মো. রনি মিয়াজী, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়)
দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশা। বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের। বিশেষ করে চা-বাগানের শ্রমিকেরা তাঁদের নির্ধারিত সময় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোনো কাজ করতে পারছেন না।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ শ্রমিক কুয়াশা হ্রাস পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থেকে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ পেটের দায়ে ঠান্ডার মধ্যেই পাতা তোলার কাজ করছেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের আবার গরম পোশাক ছেড়ে পাতলা কাপড় পরে থাকতে হচ্ছে। কারণ, চা-পাতায় লেগে থাকা কুয়াশায় শরীর ভিজে যায়।
শ্রমিকেরা জানান, এসব বাগানে চা-পাতা তোলার জন্য তাঁরা রাত দুইটা থেকে ভোরের মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং বেলা ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তোলা পাতা গাড়িতে বোঝাই দিয়ে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু কয়েক দিনে তাঁদের এই নিয়মে ছন্দপতন ঘটেছে। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
শ্রমিকেরা বলছেন, এখন তাঁরা অল্প সময় কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় তাঁদের আয় কমে গেছে। সেই সঙ্গে প্রতিবছর এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ হলেও তাঁরা তা তেমন পান না। কেউ তাঁদের খোঁজখবর রাখেন না। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কালান্দীগছ এলাকার চা-শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কনকনে শীতের সঙ্গে বাতাস ও শিশির থাকায় আমরা আগের মতো কাজ করতে পারছি না। সূর্যের আলো বা ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
একই কথা বলেন জহিরুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে শীতের মধ্যে পাতা কাটছি।অনেক কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে। কাজ না করলে তো না খেয়ে থাকতে হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ভজনপুরের শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা চা-শ্রমিক হলেও সরকার, চা বোর্ড কিংবা মালিকদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাই না। সরকার এত কম্বল দেয় অথচ আমরা তা চোখেও দেখি না।’
তবে চাচাষি ইলিয়াস হোসেন বকুল বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে চা-পাতার ন্যায্য দাম পাই না। ফলে লোকসানে পড়ছি। এ মাসেই চা-পাতা সংগ্রহ বন্ধ হবে। আবার চালু হবে পয়লা মার্চ থেকে। আমরা যতটুকু পারি শ্রমিকদের সহযোগিতা করি। সরকারিভাবে যদি তাঁদের সহযোগিতা করা হয়, শীতবস্ত্র দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় প্রতিবছর শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতার্ত মানুষেরা যেন দুর্ভোগে না পড়েন তাই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। পাথর ও চা-শ্রমিকদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশা। বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের। বিশেষ করে চা-বাগানের শ্রমিকেরা তাঁদের নির্ধারিত সময় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোনো কাজ করতে পারছেন না।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ শ্রমিক কুয়াশা হ্রাস পাওয়ার অপেক্ষায় বসে থেকে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ পেটের দায়ে ঠান্ডার মধ্যেই পাতা তোলার কাজ করছেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের আবার গরম পোশাক ছেড়ে পাতলা কাপড় পরে থাকতে হচ্ছে। কারণ, চা-পাতায় লেগে থাকা কুয়াশায় শরীর ভিজে যায়।
শ্রমিকেরা জানান, এসব বাগানে চা-পাতা তোলার জন্য তাঁরা রাত দুইটা থেকে ভোরের মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং বেলা ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তোলা পাতা গাড়িতে বোঝাই দিয়ে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু কয়েক দিনে তাঁদের এই নিয়মে ছন্দপতন ঘটেছে। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
শ্রমিকেরা বলছেন, এখন তাঁরা অল্প সময় কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় তাঁদের আয় কমে গেছে। সেই সঙ্গে প্রতিবছর এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ হলেও তাঁরা তা তেমন পান না। কেউ তাঁদের খোঁজখবর রাখেন না। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কালান্দীগছ এলাকার চা-শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কনকনে শীতের সঙ্গে বাতাস ও শিশির থাকায় আমরা আগের মতো কাজ করতে পারছি না। সূর্যের আলো বা ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
একই কথা বলেন জহিরুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে ভোর থেকে শীতের মধ্যে পাতা কাটছি।অনেক কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে। কাজ না করলে তো না খেয়ে থাকতে হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ভজনপুরের শ্রমিক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা চা-শ্রমিক হলেও সরকার, চা বোর্ড কিংবা মালিকদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাই না। সরকার এত কম্বল দেয় অথচ আমরা তা চোখেও দেখি না।’
তবে চাচাষি ইলিয়াস হোসেন বকুল বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে চা-পাতার ন্যায্য দাম পাই না। ফলে লোকসানে পড়ছি। এ মাসেই চা-পাতা সংগ্রহ বন্ধ হবে। আবার চালু হবে পয়লা মার্চ থেকে। আমরা যতটুকু পারি শ্রমিকদের সহযোগিতা করি। সরকারিভাবে যদি তাঁদের সহযোগিতা করা হয়, শীতবস্ত্র দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় প্রতিবছর শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতার্ত মানুষেরা যেন দুর্ভোগে না পড়েন তাই শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। পাথর ও চা-শ্রমিকদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে