সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়ায় পাঁচ বছর ধরে গোখাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ সময় একটুও বাড়েনি দুধের দাম। এ নিয়ে হতাশ খামারিরা। তাঁরা চড়া দামে গোখাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে না পেরে অনেক খামারি গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে নিবন্ধিত গাভির খামারের সংখ্যা ১১০ ও অনিবন্ধিত ১ হাজার ৫০টি; ছাগলের নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১৪ ও অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ৫০ এবং ভেড়ার নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১০ ও অনিবন্ধিত খামার ১৬টি।
ওই কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, সাঁথিয়ায় চাহিদার চেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতিদিন দুধের চাহিদা থাকছে ৯২ মেট্রিক টন। সেখানে দুধ উৎপাদন হচ্ছে ৯৬ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় মিল্ক ভিটা, ব্র্যাক, প্রাণ, আকিজ ও এমোমিল্ক কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে এসব দুধ কিনছেন। তবে বাকি দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বস্তাপ্রতি ফিড ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং গমের ভুসি বস্তাপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। ছোলার ভুসি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, চালের খুদ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আর লবণ বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত।
উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা ফিড ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, গমের ভুসি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ছোলার ভুসি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, চালের খুদ প্রতি বস্তা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, লবণ প্রতি বস্তা ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামের গরুর খামারি ওহিদুল ইসলামের ৮টি গাভি প্রতিদিন প্রায় ৮০ লিটার দুধ দেয়। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। পাঁচ বছর আগেও এই দামে দুধ বিক্রি করেছেন। এখন দুধ বিক্রির টাকায় গরু খাবারও কিনতে পারছেন না তিনি। এমন অবস্থায় গরু পালন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
গোখাদ্য ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তাঁরা আজ যে দামে খুচরা বিক্রি করছেন, কাল আবার সে দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরুর খাদ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কিনছেন চাহিদার অর্ধেক।
পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রাশিয়া থেকে গম ও ভুট্টা না আসার কারণ দেখিয়ে ভুসি ও ফিড কোম্পানিগুলো দাম বাড়াচ্ছে। কোম্পানিগুলো কয়েক মাসে দফায় দফায় ভুসি ও ফিডের দাম বাড়িয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল ইসলাম বলেন, গোখাদ্যের দাম সহশীল হওয়া প্রয়োজন। খাদ্যের দাম যদি বৃদ্ধি পায় তা হলে দুধের দাম আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি হলে খামারিদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। তবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, বাজার দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনার সাঁথিয়ায় পাঁচ বছর ধরে গোখাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ সময় একটুও বাড়েনি দুধের দাম। এ নিয়ে হতাশ খামারিরা। তাঁরা চড়া দামে গোখাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে না পেরে অনেক খামারি গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে নিবন্ধিত গাভির খামারের সংখ্যা ১১০ ও অনিবন্ধিত ১ হাজার ৫০টি; ছাগলের নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১৪ ও অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ৫০ এবং ভেড়ার নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১০ ও অনিবন্ধিত খামার ১৬টি।
ওই কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, সাঁথিয়ায় চাহিদার চেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতিদিন দুধের চাহিদা থাকছে ৯২ মেট্রিক টন। সেখানে দুধ উৎপাদন হচ্ছে ৯৬ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় মিল্ক ভিটা, ব্র্যাক, প্রাণ, আকিজ ও এমোমিল্ক কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে এসব দুধ কিনছেন। তবে বাকি দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে বস্তাপ্রতি ফিড ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং গমের ভুসি বস্তাপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। ছোলার ভুসি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, চালের খুদ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আর লবণ বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত।
উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা ফিড ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, গমের ভুসি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ছোলার ভুসি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, চালের খুদ প্রতি বস্তা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, লবণ প্রতি বস্তা ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কোনাবাড়িয়া গ্রামের গরুর খামারি ওহিদুল ইসলামের ৮টি গাভি প্রতিদিন প্রায় ৮০ লিটার দুধ দেয়। তিনি বলেন, প্রতিদিন তিনি প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। পাঁচ বছর আগেও এই দামে দুধ বিক্রি করেছেন। এখন দুধ বিক্রির টাকায় গরু খাবারও কিনতে পারছেন না তিনি। এমন অবস্থায় গরু পালন করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
গোখাদ্য ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তাঁরা আজ যে দামে খুচরা বিক্রি করছেন, কাল আবার সে দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরুর খাদ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ কিনছেন চাহিদার অর্ধেক।
পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রাশিয়া থেকে গম ও ভুট্টা না আসার কারণ দেখিয়ে ভুসি ও ফিড কোম্পানিগুলো দাম বাড়াচ্ছে। কোম্পানিগুলো কয়েক মাসে দফায় দফায় ভুসি ও ফিডের দাম বাড়িয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল ইসলাম বলেন, গোখাদ্যের দাম সহশীল হওয়া প্রয়োজন। খাদ্যের দাম যদি বৃদ্ধি পায় তা হলে দুধের দাম আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি হলে খামারিদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। তবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, বাজার দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে