জিয়াউল হাসান
ব্যাংকিং সেবা-বহির্ভূত বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় আনতে ২০১৪ সালে ব্যাংক এশিয়া দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রবর্তন করে। এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণাটি এসেছে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উদ্যোগ থেকে। ২০১২ সালে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প ‘একটি বাড়ি একটি খামার’-এর ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয় ব্যাংক এশিয়া। এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণাটি জন্ম নেয়।
বিশ্বের কয়েকটা দেশে আগে থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং চালু ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবায়ন ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। পাইলটিং হয় রাজধানীর অদূরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নে। প্রথম এজেন্ট ইসলাম শেখ। তখনো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওপর সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। মানুষও এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। ব্যাংকিং পরিচালনা পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক উপাদানও তখন অপরীক্ষিত। সব মিলিয়ে শুরুটা ছিল বন্ধুর পথচলা।
৬৪ জেলায় এখন আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি। এ গ্রাহকের ৯২ শতাংশ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ৬২ শতাংশ নারী। ব্যক্তিক, প্রাতিষ্ঠানিক, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সিটি ডিজিটাল সেন্টার ও ডিজিটাল পোস্ট অফিস ব্যাংকিং মিলে সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজারের অধিক এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি ৫৫ হাজারের বেশি মাইক্রো মার্চেন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে।
ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বলতে গেলে পূর্ণ শাখার মতো গ্রাহককে সব ব্যাংকিং সেবাই দিতে পারছে। দিতে পারছে না কেবল আমদানি-রপ্তানি সহায়ক ব্যাংকিং সেবা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং সেবা-বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে সহজে, দ্রুততার সাথে ও নিরাপদ উপায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়া।
প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক এ বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনে সংযুক্ত হয়েছে এবং জিডিপিতে ভূমিকা রাখছে। তারা দৈনিক লেনদেনের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা এবং ঋণ সুবিধা গ্রহণ করছে। এ গ্রাহকের বেশির ভাগই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কৃষক ও নারী। গ্রাম থেকে শহর, সকল পর্যায়ে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ ব্যাংকিং সেবা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি সামাজিক সুরক্ষা ভাতা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে। এ বিশেষায়িত সেবা দ্রুত সম্প্রসারণে ব্যাংক এশিয়া সমাজকল্যাণসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ‘এটুআই’ প্রকল্প, ইউএনডিপি, ইউএসএইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ডফিশ, সুইসকন্টাক্ট, মেটলাইফ ফাউন্ডেশনসহ প্রায় ৬৬টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
ব্যাংকিং সেবা-বহির্ভূত বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় আনতে ২০১৪ সালে ব্যাংক এশিয়া দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রবর্তন করে। এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণাটি এসেছে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উদ্যোগ থেকে। ২০১২ সালে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প ‘একটি বাড়ি একটি খামার’-এর ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয় ব্যাংক এশিয়া। এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং ধারণাটি জন্ম নেয়।
বিশ্বের কয়েকটা দেশে আগে থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং চালু ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবায়ন ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। পাইলটিং হয় রাজধানীর অদূরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নে। প্রথম এজেন্ট ইসলাম শেখ। তখনো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওপর সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। মানুষও এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। ব্যাংকিং পরিচালনা পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক উপাদানও তখন অপরীক্ষিত। সব মিলিয়ে শুরুটা ছিল বন্ধুর পথচলা।
৬৪ জেলায় এখন আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি। এ গ্রাহকের ৯২ শতাংশ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ৬২ শতাংশ নারী। ব্যক্তিক, প্রাতিষ্ঠানিক, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সিটি ডিজিটাল সেন্টার ও ডিজিটাল পোস্ট অফিস ব্যাংকিং মিলে সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজারের অধিক এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি ৫৫ হাজারের বেশি মাইক্রো মার্চেন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে।
ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বলতে গেলে পূর্ণ শাখার মতো গ্রাহককে সব ব্যাংকিং সেবাই দিতে পারছে। দিতে পারছে না কেবল আমদানি-রপ্তানি সহায়ক ব্যাংকিং সেবা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং সেবা-বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে সহজে, দ্রুততার সাথে ও নিরাপদ উপায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়া।
প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক এ বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনে সংযুক্ত হয়েছে এবং জিডিপিতে ভূমিকা রাখছে। তারা দৈনিক লেনদেনের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা এবং ঋণ সুবিধা গ্রহণ করছে। এ গ্রাহকের বেশির ভাগই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কৃষক ও নারী। গ্রাম থেকে শহর, সকল পর্যায়ে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ ব্যাংকিং সেবা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এজেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি সামাজিক সুরক্ষা ভাতা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে। এ বিশেষায়িত সেবা দ্রুত সম্প্রসারণে ব্যাংক এশিয়া সমাজকল্যাণসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ‘এটুআই’ প্রকল্প, ইউএনডিপি, ইউএসএইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ডফিশ, সুইসকন্টাক্ট, মেটলাইফ ফাউন্ডেশনসহ প্রায় ৬৬টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪