জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে লক্ষ্যারচরঘাট নৌপথে ৫০টি সাম্পান চলাচল করে। এসব সাম্পানের কোনোটিতেই জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নেই।
শুধু সদরঘাট থেকে লক্ষ্যারচর নয়, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিভিন্ন ঘাটে চলাচল করা ৩ হাজার সাম্পানের মাঝিরা রাখেন না ন্যূনতম জীবনরক্ষার লাইফ জ্যাকেটও।
তদারকি সংস্থাগুলোও অভিযান পরিচালনা করে না। নৌ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর নদী থেকে লাশ তুলে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েই দায় সারছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ৩ হাজার সাম্পান ছাড়াও ছোট ছোট ট্রলার, মাছ ধরার জাহাজ আছে আরও ৫ হাজার। এসব বাহনে নেই বয়া, লাইফজ্যাকেট, দিকনির্ণায়ক যন্ত্র, বালু রাখার বালতি, নেভিগেশন বাতি, মাছ ধরার বাতি, প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী ও বালুর বস্তা। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায়।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এমভি মাগফেরাত নামের একটি মাছ ধরার জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়। ওই জাহাজে মোট ২১ জন নাবিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, বাকি সাতজন বেঁচে ফিরতে পারেননি।
এর আগে চলতি মাসের ২ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান থেকে পা পিছলে পড়ে বাহারুল আলম বাহার নামের এক ব্যবসায়ী মারা যান। এ বছরের ২৩ মে মেরিন ফিশারিজ ঘাট এলাকায় সাম্পান ডুবে গেলে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এভাবে দুই বছরে ১০টি দুর্ঘটনায় ২০ জন মানুষ মারা গেছেন। তবুও নৌ পুলিশ প্রশাসনের জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম আছে কি না, তা তদারকি না করার অভিযোগ রয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত চট্টগ্রাম শহর ও দক্ষিণ পাড়ের মানুষের পারাপারের জন্য ফিরিঙ্গিবাজার ফেরিঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, ডাঙ্গারচর সল্টগোলা ঘাট, জুলধা ৯ নম্বর ঘাট, ১১ নম্বর মাতবর ঘাট, ১২ নম্বর লেচুতলা ঘাট, ১৪ নম্বর বদলপুরা ঘাট, ১৫ নম্বর রাঙ্গাদিয়া ফেরিঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের ইজারা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
এসব ঘাট দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার বিদেশযাত্রী, হজযাত্রী, পশ্চিম অঞ্চলের শহরমুখী মানুষসহ মেরিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান কেইপিজেড, কর্ণফুলী টানেল ও বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার করে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারে কর্ণফুলী নদী কানায় কানায় পূর্ণ। নদীতে জাহাজসহ বড় বড় নৌযান চলাচল করছে। বড় বড় ঢেউ উঠছে নদীতে। এর মধ্যেই নৌকায় যাত্রী নিয়ে ঘাটের এপার থেকে ওপারে ভিড়ছেন মাঝিরা। নৌকা ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীও তুলছেন। সাম্পানে নেই কোনো জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম।
অভয়মিত্র ঘাট থেকে লক্ষ্যারচর ঘাটে যাত্রী তুলছিলেন সাম্পানমাঝি নুরুল আলম। একটি সাম্পানে ১০ জনের বেশি না নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি ১৫ জন যাত্রী তোলেন। তাঁর সাম্পানে কোনো লাইফজ্যাকেটও ছিল না।
নুরুল আলম বলেন, যাত্রীরা কেউ চান না। তাই লাইফ জ্যাকেটও রাখা হয় না।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, সাম্পানগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেন মাঝিরা। ঘাট পারাপারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়াও। দেওয়া হয় না লাইফজ্যাকেট। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সড়কপথে যানজট এড়াতে নদীতে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
আনোয়ারার বাসিন্দা নার্গিস আক্তার বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী ঘিরে চলাচল করা কোনো সাম্পানে লাইফজ্যাকেট নেই। আমরা চাইলেও তাঁরা দিতে পারেন না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহও মাছ ধরার জাহাজ ও সাম্পান মাঝিরা জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখেন না বলে স্বীকার করেন।
একরাম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকবার সাম্পান মাঝির নেতাদের সঙ্গে বসেছি, এ বিষয়ে বারবার বলেছি; কিন্তু তারপরও তাঁরা ন্যূনতম লাইফ জ্যাকেটও রাখেন না। মাঝিরা এটিকে বোঝা হিসেবে মনে করেন।’
চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে লক্ষ্যারচরঘাট নৌপথে ৫০টি সাম্পান চলাচল করে। এসব সাম্পানের কোনোটিতেই জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নেই।
শুধু সদরঘাট থেকে লক্ষ্যারচর নয়, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিভিন্ন ঘাটে চলাচল করা ৩ হাজার সাম্পানের মাঝিরা রাখেন না ন্যূনতম জীবনরক্ষার লাইফ জ্যাকেটও।
তদারকি সংস্থাগুলোও অভিযান পরিচালনা করে না। নৌ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর নদী থেকে লাশ তুলে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েই দায় সারছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ৩ হাজার সাম্পান ছাড়াও ছোট ছোট ট্রলার, মাছ ধরার জাহাজ আছে আরও ৫ হাজার। এসব বাহনে নেই বয়া, লাইফজ্যাকেট, দিকনির্ণায়ক যন্ত্র, বালু রাখার বালতি, নেভিগেশন বাতি, মাছ ধরার বাতি, প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী ও বালুর বস্তা। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায়।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এমভি মাগফেরাত নামের একটি মাছ ধরার জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়। ওই জাহাজে মোট ২১ জন নাবিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, বাকি সাতজন বেঁচে ফিরতে পারেননি।
এর আগে চলতি মাসের ২ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান থেকে পা পিছলে পড়ে বাহারুল আলম বাহার নামের এক ব্যবসায়ী মারা যান। এ বছরের ২৩ মে মেরিন ফিশারিজ ঘাট এলাকায় সাম্পান ডুবে গেলে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এভাবে দুই বছরে ১০টি দুর্ঘটনায় ২০ জন মানুষ মারা গেছেন। তবুও নৌ পুলিশ প্রশাসনের জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম আছে কি না, তা তদারকি না করার অভিযোগ রয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত চট্টগ্রাম শহর ও দক্ষিণ পাড়ের মানুষের পারাপারের জন্য ফিরিঙ্গিবাজার ফেরিঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, ডাঙ্গারচর সল্টগোলা ঘাট, জুলধা ৯ নম্বর ঘাট, ১১ নম্বর মাতবর ঘাট, ১২ নম্বর লেচুতলা ঘাট, ১৪ নম্বর বদলপুরা ঘাট, ১৫ নম্বর রাঙ্গাদিয়া ফেরিঘাট রয়েছে। এসব ঘাটের ইজারা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
এসব ঘাট দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার বিদেশযাত্রী, হজযাত্রী, পশ্চিম অঞ্চলের শহরমুখী মানুষসহ মেরিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান কেইপিজেড, কর্ণফুলী টানেল ও বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কয়েক লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার করে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারে কর্ণফুলী নদী কানায় কানায় পূর্ণ। নদীতে জাহাজসহ বড় বড় নৌযান চলাচল করছে। বড় বড় ঢেউ উঠছে নদীতে। এর মধ্যেই নৌকায় যাত্রী নিয়ে ঘাটের এপার থেকে ওপারে ভিড়ছেন মাঝিরা। নৌকা ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীও তুলছেন। সাম্পানে নেই কোনো জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম।
অভয়মিত্র ঘাট থেকে লক্ষ্যারচর ঘাটে যাত্রী তুলছিলেন সাম্পানমাঝি নুরুল আলম। একটি সাম্পানে ১০ জনের বেশি না নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি ১৫ জন যাত্রী তোলেন। তাঁর সাম্পানে কোনো লাইফজ্যাকেটও ছিল না।
নুরুল আলম বলেন, যাত্রীরা কেউ চান না। তাই লাইফ জ্যাকেটও রাখা হয় না।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, সাম্পানগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেন মাঝিরা। ঘাট পারাপারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়াও। দেওয়া হয় না লাইফজ্যাকেট। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সড়কপথে যানজট এড়াতে নদীতে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
আনোয়ারার বাসিন্দা নার্গিস আক্তার বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী ঘিরে চলাচল করা কোনো সাম্পানে লাইফজ্যাকেট নেই। আমরা চাইলেও তাঁরা দিতে পারেন না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহও মাছ ধরার জাহাজ ও সাম্পান মাঝিরা জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখেন না বলে স্বীকার করেন।
একরাম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকবার সাম্পান মাঝির নেতাদের সঙ্গে বসেছি, এ বিষয়ে বারবার বলেছি; কিন্তু তারপরও তাঁরা ন্যূনতম লাইফ জ্যাকেটও রাখেন না। মাঝিরা এটিকে বোঝা হিসেবে মনে করেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪