মুফতি আবু দারদা
মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। সব সৃষ্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। যার মৃত্যু যখন নির্ধারণ করা হয়েছে, ঠিক তখনই তার মৃত্যু হবে। এক মুহূর্ত আগে-পরে হবে না। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আকস্মিকভাবে মারা যাওয়া নিশ্চয়ই কারও জন্য সুখকর নয়। মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
স্বাভাবিক মৃত্যু মুমিনের জন্য আল্লাহর রহমত। মৃত্যুর মাধ্যমে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে এবং ভালো কাজের পুরস্কার বুঝে নেবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন সে দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায়।’ (নাসায়ি: ১৯৩০) অন্যদিকে তা আল্লাহর অবাধ্যদের জন্য বিপদের কারণ। অবাধ্যতার জন্য তাকে কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। বিশেষ করে আকস্মিক মৃত্যু পাপাচারীদের তওবা করারও সুযোগ দেয় না। তাই এটি তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। হাদিসে এসেছে, ‘(হঠাৎ মৃত্যু) পাপীর জন্য আফসোস আর মুমিনের জন্য নিষ্কৃতির কারণ।’ (বায়হাকি: ৩ / ৩৭৯)
এক হাদিসে আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামতও বলা হয়েছে। কিয়ামতের আগে আকস্মিক মৃত্যুর পরিমাণ বেড়ে যাবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের একটি আলামত হলো আকস্মিক মৃত্যু প্রকাশ পাওয়া।’ (তাবারানি: ২৩৩)
আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাদমি, ওয়া আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল গারাকি ওয়াল হারাকি ওয়াল হারামি, ওয়া আউজুবিকা আইয়াতাখব্বাতানিশ শাইতনু ইনদাল মাওতি, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা ফি সাবিলিকা মুদবিরান, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা লাদি-গান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার কাছে চাপা পড়ে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই, গহ্বরে পড়ে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই, আপনার কাছে পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ থেকে এবং অতিবার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই। আপনার কাছে মৃত্যুকালে শয়তানের প্রভাব থেকে আশ্রয় চাই, আপনার পথে যুদ্ধ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই এবং আপনার কাছে বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ: ১৫৫২; নাসায়ি: ৫৫৪৬; হাকিম: ১ / ৫৩১)
আমাদেরও আকস্মিক মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া উচিত। সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থেকে স্বাভাবিকভাবে জীবনাবসানের জন্য প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। সব সৃষ্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। যার মৃত্যু যখন নির্ধারণ করা হয়েছে, ঠিক তখনই তার মৃত্যু হবে। এক মুহূর্ত আগে-পরে হবে না। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আকস্মিকভাবে মারা যাওয়া নিশ্চয়ই কারও জন্য সুখকর নয়। মহানবী (সা.) আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
স্বাভাবিক মৃত্যু মুমিনের জন্য আল্লাহর রহমত। মৃত্যুর মাধ্যমে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে এবং ভালো কাজের পুরস্কার বুঝে নেবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন সে দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পায়।’ (নাসায়ি: ১৯৩০) অন্যদিকে তা আল্লাহর অবাধ্যদের জন্য বিপদের কারণ। অবাধ্যতার জন্য তাকে কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। বিশেষ করে আকস্মিক মৃত্যু পাপাচারীদের তওবা করারও সুযোগ দেয় না। তাই এটি তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। হাদিসে এসেছে, ‘(হঠাৎ মৃত্যু) পাপীর জন্য আফসোস আর মুমিনের জন্য নিষ্কৃতির কারণ।’ (বায়হাকি: ৩ / ৩৭৯)
এক হাদিসে আকস্মিক মৃত্যুকে কিয়ামতের আলামতও বলা হয়েছে। কিয়ামতের আগে আকস্মিক মৃত্যুর পরিমাণ বেড়ে যাবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের একটি আলামত হলো আকস্মিক মৃত্যু প্রকাশ পাওয়া।’ (তাবারানি: ২৩৩)
আকস্মিক মৃত্যু থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাদমি, ওয়া আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল গারাকি ওয়াল হারাকি ওয়াল হারামি, ওয়া আউজুবিকা আইয়াতাখব্বাতানিশ শাইতনু ইনদাল মাওতি, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা ফি সাবিলিকা মুদবিরান, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা লাদি-গান।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার কাছে চাপা পড়ে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই, গহ্বরে পড়ে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই, আপনার কাছে পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ থেকে এবং অতিবার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই। আপনার কাছে মৃত্যুকালে শয়তানের প্রভাব থেকে আশ্রয় চাই, আপনার পথে যুদ্ধ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই এবং আপনার কাছে বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মারা যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ: ১৫৫২; নাসায়ি: ৫৫৪৬; হাকিম: ১ / ৫৩১)
আমাদেরও আকস্মিক মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া উচিত। সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থেকে স্বাভাবিকভাবে জীবনাবসানের জন্য প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪