খান রফিক, বরিশাল
দ্বীপ জেলা ভোলার মনপুরায় অপহরণ-আতঙ্কে আছেন জেলেরা। সর্বশেষ গত বুধবার ভোরে মেঘনা নদী থেকে দুই জেলে অপহৃত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন মনপুরার রহমনপুর গ্রামের ইউসুফ মাঝির ছেলে সুজন মাঝি ও চিটু মাঝির ছেলে রহিম মাঝি।
এর আগে অপহরণের দুই ঘটনার শিকার হন উপজেলার ১১ জেলে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি চরপিয়াল ও চরপাতিলার মধ্যবর্তী স্থান থেকে চার জেলেকে অপহরণ করা হয়। পরে ১ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত তাঁরা হন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সাত জেলে অপহৃত হন। তাঁরাও মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা না পেয়ে জেলেরা টাকার বিনিময়ে বারবার জীবন রক্ষা করছেন। মনপুরার প্রায় ১৪ হাজার জেলে বছরের পর বছর এই অপহরণ-আতঙ্কে ভুগছেন।
সর্বশেষ অপহরণ হওয়া সুজন বলেন, বুধবার ভোরে নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ পাশে উড়ির চর এলাকায় মাছ ধরার সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর ১০-১২ সদস্য ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর ট্রলারের জাল, মাছ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এ সময় পাশের অন্য ট্রলারেও হামলা করেন তাঁরা। হামলা শেষে দুই ট্রলারের দুজনকে চোখ বেঁধে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করেন। খবর পেয়ে দুজনের পরিবারের সদস্যরা টাকা নিয়ে গেলে গতকাল তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনা পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানালে অপহৃত জেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় জলদস্যু বাহিনী। তাই কেউ জানান না।
অপহৃত জেলেদের উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলে আড়তদার মোহরলাল চক্রবর্তী বলেন, মনপুরায় আসার পর দুই জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় জেলেরা থানায় অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
জানতে চাইলে মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, অপহরণের শিকার জেলেরা আসলে স্থানীয়ভাবে এসব ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করেন। এ রকম ঘটনা ঘটছে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে। ভুক্তভোগী জেলেরা এভাবেই মুক্তি পান। এখানকার জেলেদের ধারণা, মনপুরার সাধারণ লোকজনেরও দস্যুদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার জেলে কোনো না কোনোভাবে নদীতে গিয়ে জলদস্যুদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘যে দুজন অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের বাড়ি এই এলাকায়; কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে নিঝুম দ্বীপে। আমরা বেগমগঞ্জ ও হাতিয়ার দুই থানা-পুলিশকে জানিয়েছি; কিন্তু ওই জেলেরা সেখানকার পুলিশের কাছে যাননি। আমাদের কাছেও এসে অভিযোগ দেননি। তাঁরা নাকি আলোচনা করে ফিরে এসেছেন। টাকা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। এ রকম ঘটনা আরও কয়েকটি হয়েছে। আমরা একটি মামলায় কয়েক জলদস্যুকে আটকও করেছি। কিন্তু জেলেরা অভিযোগ না দিলে কিছুই করা যায় না।’
দ্বীপ জেলা ভোলার মনপুরায় অপহরণ-আতঙ্কে আছেন জেলেরা। সর্বশেষ গত বুধবার ভোরে মেঘনা নদী থেকে দুই জেলে অপহৃত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনী দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন মনপুরার রহমনপুর গ্রামের ইউসুফ মাঝির ছেলে সুজন মাঝি ও চিটু মাঝির ছেলে রহিম মাঝি।
এর আগে অপহরণের দুই ঘটনার শিকার হন উপজেলার ১১ জেলে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি চরপিয়াল ও চরপাতিলার মধ্যবর্তী স্থান থেকে চার জেলেকে অপহরণ করা হয়। পরে ১ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত তাঁরা হন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সাত জেলে অপহৃত হন। তাঁরাও মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান। অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তা না পেয়ে জেলেরা টাকার বিনিময়ে বারবার জীবন রক্ষা করছেন। মনপুরার প্রায় ১৪ হাজার জেলে বছরের পর বছর এই অপহরণ-আতঙ্কে ভুগছেন।
সর্বশেষ অপহরণ হওয়া সুজন বলেন, বুধবার ভোরে নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ পাশে উড়ির চর এলাকায় মাছ ধরার সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর ১০-১২ সদস্য ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর ট্রলারের জাল, মাছ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এ সময় পাশের অন্য ট্রলারেও হামলা করেন তাঁরা। হামলা শেষে দুই ট্রলারের দুজনকে চোখ বেঁধে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করেন। খবর পেয়ে দুজনের পরিবারের সদস্যরা টাকা নিয়ে গেলে গতকাল তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনা পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানালে অপহৃত জেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় জলদস্যু বাহিনী। তাই কেউ জানান না।
অপহৃত জেলেদের উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলে আড়তদার মোহরলাল চক্রবর্তী বলেন, মনপুরায় আসার পর দুই জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় জেলেরা থানায় অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
জানতে চাইলে মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, অপহরণের শিকার জেলেরা আসলে স্থানীয়ভাবে এসব ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করেন। এ রকম ঘটনা ঘটছে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে। ভুক্তভোগী জেলেরা এভাবেই মুক্তি পান। এখানকার জেলেদের ধারণা, মনপুরার সাধারণ লোকজনেরও দস্যুদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার জেলে কোনো না কোনোভাবে নদীতে গিয়ে জলদস্যুদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘যে দুজন অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের বাড়ি এই এলাকায়; কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে নিঝুম দ্বীপে। আমরা বেগমগঞ্জ ও হাতিয়ার দুই থানা-পুলিশকে জানিয়েছি; কিন্তু ওই জেলেরা সেখানকার পুলিশের কাছে যাননি। আমাদের কাছেও এসে অভিযোগ দেননি। তাঁরা নাকি আলোচনা করে ফিরে এসেছেন। টাকা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। এ রকম ঘটনা আরও কয়েকটি হয়েছে। আমরা একটি মামলায় কয়েক জলদস্যুকে আটকও করেছি। কিন্তু জেলেরা অভিযোগ না দিলে কিছুই করা যায় না।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে