রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
নির্মাণকাজ চলমান থাকা অবস্থায় ভেঙে যাচ্ছে সেতু। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুর পিলারের ওপর ঢালাইয়ের সময় দুটি পিলার খালের পানিতে কিছুটা তলিয়ে যায়। এর আগেও খালের পানিতে কয়েকটি পিলার ডুবে যায়। নতুন ভাঙনের পর সাময়িক সময়ের জন্য সেতুর কাজ বন্ধ রাখা হয়। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এই বিপত্তি। কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে একাধিক পিলার স্থাপন করে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকায় সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার এক বছর পর গত মাসে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেতু নির্মাণে তৈরি রড ও পিলারে মরীচিকা পড়ে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সাধারণের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়।
জানা যায়, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার সময়সীমা পার হলেও এখন পর্যন্ত সেতুর অর্ধেকেরও কম কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে লাপাত্তা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স। পরবর্তী সময়ে এলজিইডির হস্তক্ষেপে পুনরায় কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে এক কোটি পঁচাত্তর লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা করা হয়। খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে মাঝপথে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এলজিইডির হস্তক্ষেপে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে সেতুর।
সরেজমিনে দেখা যায়, লামকুপাড়া ও ইউপি এলাকার মানুষের কালাডেবা বাজারে আসার একমাত্র সেতু এটি। প্রায় ২০০০ পরিবারের বসবাস এ এলাকায়। সেতু নির্মাণের কাজ চললেও স্থানীয়দের মনে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার ও রড গাঁথুনির পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। খালের পানি চলাচলের জন্য বিকল্প খাল না থাকায় পানিতে ভেসে যায় রডের বেশ কয়েকটি গাঁথুনি। এর মধ্যে সেতুজুড়ে রড ও পিলারগুলো অযত্নে পড়ে ছিল, যাতে মরীচিকা ধরে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় এসব পিলারের ওপর আদৌ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান জানান, সেতুটি বর্তমানে মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য সাময়িকভাবে খালের ওপর তৈরি করা হয়েছিল বিকল্প সেতু। বৃষ্টির পানি ও কাদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে লোহার তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিশেষ করে ভ্যান-রিকশা ও মোটরসাইকেল চালকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা জানান, নির্মাণের সময় চরম অবহেলার শিকার হয়েছে সেতুটি। কিছুদিন আগেও পিলারগুলো খালের পানিতে ভেসে চলে যায়। গতকাল ঢালাইয়ের সময় পিলার ডুবে গেছে পানিতে। জোড়াতালি দিয়ে এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি ভেঙে যাবে বলে সবাই ভয় পাচ্ছেন।
রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বশর জানান, ‘ঠিকাদার কোম্পানিরা সাধারণত কাজে তো গাফিলতি করেই যাচ্ছে। তাঁরা এক প্রকার পানির ওপর কচুপাতার সেতু তৈরি করছেন। পরপর দুবার ভেঙে গেছে। সবমহলে জানানোর পরও সঠিক প্রতিকার পাচ্ছি না।’
নির্মাণকাজ চলমান থাকা অবস্থায় ভেঙে যাচ্ছে সেতু। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুর পিলারের ওপর ঢালাইয়ের সময় দুটি পিলার খালের পানিতে কিছুটা তলিয়ে যায়। এর আগেও খালের পানিতে কয়েকটি পিলার ডুবে যায়। নতুন ভাঙনের পর সাময়িক সময়ের জন্য সেতুর কাজ বন্ধ রাখা হয়। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এই বিপত্তি। কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে একাধিক পিলার স্থাপন করে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকায় সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার এক বছর পর গত মাসে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেতু নির্মাণে তৈরি রড ও পিলারে মরীচিকা পড়ে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল সাধারণের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়।
জানা যায়, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার সময়সীমা পার হলেও এখন পর্যন্ত সেতুর অর্ধেকেরও কম কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে লাপাত্তা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স। পরবর্তী সময়ে এলজিইডির হস্তক্ষেপে পুনরায় কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
রামগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে এক কোটি পঁচাত্তর লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা করা হয়। খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ১ মার্চ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে মাঝপথে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এলজিইডির হস্তক্ষেপে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে সেতুর।
সরেজমিনে দেখা যায়, লামকুপাড়া ও ইউপি এলাকার মানুষের কালাডেবা বাজারে আসার একমাত্র সেতু এটি। প্রায় ২০০০ পরিবারের বসবাস এ এলাকায়। সেতু নির্মাণের কাজ চললেও স্থানীয়দের মনে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার ও রড গাঁথুনির পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। খালের পানি চলাচলের জন্য বিকল্প খাল না থাকায় পানিতে ভেসে যায় রডের বেশ কয়েকটি গাঁথুনি। এর মধ্যে সেতুজুড়ে রড ও পিলারগুলো অযত্নে পড়ে ছিল, যাতে মরীচিকা ধরে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় এসব পিলারের ওপর আদৌ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান জানান, সেতুটি বর্তমানে মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য সাময়িকভাবে খালের ওপর তৈরি করা হয়েছিল বিকল্প সেতু। বৃষ্টির পানি ও কাদায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে লোহার তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিশেষ করে ভ্যান-রিকশা ও মোটরসাইকেল চালকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা জানান, নির্মাণের সময় চরম অবহেলার শিকার হয়েছে সেতুটি। কিছুদিন আগেও পিলারগুলো খালের পানিতে ভেসে চলে যায়। গতকাল ঢালাইয়ের সময় পিলার ডুবে গেছে পানিতে। জোড়াতালি দিয়ে এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি ভেঙে যাবে বলে সবাই ভয় পাচ্ছেন।
রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বশর জানান, ‘ঠিকাদার কোম্পানিরা সাধারণত কাজে তো গাফিলতি করেই যাচ্ছে। তাঁরা এক প্রকার পানির ওপর কচুপাতার সেতু তৈরি করছেন। পরপর দুবার ভেঙে গেছে। সবমহলে জানানোর পরও সঠিক প্রতিকার পাচ্ছি না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে