রাসেলের ‘পাখিবাড়ি’

মো. শামীমুল ইসলাম, প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ১৮
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ২৭

আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট গ্রামের একটি বাড়িকে এলাকার মানুষ ‘পাখিবাড়ি’ নামেই চেনেন। গ্রাম ছাড়িয়ে উপজেলার অন্যান্য গ্রাম—এমনকি পাশের উপজেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ‘পাখিবাড়ির’ নাম। সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে বাড়িটিকে পাখিদের অভয়াশ্রমে পরিণত করেছেন মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে পয়সারহাট পশ্চিমপাড় বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এ ‘পাখিবাড়ির’ অবস্থান। রাসেল মিয়া জানান, দেশি প্রজাতির পাখির সঙ্গে শীতের সময় ঝাঁকে ঝাঁকে আসা বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি পাশের জলাশয়ে খাবার সংগ্রহ করে। সূর্যাস্ত যাওয়ার আগেই এসে আশ্রয় নেয় বাড়ির বড় গাছের মগডালসহ নিরাপদ ঝোপঝাড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান রাসেল বলেন, গত চার বছরে এ বাড়িতে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজারো পাখি।

রাসেল জানান, শিকারিদের পাখি শিকার থেকে বিরত রাখতে বছরের কয়েকটি মাস দিনের বেশির ভাগ সময়ই বাড়িতে বা আশপাশের এলাকায় অবস্থান করতে হয় তাকে। কোথাও গেলে দুজন নিজস্ব লোককে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ একর আয়তনের বাড়ির বিভিন্ন জাতের প্রায় চার হাজার গাছ রয়েছে। এসব গাছ বুনোহাঁস, পানকৌড়ি, নিশিবক, সাদা বক, লাল বক, মাছরাঙা, ডাহুক, ঘুঘু, সরালি, কুদালিসহ শীতপ্রধান এলাকা থেকে আসা পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়।

স্থানীয় বাকাল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিপুল দাস বলেন, ‘এ বাড়িতে বছরজুড়েই পাখির আনাগোনা। শিকারিরা যেন এই পাখি শিকার করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।’

রাসেল বলেন, ‘পাখির মল ত্যাগের কারণে আমাদের ঘরের টিন প্রায়ই নষ্ট হয়ে গেছে। পাখির বিষ্ঠায় নষ্ট হয় পুকুরের পানি। এতে আর্থিক ক্ষতি হলেও পাখিদের মধ্যে থাকতেই ভালো লাগে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত