কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
দিনে গরম, রাতে শীত—এমন আবহাওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষও। শয্যা ও জনবলসংকট এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিল ১৭০ জন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। শয্যাসংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশপথে রোগীর অভিভাবক ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন। মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু রোগী। ওয়ার্ডের ভেতরে কয়েকটি কক্ষ। সব জায়গাই রোগীতে ঠাসা। রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। প্রায় প্রতিটি রোগীর শয্যার পাশে মেঝেতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্য রোগীরা।
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত এক বছর বয়সী শিশু সাদনানকে গত এক সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়ায় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মা কেয়া খাতুন।
কেয়া খাতুন বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। মাঝেমধ্যে একবারের ওষুধ দুবার দিয়ে দেয়। নার্সদের ডাকতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। গ্যাস দিতে গেলে টাকা নেয়। চরম অব্যবস্থাপনা এখানে।’
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন নিপা খাতুন বলেন, ‘ঠান্ডা-জ্বরের জন্য কয়েক দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে শত শত মানুষের ভিড়। ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শয্যাসংকটের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম।’
রুপালী খাতুন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এখানে রোগীর চাপ বেড়েছে। এখানে আসা রোগীর অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু। ধারণক্ষমতার থেকে কয়েক গুণ বেশি রোগী এখানে ভর্তি রয়েছে।
রুপালী খাতুন আরও বলেন, ‘আমাদের নার্স মাত্র ছয়জন। এত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবু সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।
তবে রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন মখলেছুর রহমান বলেন, ‘বেড না পাওয়ার জন্য বারান্দায় বিছানা পেতে আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি। বেডের ওপর দিয়ে মানুষজন চলাচল করছে। অনেকে হাত-পায়ের ওপর পা ফেলছেন। মানুষের ভিড়ে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একদিকে বেড-সংকট, অন্যদিকে ডাক্তারও কম। ঠিকমতো ডাক্তার আসে না। চিকিৎসাসেবা পেতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩৫০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর অধিকাংশই নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। তবে এই চাপ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘লোকবল ও শয্যাসংকটের কারণে সেবা দিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এ সময় শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতন ও যত্নবান থাকার পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দিনে গরম, রাতে শীত—এমন আবহাওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষও। শয্যা ও জনবলসংকট এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
গত বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিল ১৭০ জন। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। শয্যাসংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশপথে রোগীর অভিভাবক ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন। মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু রোগী। ওয়ার্ডের ভেতরে কয়েকটি কক্ষ। সব জায়গাই রোগীতে ঠাসা। রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। প্রায় প্রতিটি রোগীর শয্যার পাশে মেঝেতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্য রোগীরা।
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত এক বছর বয়সী শিশু সাদনানকে গত এক সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়ায় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মা কেয়া খাতুন।
কেয়া খাতুন বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। মাঝেমধ্যে একবারের ওষুধ দুবার দিয়ে দেয়। নার্সদের ডাকতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। গ্যাস দিতে গেলে টাকা নেয়। চরম অব্যবস্থাপনা এখানে।’
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন নিপা খাতুন বলেন, ‘ঠান্ডা-জ্বরের জন্য কয়েক দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে শত শত মানুষের ভিড়। ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শয্যাসংকটের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম।’
রুপালী খাতুন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এখানে রোগীর চাপ বেড়েছে। এখানে আসা রোগীর অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু। ধারণক্ষমতার থেকে কয়েক গুণ বেশি রোগী এখানে ভর্তি রয়েছে।
রুপালী খাতুন আরও বলেন, ‘আমাদের নার্স মাত্র ছয়জন। এত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবু সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।
তবে রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন মখলেছুর রহমান বলেন, ‘বেড না পাওয়ার জন্য বারান্দায় বিছানা পেতে আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি। বেডের ওপর দিয়ে মানুষজন চলাচল করছে। অনেকে হাত-পায়ের ওপর পা ফেলছেন। মানুষের ভিড়ে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একদিকে বেড-সংকট, অন্যদিকে ডাক্তারও কম। ঠিকমতো ডাক্তার আসে না। চিকিৎসাসেবা পেতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩৫০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর অধিকাংশই নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। তবে এই চাপ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘লোকবল ও শয্যাসংকটের কারণে সেবা দিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এ সময় শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতন ও যত্নবান থাকার পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে