আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত

মুফতি আবু দারদা
Thumbnail image

‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ সব প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ তাআলার কোনো অনুগ্রহ পেলে তাঁর প্রশংসা করা মুমিনের কর্তব্য। তাই কোনো সুখবর, অর্জন, আনন্দের সংবাদে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। পবিত্র কোরআনের একাধিক সুরা আল্লাহ তাআলা আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দিয়ে শুরু করেছেন। এখানে আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত তুলে ধরা হলো—
মহানবী (সা.) আলহামদুলিল্লাহকে সর্বোত্তম দোয়া আখ্যা দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বোত্তম ফজিলতপূর্ণ বাক্য এবং সর্বোত্তম দোয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা সব থেকে বেশি নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন। এ জন্য তিনি নিজের প্রশংসা করেছেন, এবং আমাদেরও (আলহামদুলিল্লাহ জাতীয় বাক্যে) তাঁর প্রশংসার নির্দেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি)

আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত অগণিত। এই শব্দ হাশরের ময়দানে কাজে আসবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ মিজান (হাশরের মাঠের আমল মাপার যন্ত্র) পূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দুটি আসমান ও জমিনের খালি জায়গা পূর্ণ করে দেয়।’ (মুসলিম)

অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যদি আমার কোনো উম্মতকে পুরো দুনিয়া দিয়ে দেওয়া হয় আর সে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তাহলে এই শব্দ পুরো দুনিয়া থেকে উত্তম। (অর্থাৎ, পুরো পৃথিবী পেয়ে যাওয়া এত বড় নিয়ামত নয়, যা আলহামদুলিল্লাহ বলার মধ্যে রয়েছে। কারণ এই পৃথিবী তো একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু আলহামদুলিল্লাহর সওয়াব থেকে যাবে।)’ (ইবনে মাজাহ)

সামুরা বিন জুনদুব (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় বাক্য চারটি—সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার।...’ (মুসলিম)

মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে সদা প্রস্তুত থাকতে বললেন সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা ফিরে আসছে কি?

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আনছে বাংলালিংকের মালিক ভিওন

মাস্কের চাপেই ডিওজিই থেকে রামাস্বামীর পদত্যাগ, শুরুতেই ট্রাম্প প্রশাসনে অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত

বিএসএফ মোকাবিলায় বিজিবিই ‘এনাফ’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত