Ajker Patrika

রাজশাহীতে মৃত ব্যক্তির নামে যাচ্ছে বয়স্ক ভাতা

রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীতে মৃত ব্যক্তির নামে যাচ্ছে বয়স্ক ভাতা

বছরখানেক আগে মারা গেছেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু তাঁর পরিবার তাঁর নামে বয়স্ক ভাতার বই জমা দেননি। স্থানীয় কাউন্সিলরও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। ফলে মৃত্যুর পরও একাধিকবার নজরুলের মোবাইলে গেছে সেই টাকা।

নজরুল ইসলাম ছিলেন রাজশাহী মহানগরীর ভাটাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘নজরুলের ছেলে রতনকে অনেক বলেছি, যেন তার বাবার বইটা জমা দেয়। তাহলে বইয়ের তথ্যগুলো সমাজসেবা অফিসে দিয়ে নজরুলের মৃত্যুর খবরটা জানিয়ে দেব। কিন্তু রতন বই জমা না দেওয়ায় ভাতা বন্ধ হয়নি।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী শহরে বয়স্ক ভাতার উপকারভোগী ১৩ হাজার ২৩ জন। উপকারভোগী মারা যাওয়ার পরও তাঁর স্বজনেরা বিষয়টি চেপে যান। আবার কখনো কখনো এলাকার কাউন্সিলররাও ভাতা বন্ধের উদ্যোগ নেন না। তাই সমাজসেবা কার্যালয় এবার উপকারভোগীদের জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজশাহী শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে ‘লাইফ ভেরিফিকেশন’ করার পরই দেওয়া হচ্ছে টাকা। এতে গত দুই মাসে প্রায় ২০০ মৃত উপকারভোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। রাজশাহী মহানগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু বলেন, ‘উপকারভোগী মারা যান, কিন্তু কেউ কেউ জানান না। তবে আমার ওয়ার্ডে এ রকম হয় না। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারলেই ভাতা বন্ধের উদ্যোগ নিই।’

গত সোমবার সকালে রাজশাহী শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভাতার টাকা না পেয়ে অনেকে বই হাতে অফিসে ছুটে আসছেন। কর্মকর্তারা বইয়ের ছবির সঙ্গে 
ব্যক্তির চেহারা এবং মোবাইল নম্বর মিলিয়ে দেখছেন।

শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল মমিন বলেন, ‘আমরা তালিকা খতিয়ে দেখছি। এতে মৃত উপকারভোগী শনাক্ত হচ্ছে, ভাতা বন্ধ হচ্ছে। সেই জায়গায় আমরা অন্য প্রবীণকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত