আ.লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহীরা

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ৩৩
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২২

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ১০ ইউপির আটটিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের কেউ অংশ নিচ্ছেন না। জাতীয় পার্টির দুজন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নয়জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

গত মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। সেদিনের পর থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র নামে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, মোটরসাইকেল মহড়াসহ নানাভাবে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের জানান দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১ নম্বর কাঞ্চনপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নাছির খান, ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউপিতে মো. সোহেল পাটোয়ারী, ৩ নম্বর ভাদুর ইউপিতে জাবেদ হোসেন, ৪ নম্বর ইছাপুর ইউপিতে শাহানাজ বেগম, ৫ নম্বর চণ্ডীপুর ইউপিতে কামাল হোসেন ভূঁইয়া, ৬ নম্বর লামচর ইউপিতে মাহেনারা পারভীন পান্না, ৭ নম্বর দরবেশপুর ইউপিতে মিজানুর রহমান, ৮ নম্বর করপাড়া ইউপিতে মুজিবুল হক মুজিব, ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউপিতে জামান পাটোয়ারী দুলাল এবং ১০ নম্বর ভাটরা ইউপিতে আবুল হোসেন মিঠু দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপি বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এবারও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছি না। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী দিলে হামলা-মামলা ও ঘরছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

উপজেলার ভাদুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোটে অংশ নিলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত