নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
হামলা-মামলা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এবার সরকারপতনের আন্দোলনে এককাট্টা। তবে সিলেটে দলীয় কর্মসূচিতে সবাই একসঙ্গে অংশ নিলেও বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চার পরিবর্তন হয়নি। সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলোতে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে খন্দকার মুক্তাদিরের অনুসারীরা অনেকটা এগিয়ে আছেন। এর বিপরীতে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে এ নিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন দুটি বলয়ে বিভক্ত বিএনপি। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ১০ বছর ধরে জেলা-মহানগর বিএনপিতে একক প্রভাব বজায় রেখেছেন।
অপরদিকে আরিফুল হক হঠাৎ করেই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ায় জাতীয় পর্যায়ে তাঁর উপস্থিতি বাড়বে। এটি ভেবে তাঁর অনুসারীরাও হালে পানি পাচ্ছেন। তাঁদের আশা, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতার দাবিদার হবেন আরিফুল।
তবে স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে আরিফুল কতটা সমাদর পাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব অনুসারীদের হাতে থাকায় নানা কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হয় মুক্তাদিরকে। এ ক্ষেত্রে আরিফুল হককে অনেকটাই পাশ কাটানো হয়।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আরিফুল হক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ার খবরেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে যায়নি বিএনপি, যুব ও ছাত্রদলের জেলা-মহানগর কমিটি। শুধু জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত মার্চে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে মোক্তাদির বলয়ের নাসিম হোসাইনের বিপরীতে প্রার্থী করা হয় আরিফ বলয়ের ও নগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দীকিকে। ওই কমিটিতেও আরিফ বলয়ের অনুসারীদের ভরাডুবি হয়।
বলয়বদল
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই আরিফ অনুসারী ছিলেন। জেলা বিএনপির সম্মেলনের পর তাঁরা বলয় পরিবর্তন করে যোগ দেন মুক্তাদিরের সঙ্গে। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও মুক্তাদির বলয়ের। এ ছাড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির বলয়ের হয়ে জেলা সদস্যসচিব হয়েছিলেন। পরে তিনি আরিফ বলয়ে যোগ দেন এবং যুবদলের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তাদির বলয় থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হয়ে আলতাফ হোসেন সুমন আরিফ বলয়ে যোগ দেন। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একসময় জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের কমিটি ছিল আরিফের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব মুক্তাদির বলয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
এসব বিষয়ে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ‘এখন এসব বিষয়ে কথা বলা অমূলক। এখন আমরা সবাই এক দল করছি, এক আন্দোলন করছি। এসব বিষয় (বলয়) আমাদের মাথায় নেই।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বলয়-টলয় বুঝি না। আমি খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্দেশে রাজনীতি করি। বিএনপির রাজনীতি করি। কে কোন বলয়, এসব নিয়ে ভাবিও না।’
হামলা-মামলা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এবার সরকারপতনের আন্দোলনে এককাট্টা। তবে সিলেটে দলীয় কর্মসূচিতে সবাই একসঙ্গে অংশ নিলেও বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতি চর্চার পরিবর্তন হয়নি। সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলোতে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে খন্দকার মুক্তাদিরের অনুসারীরা অনেকটা এগিয়ে আছেন। এর বিপরীতে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুসারীরা। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বর্তমানে এ নিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন দুটি বলয়ে বিভক্ত বিএনপি। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ১০ বছর ধরে জেলা-মহানগর বিএনপিতে একক প্রভাব বজায় রেখেছেন।
অপরদিকে আরিফুল হক হঠাৎ করেই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ায় জাতীয় পর্যায়ে তাঁর উপস্থিতি বাড়বে। এটি ভেবে তাঁর অনুসারীরাও হালে পানি পাচ্ছেন। তাঁদের আশা, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতার দাবিদার হবেন আরিফুল।
তবে স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে আরিফুল কতটা সমাদর পাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব অনুসারীদের হাতে থাকায় নানা কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হয় মুক্তাদিরকে। এ ক্ষেত্রে আরিফুল হককে অনেকটাই পাশ কাটানো হয়।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আরিফুল হক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ার খবরেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে যায়নি বিএনপি, যুব ও ছাত্রদলের জেলা-মহানগর কমিটি। শুধু জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত মার্চে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে মোক্তাদির বলয়ের নাসিম হোসাইনের বিপরীতে প্রার্থী করা হয় আরিফ বলয়ের ও নগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দীকিকে। ওই কমিটিতেও আরিফ বলয়ের অনুসারীদের ভরাডুবি হয়।
বলয়বদল
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই আরিফ অনুসারী ছিলেন। জেলা বিএনপির সম্মেলনের পর তাঁরা বলয় পরিবর্তন করে যোগ দেন মুক্তাদিরের সঙ্গে। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও মুক্তাদির বলয়ের। এ ছাড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির বলয়ের হয়ে জেলা সদস্যসচিব হয়েছিলেন। পরে তিনি আরিফ বলয়ে যোগ দেন এবং যুবদলের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তাদির বলয় থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হয়ে আলতাফ হোসেন সুমন আরিফ বলয়ে যোগ দেন। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একসময় জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের কমিটি ছিল আরিফের নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব মুক্তাদির বলয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
এসব বিষয়ে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ‘এখন এসব বিষয়ে কথা বলা অমূলক। এখন আমরা সবাই এক দল করছি, এক আন্দোলন করছি। এসব বিষয় (বলয়) আমাদের মাথায় নেই।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বলয়-টলয় বুঝি না। আমি খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্দেশে রাজনীতি করি। বিএনপির রাজনীতি করি। কে কোন বলয়, এসব নিয়ে ভাবিও না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে