আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থী হলেন না সুশীল

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০১
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২৯

সারা দেশে ইউপি নির্বাচনে চেয়্যারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় নেতাদের মরিয়া চেষ্টা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আরাধ্য এই মনোনয়ন পেয়েও ফরিদপুরের সদরপুর সদর ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দেননি সুশীল চন্দ্র দাস। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি সদরপুর উপজেলার নয়টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ ইউনিয়নে সুশীল চন্দ্র দাস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও জমা দিয়েছেন আরও তিনজন।

তাঁরা হলেন, মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল, কাজী জাফর ও ইয়াকুব আলী। এই তিনজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের সমর্থক।

সুশীল দাস (৫৭) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তিনি সদরপুর উপজেলা সদরের পূর্ব শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা এবং আর এ এস নামে একটি ইট ভাটার সত্ত্বাধীকারী।

দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েও কেন মনোনয়নপত্র তিনি জমা দিলেন না, জানতে চাইলে সুশীল চন্দ্র দাস বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে সদরপুর মহিলা কলেজে তৃণমূল পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইকালে আমি অন্য তিন প্রার্থীর সঙ্গে আমার নামও বলেছিলাম। এর পরে অনেক দিন চলে গেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন হয়েছে ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার। সেখানে দেখেছি স্বতন্ত্র সাংসদের প্রার্থীদের দাপুটে বিজয়। অথচ আমাদের নেতা কাজী জাফরউল্লাহ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) একবারও এলাকায় আসেন নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেই। দলীয় মনোনয়নের জন্য যখন ঢাকায় আবেদন করতে বলা হয় আমি তখন আমি সেখানে মনোনয়ন চেয়ে কোনো আবেদন করিনি। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর তালিকা যখন প্রকাশ করা হয় তখন দেখি আমাকে সদরপুর ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমি বিন্দুমাত্র প্রস্তুত ছিলাম না।’

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ‘আমাদের যেদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয় সেদিন সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন সুশীল চন্দ্র দাস। আমরা সেভাবেই কাগজপত্র রেডি করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। এখন শেষ সময়ে এসে তিনি বলছেন তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে নির্বাচন করতে দেবে না। এ জন্য সদর ইউনিয়নে আমাদের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা কাজী জাফরউল্লাহর সঙ্গে আলাপ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁদের একজনকে সমর্থন দেওয়া যায় কী না সেটা ভাবা হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ওটা কাজী জাফরউল্লাহর এলাকা। কাদের মনোনীত করে তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয় সে তালিকা আমাকে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মনোনয়ন পত্র জমা না দেওয়া একটি দুঃখজনক ঘটনা।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত