটা একটা মরণফাঁদ।’
সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল খান বলেন, ‘আমরা এখনো এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নতুন কর্মস্থল সৃষ্টির লক্ষ্যে এ অঞ্চলে একটি সেতু অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
বকচর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজীব দাস বলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলাকার শতশত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এখানে সেতু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির দিনে বাঁশের সাঁকো ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মো. পলাশ চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে যখন চেয়ারম্যান ছিলাম এ সেতু নির্মাণে অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছি। আমি আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণ হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে আমাদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। শিক্ষাদীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে এ অঞ্চলের মানুষ উন্নতি করতে পারবে। এ সেতু নির্মাণ আমি প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। স্থানীয় সাংসদ সালমান এফ রহমানসহ ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বলে দ্রুত পাকা সেতু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল-বকচর গ্রামের ইছামতী শাখানদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোই স্থানীয়দের ভরসা। এ সাঁকো দিয়েই তিনটি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হয় স্কুলশিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, মহিলা ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের। তিন যুগের বেশি সময় ধরে এখানে একটি পাকা সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক কিছু আশার বাণী ছাড়া মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সেতু।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, ভৌগোলিকভাবে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অবহেলিত হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ। প্রতিবার নির্বাচন এলে প্রত্যেকেই এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
তুইতাল এলাকার বাসিন্দা লুকাস রবি গমেজ অভিযোগ করে বলেন, ‘কেউ কথা রাখছে না। জনপ্রতিনিধিরাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন, কিন্তু আমরা পার হতে পারছি না। এই এলাকার বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না সেতুর দোহাই দিয়ে।’
বকচর গ্রামের দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘অনেক অভিভাবক সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার ভয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চায় না। আমাদের একটাই দাবি, এই নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হোক। কারণ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এটা একটা মরণফাঁদ।’
সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল খান বলেন, ‘আমরা এখনো এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নতুন কর্মস্থল সৃষ্টির লক্ষ্যে এ অঞ্চলে একটি সেতু অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
বকচর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজীব দাস বলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলাকার শতশত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এখানে সেতু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টির দিনে বাঁশের সাঁকো ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মো. পলাশ চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে যখন চেয়ারম্যান ছিলাম এ সেতু নির্মাণে অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছি। আমি আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণ হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে আমাদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। শিক্ষাদীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে এ অঞ্চলের মানুষ উন্নতি করতে পারবে। এ সেতু নির্মাণ আমি প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। স্থানীয় সাংসদ সালমান এফ রহমানসহ ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বলে দ্রুত পাকা সেতু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪