জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ২১
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩০

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৩০ বছর আগে নির্মিত একটি সেতু বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। জরাজীর্ণ সেতুটির ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম বাগধা ও কালারবাড়ি গ্রাম-সংলগ্ন খালের ওপর ত্রিশ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ৮ বছর পরেই এটির সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যায়। এতে করে সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি অচলাবস্থার কারণে চলাচলের একদম অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ শিশু ও বৃদ্ধরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুপাশের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে একপাশ খালের মধ্যে হেলে পড়েছে। সেতুর পাটাতনগুলো ভেঙে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যান যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেতু পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

পশ্চিম বাগধা গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মোল্লা বলেন, ‘পাটাতন ধসে যাওয়ার পর সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে কোনোরকমে পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।’

জয়রামপট্টি গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়া জানান, সেতুটিতে মানুষ উঠলে কখনো ডানে অথবা কখনো বামে কাত হয়ে যায়। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর ধরে শুনছি সেতুটি মেরামত করা হবে। কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুস্তম মিয়া বলেন, ‘সেতুটি সংস্কার করা হলে বাগধা, আমবৌলা, জয়রামপট্টি ও পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। সেতুটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করব।’

বাগধা ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘পশ্চিম বাগধা কালারবাড়ি গ্রামের পাশে অবস্থিত খালের ওপর ওই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শিবলু কর্মকার বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই বেহাল। সেতুটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত