বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে মঙ্গোলিয়া

নাজিম আল শমষের, সিলেট থেকে
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২২, ০৭: ৪৮
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১১: ০৭

হাভিয়ের কাবরেরা আর ইচিরো ওতসুকার মধ্যে কিছু মিল আছে। দুজনই জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে, হেরেছেন নিজেদের প্রথম ম্যাচ। আর পার্থক্য হচ্ছে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে কিছুতেই হার দেখতে চান না বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা। আর বাংলাদেশ থেকে কোনোভাবে একটা ড্র হলেই সেটাকে জয় ভেবে খুশি থাকবেন মঙ্গোলিয়া কোচ ওতসুকা।

বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়ার র‍্যাঙ্কিং সম্পর্কে ধারণা থাকলে জাপানি ওতসুকার কথাটা অদ্ভুত মনে হতে পারে। র‍্যাঙ্কিংয়ে মঙ্গোলিয়ার চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৮৬ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ। তবে বাস্তবতা আর র‍্যাঙ্কিং ভিন্ন বিষয় বলেই হয়তো আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া ম্যাচটায় স্বাগতিকদেরই আকারে-ইঙ্গিতে এগিয়ে রাখলেন সফরকারী কোচ।

পরিসংখ্যানও কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষেই। ২১ বছর আগে এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার মঙ্গোলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন আলফাজ-রোকনরা। ২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেসেখেলে জিতলেও এক সপ্তাহ পর ‘পুঁচকে’ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে শেষ সময়ের গোলে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই প্রথমবার কোনো ফিফা টুর্নামেন্টে পয়েন্ট পেয়ে ইতিহাস গড়েছিল মঙ্গোলিয়া। সেই ড্রয়ে জীবনটাও পাল্টে দিয়েছিল মঙ্গোলিয়া অধিনায়ক তিসেন্দ-আয়ুশ খুরেলবাতারের। তখন থেকেই তিনি দেখেন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন।

প্রচণ্ড শীতে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কোনো অনুশীলনই করতে পারেনি মঙ্গোলিয়া। মার্চে হাতে পাওয়া দলের অনেক ফুটবলারের নামও জানেন না বলে জানালেন জাপানি ওতসুকা। বন্ধুদের কাছ থেকে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর প্রশংসা শুনেছেন অনেক। মঙ্গোলিয়ার হিমাঙ্কের ঠান্ডা থেকে বের হয়ে সিলেটের বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় ড্র পেলেই খুশি ওতসুকা। বললেন, ‘বাংলাদেশ দল অনেক দ্রুত আক্রমণে যায়। আমিই জিততেই চাই, তবে ড্র হলে মন্দ হবে না।’

প্রতিপক্ষ কোচ যেখানে ড্র পেলেই বর্তে যান সেখানে সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ম্যাচকে সামনে রেখে দর্শকদের জন্য টিকিট ছেড়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মঙ্গোলিয়ান ফুটবলাররা টার্ফে খেলে অভ্যস্ত। সিলেটের জেলা স্টেডিয়ামের বড় ঘাস আজ সকালে খানিকটা ছেঁটে ছোট করার থাকলেও মাঠকর্মীদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাস বড় রাখার পরামর্শ জামালের। উদ্দেশ্য অনভ্যস্ত প্রতিপক্ষকে স্বচ্ছন্দে খেলতে না দেওয়া। জামাল বললেন, ‘আমি এই স্টেডিয়াম সব সময় পছন্দ করি। মনে হয়, সব সময় দর্শকেরা খুব কাছে আছে। আমরা সব ফুটবলার চাই, দর্শক মাঠে আসুক। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত