তৈমূরের দিকে তাকিয়ে সাখাওয়াত-কামাল

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ৫৬
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ১১

নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক, মেয়র পদে লড়তে দাঁড়িয়ে গেছেন দুই প্রার্থী। একজনের আছে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা। অন্যজন আছেন প্রথমবারের মতো নির্বাচন করার প্রত্যাশায়।

দলের বাইরে বড় একটি সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে তৈমূর আলম খন্দকারের। দল কিংবা দলের বাইরে থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে বেশ ভালো অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিনের রাজনীতি এবং দলে তাঁর পদমর্যাদা তৈমূর আলমকে এই স্থানে নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। আর সেই কারণেই তাঁর অনুগতরা চান, এবারের নাসিক নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে তিনি অংশ নেন। যদিও এই ব্যাপারে মুখই খুলছেন না তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে আমি নাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। এ ছাড়া ভিন্ন কোনো প্রতীকে লড়াই করার ইচ্ছা নেই। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি; তবে যদি ধানের শীষ প্রতীকে মাঠে নামতে পারি, তাহলে নারায়ণগঞ্জে গণজোয়ার তৈরি হবে। এ অবস্থায় দল কী সিদ্ধান্ত নেবে তা সম্পূর্ণই দলের বিষয়।’

তৈমূর নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়নপত্র কেনা বিএনপির দুই প্রার্থী সরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কারণ, তৈমূর যদি নির্বাচনে আসেন তবে সব ধরনের সমর্থন নিয়েই মাঠে নামবেন-এমনটা মনে করেন তাঁর কর্মীরা। আর তাই, দলের স্বার্থে ছাড় দিতে প্রস্তুত আছেন দুই প্রার্থী।

মনোনয়নপত্র কেনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় নেতা। তিনি যদি বিএনপি কিংবা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে আসেন, তাহলে আমি এবং আমার নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে কাজ করব। তাঁর জন্য আমরা ছাড় দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু তিনি যদি নির্বাচনে না আসেন, তাহলে নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ সিনিয়র নেতা আমাকে সমর্থন দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

তবে কিছুটা ব্যতিক্রম অবস্থান প্রকাশ করেন, গতবারে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তখন যদি তৈমূর সাহেবকে নমিনেশন দেওয়া হয়, তাহলে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব। কিন্তু তিনি যদি স্বতন্ত্রভাবে আসেন, তাহলে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চিন্তা করব না। তা ছাড়া তৈমূর সাহেব বারবারই বলেছেন স্বতন্ত্র প্রতীকে তিনি নির্বাচন করতে নারাজ।’

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র আরেক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘বিএনপি এই মুহূর্তে নির্বাচনে আসবে কি না তা নির্ভর করছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর। তিনি যদি কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রিন সিগন্যাল দেন, তবেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। তৈমূর আলম স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করতে নারাজ হলেও দলীয় প্রতীকে আগ্রহ রয়েছে তাঁর।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে বসিয়ে দেওয়া হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। সে সময় তৈমূর তাঁর এই অভিজ্ঞতাকে ‘গোসল ছাড়া কোরবানি দেওয়া হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন। এরপর ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে তাঁকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও পুরোনো ক্ষোভে এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। সেই সুযোগে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উঠে আসেন সাখাওয়াত হোসেন খান। এবারের নির্বাচনে দলটির দোদুল্যমান অবস্থান শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন জেলার বাসিন্দারা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত