তানিম আহমেদ, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় নির্দেশনার পরেও মাঠে পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে দলটি।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সমন্বয় সভা করে সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা হচ্ছে। শোকের মাস আগস্ট শেষে তা দূর করতে কার্যক্রম শুরু করা হবে। দলীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকায় দলের মধ্যে একটা সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এতে কেউ কেউ টাকার কুমির হয়েছেন। কিন্তু দুঃসময়ে তাঁদের মাঠে পাওয়া যায়নি। গত কয়েক দিনের আন্দোলন মোকাবিলায় যাঁরা আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াননি, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলেন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিষয়ে কঠোর হবে দল। পাশাপাশি পুরোনো ও দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ করা যাঁরা অভিমান করে রাজনীতি ছেড়েছেন, তাঁদের হাতে দলের দায়িত্বভার দেওয়ার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংগঠন নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। কাদের ভাই আপার (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। যা হয়েছে, তা থেকে তো ওভারকাম করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই নেত্রীর মাথায় আছে। আর আমরাও চিন্তা করছি।’
ব্যর্থদের বিষয়ে আপনাদের চিন্তাভাবনা কী—এমন প্রশ্নে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘সবার কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। এখনই বলব কীভাবে? অনেকের মাঠে থাকার বার্তা পেয়েছি। আবার অনেকেই ছিল না। তাই সবকিছু বুঝেশুনেই ধরতে হবে। যেটা দলের জন্য ভালো হবে, তা-ই করা হবে।’
ছাত্রদের আন্দোলন ঘিরে ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ১৮ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়েও হামলার চেষ্টা হয়। সে সময় ধানমন্ডিতে শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধে হামলাকারীরা পিছু হটে। ওই দিন কার্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য মূল সড়কে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। গতকাল শুক্রবারও বিজিবির অবস্থান দেখা যায়।
১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালীসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় আন্দোলনকারীদের শক্ত অবস্থান ছিল। এর মধ্যে ঢাকা-৪, ৫, ১১, ১৪, ১৫, ১৬ এবং ১৮ সংসদীয় আসনের এমপিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাধীন থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা, কাউন্সিলরদের সঙ্গে দুই দিন সমন্বয় সভা করে আওয়ামী লীগ। সেখানে মাঠপর্যায়ের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ, তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটায়। গত বৃহস্পতিবারের সমন্বয় সভায় ব্যর্থতা নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
মাঠে নিষ্ক্রিয় থাকায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের (মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর থানাধীন) ২৭টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করেছে। একই সঙ্গে জেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নিষ্ক্রিয়দের চিহ্নিত করে ব্যবস্থার কথা বলছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যাঁদের মাঠে পাওয়া যায়নি, সেসব কমিটি তো রাখার প্রয়োজন নেই। আর যেসব নেতার দলের দুঃসময়ে কোনো ভূমিকা না থাকে, স্বাভাবিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ তো বের করতে হবে। নিষ্ক্রিয় নেতারা পদ ধরে বসে থাকবেন; আবার দুঃসময়ে মাঠে থাকবেন না। তাই তাঁদের বাদ দিতেই হবে।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক যে জটিলতাগুলো আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করে, নিজেদের ঐক্য ঠিক রেখে আগামীর জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয়হীনতা থাকলে সেটা আস্তে মূল্যায়ন করব। সময় আছে। এটা নিয়ে কর্মীদের কথা আছে। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন মোকাবিলায় নির্দেশনার পরেও মাঠে পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে দলটি।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সমন্বয় সভা করে সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা হচ্ছে। শোকের মাস আগস্ট শেষে তা দূর করতে কার্যক্রম শুরু করা হবে। দলীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকায় দলের মধ্যে একটা সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এতে কেউ কেউ টাকার কুমির হয়েছেন। কিন্তু দুঃসময়ে তাঁদের মাঠে পাওয়া যায়নি। গত কয়েক দিনের আন্দোলন মোকাবিলায় যাঁরা আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াননি, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলেন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিষয়ে কঠোর হবে দল। পাশাপাশি পুরোনো ও দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ করা যাঁরা অভিমান করে রাজনীতি ছেড়েছেন, তাঁদের হাতে দলের দায়িত্বভার দেওয়ার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংগঠন নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। কাদের ভাই আপার (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। যা হয়েছে, তা থেকে তো ওভারকাম করতে হবে। এটা নিশ্চয়ই নেত্রীর মাথায় আছে। আর আমরাও চিন্তা করছি।’
ব্যর্থদের বিষয়ে আপনাদের চিন্তাভাবনা কী—এমন প্রশ্নে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘সবার কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। এখনই বলব কীভাবে? অনেকের মাঠে থাকার বার্তা পেয়েছি। আবার অনেকেই ছিল না। তাই সবকিছু বুঝেশুনেই ধরতে হবে। যেটা দলের জন্য ভালো হবে, তা-ই করা হবে।’
ছাত্রদের আন্দোলন ঘিরে ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ১৮ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়েও হামলার চেষ্টা হয়। সে সময় ধানমন্ডিতে শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধে হামলাকারীরা পিছু হটে। ওই দিন কার্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য মূল সড়কে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। গতকাল শুক্রবারও বিজিবির অবস্থান দেখা যায়।
১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালীসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় আন্দোলনকারীদের শক্ত অবস্থান ছিল। এর মধ্যে ঢাকা-৪, ৫, ১১, ১৪, ১৫, ১৬ এবং ১৮ সংসদীয় আসনের এমপিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাধীন থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা, কাউন্সিলরদের সঙ্গে দুই দিন সমন্বয় সভা করে আওয়ামী লীগ। সেখানে মাঠপর্যায়ের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ, তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটায়। গত বৃহস্পতিবারের সমন্বয় সভায় ব্যর্থতা নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
মাঠে নিষ্ক্রিয় থাকায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের (মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর থানাধীন) ২৭টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করেছে। একই সঙ্গে জেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নিষ্ক্রিয়দের চিহ্নিত করে ব্যবস্থার কথা বলছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যাঁদের মাঠে পাওয়া যায়নি, সেসব কমিটি তো রাখার প্রয়োজন নেই। আর যেসব নেতার দলের দুঃসময়ে কোনো ভূমিকা না থাকে, স্বাভাবিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ তো বের করতে হবে। নিষ্ক্রিয় নেতারা পদ ধরে বসে থাকবেন; আবার দুঃসময়ে মাঠে থাকবেন না। তাই তাঁদের বাদ দিতেই হবে।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক যে জটিলতাগুলো আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করে, নিজেদের ঐক্য ঠিক রেখে আগামীর জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমন্বয়হীনতা থাকলে সেটা আস্তে মূল্যায়ন করব। সময় আছে। এটা নিয়ে কর্মীদের কথা আছে। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে