গোলটি আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ৪০
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ২০

লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করেছেন, অথচ উদ্‌যাপনের সময়টুকুও যেন নেই শেখ মোরসালিনের। ম্যাচের পরদিন অর্থাৎ গতকাল ছুটতে হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই বেশ ব্যস্ততা। তাড়াহুড়োর মাঝে নিজের কঠিন সময় নিয়ে অল্প কিছু কথা শোনালেন। লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ১ পয়েন্ট এনে দেওয়া দারুণ গোল আর সেই ম্যাচের সুযোগ নষ্টের আক্ষেপ নিয়েও হতাশা কম নয়। দারুণ এক প্রত্যাবর্তন ঘিরে মোরসালিনের তৃপ্তি-অতৃপ্তির গল্প শোনার চেষ্টা করেছেন নাজিম আল শমষের

প্রশ্ন: স্বপ্নের মতো এক ফেরা। অনেক বিতর্কের পর এভাবে কতটা স্বস্তির দিন শেষে? 
মোরসালিন: আমার জন্য যতটা না স্বস্তির, দলের জন্য আরও বড় ব্যাপার। আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারের পরেও সমর্থকেরা আমাদের ওপর আশা হারাননি। আমাদের জন্য লেবানন ম্যাচ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সমর্থকদের আস্থার জায়গা থেকে ভালো করতে চেয়েছিলাম, একটা দল হিসেবে। সেটা করতে পেরেছি, ভালো লাগছে। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়। কিন্তু গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে আবারও যেভাবে ম্যাচে ফিরতে পেরেছি, আমরা যে পারি সেটা দেখাতে পারি, এটা ভালো ব্যাপার। দলের ফলাফলে আমি খুশি। আর নিজের কথা বলতে গেলে, অবশ্যই আমার জন্য স্বস্তির। 

প্রশ্ন: লেবানন ম্যাচের গোলটাকে কি আপনি শাপমোচন বলবেন? 
মোরসালিন: হ্যাঁ, এটাকে টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। মনে হচ্ছে, নতুন শুরু পেলাম। 

প্রশ্ন: লেবাননের বিপক্ষে অসাধারণ গোল এল আপনার পা থেকে। গোল করতে পারতেন আরও দুটি। নষ্ট হওয়া সুযোগ দুটি নিয়ে কি আক্ষেপ আছে কোনো? 
মোরসালিন: লেবাননের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। একটা গোল করেছি কিন্তু আবার সুযোগ নষ্টও করেছি। শেষ দিকে গিয়ে যেটা নষ্ট করলাম, সেটা নিয়ে আফসোস হচ্ছে। সুযোগটা গোলে পরিণত করতে পারলে আমরা জিতে যেতাম। কিন্তু এসব নিয়ে আর ভাবছি না। এই ভুলগুলো আগামীতে কীভাবে আরও কমানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। 

প্রশ্ন: লং শট আপনার ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে। তবে সতীর্থের ক্রস বা পাস থেকে ফার্স্ট টাচে গোল করার সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আপনার একটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। এটা কি আসলেই দুর্বলতা? এখানে কি আরও কাজ করার আছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: অবশ্যই, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শুধু এটা নয়, আরও যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে, সেগুলো পূরণে কাজ করতে হবে। তবে ফুটবলে পূর্ণতা বলতে তো কিছু নেই। যত দিন যাবে, আপনাকে তত শিখতে হবে, জানতে হবে। আমাকেও এসব মেনে এগোতে হবে। 

প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা কি আপনাকে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে মনে হয়?
মোরসালিন: আমার নিজের প্রতি খুব বিশ্বাস ছিল। হ্যাঁ, সময়টা কঠিন ছিল; কিন্তু নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছি, আমাকে ফিরতে হবে। আমি যখন ফিরব, সেরা চেহারায় ফিরব। এই সময়ে আসলে পরিবার, আশপাশের যাঁরা আছেন, সবাই অনেক সাহস জুগিয়েছেন। যে কারণে এত সুন্দরভাবে ফিরতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: মোরসালিনের অনুপ্রেরণা কিসে?
মোরসালিন: বিশ্ব ফুটবলের বড় বড় তারকাকে অনুসরণের চেষ্টা করি। অনুপ্রেরণার কথা বলতে গেলে, আমি ডেভিড বেকহামের কথা বলতে চাই। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বেকহাম লাল কার্ড দেখেছিলেন। সেই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। এরপর দেশে ফিরে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরও তিনি ভেঙে পড়েননি। সেখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে শুরু করেছেন। আমিও এভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছি। আমিও পারব এমন বিশ্বাস ছিল। ফুটবল আমার সব। ফুটবল থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত