আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রায় অর্ধশত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বয়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শেষে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগেই এক-তৃতীয়াংশ মেশিন অকেজো হয়ে গেছে।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সরকারের বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে এসব হাজিরা যন্ত্র কিনেছিল শিক্ষা কার্যালয়। অভিযোগ আছে, বাজারমূল্যের অধিক দামে কেনা এসব যন্ত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। এতে ১৪ লাখ ২৮ হাজার সরকারি টাকা জলাঞ্জলিতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে!
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ও মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ ব্যয় নির্বাহে প্রতিবছর শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে ১ থেকে ২০০ জনে ৫০ হাজার, ২০১ থেকে ৫০০ জনে ৭০ হাজার এবং ৫০১-এর বেশি হলে ৮৫ হাজার টাকা স্লিপ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টিতে গত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ থেকে বয়োমেট্রিক (শিক্ষক) হাজিরা যন্ত্র দেওয়া হয়। প্রতিটি বাবদ ৩৪ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বয়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্র সরবরাহ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া!
এদিকে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ৩০টি বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সচল ও ১২টি অচল উল্লেখ করেন। প্রতিবেদনটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে পাঠালেও বাস্তবে এক-তৃতীয়াংশ মেশিন অচল!
গত সোমবার উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র সচল পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২টায় তিনটহরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর স্লিপের অর্থ এলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক কমিটি ও শিক্ষকেরা সভা ডেকে আলোচনাক্রমে ব্যয় নির্ধারণে প্রাক্কলন করি। কিন্তু ওই সময় (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র কিনতে আমাদের শিক্ষা কর্মকর্তারা বাধ্য করেন। ৩৪ হাজার টাকা কেটে রেখে তাঁরাই (শিক্ষা কর্মকর্তারা) এই নিম্নমানের মেশিন সরবরাহ করেন। যা আলোর মুখ দেখার আগেই অর্থের জলাঞ্জলি ঘটল!’
এ সময় শিক্ষক আবদুল হাকিম বিদ্যালয়ের কার্যালয় কক্ষে স্থাপিত মেশিনে বারবার আঙুলের চাপ দিয়ে মেশিন অচলের বিষয়টি দেখান!
ওসমানপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. এমাদুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র এক দিনের জন্য চালু করা যায়নি! এটি নিম্নমানের হওয়ায় কাজে আসেনি।’ গাড়িটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিল মিয়া বলেন, ‘মেশিনের স্ক্রিন নষ্ট হয়ে গেছে।’
ভুক্তভোগীরা জানান, হাজিরা যন্ত্র নষ্ট হওয়া বিষয়ে তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সদুত্তর মেলেনি। নিম্নমানের মেশিন চড়া দাম দেখিয়ে স্লিপের অর্থ কেটে নিয়ে তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জবরুত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ৪২টিতে স্থাপিত বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্রের মধ্যে ১২টি অচল পেয়েছেন। অবশিষ্ট ৩০টি সচল বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। আমার জানা মতে, ওই প্রতিবেদনের বিপরীতে নতুন কোনো অভিযোগ আমি এই বছর পাইনি।’
জবরুত খান বলেন, ‘ডিজিটাল বায়োমেট্রিক এসব যন্ত্র কেনার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা ব্যবহার শুরু করেছেন, সেগুলো সচল আছে। আর যাঁরা যথাসময়ে চালু করেনি, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রায় অর্ধশত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বয়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শেষে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগেই এক-তৃতীয়াংশ মেশিন অকেজো হয়ে গেছে।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সরকারের বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে এসব হাজিরা যন্ত্র কিনেছিল শিক্ষা কার্যালয়। অভিযোগ আছে, বাজারমূল্যের অধিক দামে কেনা এসব যন্ত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। এতে ১৪ লাখ ২৮ হাজার সরকারি টাকা জলাঞ্জলিতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে!
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ও মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ ব্যয় নির্বাহে প্রতিবছর শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে ১ থেকে ২০০ জনে ৫০ হাজার, ২০১ থেকে ৫০০ জনে ৭০ হাজার এবং ৫০১-এর বেশি হলে ৮৫ হাজার টাকা স্লিপ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টিতে গত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ থেকে বয়োমেট্রিক (শিক্ষক) হাজিরা যন্ত্র দেওয়া হয়। প্রতিটি বাবদ ৩৪ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বয়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্র সরবরাহ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া!
এদিকে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ৩০টি বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সচল ও ১২টি অচল উল্লেখ করেন। প্রতিবেদনটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে পাঠালেও বাস্তবে এক-তৃতীয়াংশ মেশিন অচল!
গত সোমবার উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র সচল পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২টায় তিনটহরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর স্লিপের অর্থ এলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক কমিটি ও শিক্ষকেরা সভা ডেকে আলোচনাক্রমে ব্যয় নির্ধারণে প্রাক্কলন করি। কিন্তু ওই সময় (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র কিনতে আমাদের শিক্ষা কর্মকর্তারা বাধ্য করেন। ৩৪ হাজার টাকা কেটে রেখে তাঁরাই (শিক্ষা কর্মকর্তারা) এই নিম্নমানের মেশিন সরবরাহ করেন। যা আলোর মুখ দেখার আগেই অর্থের জলাঞ্জলি ঘটল!’
এ সময় শিক্ষক আবদুল হাকিম বিদ্যালয়ের কার্যালয় কক্ষে স্থাপিত মেশিনে বারবার আঙুলের চাপ দিয়ে মেশিন অচলের বিষয়টি দেখান!
ওসমানপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. এমাদুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষক হাজিরা যন্ত্র এক দিনের জন্য চালু করা যায়নি! এটি নিম্নমানের হওয়ায় কাজে আসেনি।’ গাড়িটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিল মিয়া বলেন, ‘মেশিনের স্ক্রিন নষ্ট হয়ে গেছে।’
ভুক্তভোগীরা জানান, হাজিরা যন্ত্র নষ্ট হওয়া বিষয়ে তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সদুত্তর মেলেনি। নিম্নমানের মেশিন চড়া দাম দেখিয়ে স্লিপের অর্থ কেটে নিয়ে তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জবরুত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদায়ী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ৪২টিতে স্থাপিত বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্রের মধ্যে ১২টি অচল পেয়েছেন। অবশিষ্ট ৩০টি সচল বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। আমার জানা মতে, ওই প্রতিবেদনের বিপরীতে নতুন কোনো অভিযোগ আমি এই বছর পাইনি।’
জবরুত খান বলেন, ‘ডিজিটাল বায়োমেট্রিক এসব যন্ত্র কেনার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা ব্যবহার শুরু করেছেন, সেগুলো সচল আছে। আর যাঁরা যথাসময়ে চালু করেনি, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে