আল মামুন জীবন, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুটি মহাসড়কে সেদ্ধ আমন ধান শুকাচ্ছেন আশপাশের বাসিন্দারা। দেখে মনে হচ্ছে মহাসড়ক দুটি যেন ধান শুকানোর চাতাল। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
গতকাল বুধবার বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, লোলপুকুর ডিএম উচ্চবিদ্যালয় থেকে গান্ডিকারী হাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে ৪০ জনের বেশি কৃষান-কৃষানি ধান শুকাচ্ছেন। আর এ ধান শুকানোর কাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। একই চিত্র দেখা গেছে বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কেও। কালমেঘ বাজার থেকে সদর উপজেলার মৌলানী বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারজুড়ে সড়কের দুই পাশে প্রায় ৫০ জন কৃষক ধান শুকাচ্ছেন।
লালমনিরহাট থেকে আসা ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম কালমেঘ বাজারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কে ধান শুকানোর কারণে খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। একটু অমনোযোগী হলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। তা ছাড়া ধান শুকানোর কারণে পুরো পরিবার চলে এসেছে রাস্তার ওপর।
ধনিবস্তী গ্রামের ইজিবাইকচালক ওমর আলী জানান, সূর্য ওঠার আগেই রাস্তা ফাঁকা থাকে। সূর্য উঠলে রাস্তায় ধান শুকানোর কাজে লোকজনের কারণে বড় গাড়িগুলোর সাইড দিতে খুব ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় গাড়ি থামানোর প্রয়োজন পড়ে।
বোয়ালধার গ্রামের রফিকুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ মহাসড়কে ধান শুকাচ্ছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আগে ধান শুকানোর জন্য বাড়ির উঠানে চাতাল তৈরি করতাম। মহাসড়ক বাড়ির পাশে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এখানে ধান শুকিয়ে নিচ্ছি। তা ছাড়া আবাদি জমিতে ধানের চাতাল তৈরি করলে পরের ফসল উৎপাদনে দেরি হয়ে যায়।
স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ধান শুকানো বন্ধের জন্য আমরা ২০১৮, ১৯ ও ২০ সালে চৌরাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এমনকি জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘সভা-সেমিনারে সড়ক দুর্ঘটনারোধে সাধারণ মানুষের নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। রাস্তায় ধান কাটা-মাড়াই ও শুকানো বন্ধের জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ধান শুকানো বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিষেধ করা হবে।’
চলতি বছর বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ ও বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুটি মহাসড়কে সেদ্ধ আমন ধান শুকাচ্ছেন আশপাশের বাসিন্দারা। দেখে মনে হচ্ছে মহাসড়ক দুটি যেন ধান শুকানোর চাতাল। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
গতকাল বুধবার বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, লোলপুকুর ডিএম উচ্চবিদ্যালয় থেকে গান্ডিকারী হাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে ৪০ জনের বেশি কৃষান-কৃষানি ধান শুকাচ্ছেন। আর এ ধান শুকানোর কাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। একই চিত্র দেখা গেছে বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কেও। কালমেঘ বাজার থেকে সদর উপজেলার মৌলানী বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারজুড়ে সড়কের দুই পাশে প্রায় ৫০ জন কৃষক ধান শুকাচ্ছেন।
লালমনিরহাট থেকে আসা ট্রাকচালক মইনুল ইসলাম কালমেঘ বাজারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কে ধান শুকানোর কারণে খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। একটু অমনোযোগী হলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। তা ছাড়া ধান শুকানোর কারণে পুরো পরিবার চলে এসেছে রাস্তার ওপর।
ধনিবস্তী গ্রামের ইজিবাইকচালক ওমর আলী জানান, সূর্য ওঠার আগেই রাস্তা ফাঁকা থাকে। সূর্য উঠলে রাস্তায় ধান শুকানোর কাজে লোকজনের কারণে বড় গাড়িগুলোর সাইড দিতে খুব ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় গাড়ি থামানোর প্রয়োজন পড়ে।
বোয়ালধার গ্রামের রফিকুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ মহাসড়কে ধান শুকাচ্ছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আগে ধান শুকানোর জন্য বাড়ির উঠানে চাতাল তৈরি করতাম। মহাসড়ক বাড়ির পাশে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এখানে ধান শুকিয়ে নিচ্ছি। তা ছাড়া আবাদি জমিতে ধানের চাতাল তৈরি করলে পরের ফসল উৎপাদনে দেরি হয়ে যায়।
স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ধান শুকানো বন্ধের জন্য আমরা ২০১৮, ১৯ ও ২০ সালে চৌরাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এমনকি জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘সভা-সেমিনারে সড়ক দুর্ঘটনারোধে সাধারণ মানুষের নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। রাস্তায় ধান কাটা-মাড়াই ও শুকানো বন্ধের জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ধান শুকানো বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিষেধ করা হবে।’
চলতি বছর বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ ও বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে