এক্স-রে মেশিন ১৮ মাস ধরে বারান্দায় বাক্সবন্দী

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২২, ০৭: ২৩
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫৮

নাটোরের বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় প্রায় ১৮ মাস ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় আছে এক্স-রে মেশিন। ফলে একদিকে যেমন সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা, অন্যদিকে মূল্যবান এই আধুনিক যন্ত্রটি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, আধুনিক এই এক্স-রে মেশিন স্থাপনে নতুন অবকাঠামো তৈরি করতে এবং বিদ্যুতের উচ্চ ভোল্টেজের সংযোগ দিতে মেশিনটি বসাতে দেরি হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের জন্য প্রশস্তকরণ এবং সংস্কারকাজের কারণে এক্স-রে মেশিনটি বারান্দায় রাখা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এখনো এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করা হয়নি।

বাগাতিপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস ও জাইকা-সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে হাসপাতালের ব্যবহৃত পুরোনো এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ২০১৮ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নতুন একটি এক্স-রে মেশিনের জন্য আবেদন করেন। পরে স্থানীয় সরকার ও জাইকার সহযোগিতায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি আধুনিক এক্স-রে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি কার্যাদেশ পান নাটোরের ঠিকাদার মীর হাবিবুল ইসলাম। ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে নতুন আধুনিক এক্স-রে মেশিনটি সরবরাহ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ৬ মার্চ তা বুঝে পায়। এর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরেই বাক্সবন্দি হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় টয়লেটের সামনে পড়ে রয়েছে মূল্যবান এই যন্ত্রটি।

উপজেলার জিগরী গ্রামের আসাদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ফেটে গেলে হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখেন এক্স-রে মেশিন নেই। পরে উপজেলার মালঞ্চি বাজারে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বাড়তি টাকা দিয়ে এক্স-রে করিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্স-রে মেশিনের চাহিদা দিলে শুধু মেশিনটি কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অবকাঠামোগত ও বিদ্যুতায়নের সমস্যার কারণে তা স্থাপন করতে না পারায় আবারও নতুন করে প্রায় ১১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সে কাজও শেষ হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি দু-দফা এলজিইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ-সংযোগসহ হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রস্তুত আছে। এখন শুধু মেশিনটি স্থাপনের অপেক্ষায় পড়ে আছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত