আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটার চক্রের ভয়ে ধান রোপণ বন্ধ হয়ে গেছে ১৪ কৃষকের। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকায় ওই কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, খিদিরপুর এলাকার তিন ফসলি জমিগুলো খালি পড়ে রয়েছে। অথচ এই সময় জমিতে ধান রোপণ করার কথা। জমির আইল কেটে পানি চলাচলের জন্য নালার ব্যবস্থাও করেছিলেন কৃষকেরা। এ ছাড়া জমিসহ সব ধরনের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু মাটি কাটার চক্রের গাড়ি চলাচলের রাস্তার কারণে সেচপাম্প স্থাপন করতে পারেননি কৃষক। এ কারণে সেখানে আর ধান রোপণ করা হয়নি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে মাটি কাটছে কয়েকটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কৃষকদের ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। সেচপাম্প স্থাপন করলে মাটির গাড়িগুলো যাওয়ায় রাস্তা ভিজে যাবে, এতে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হবে। এ ভয়ে সেচপাম্প স্থাপন করা হয়নি।
খিদিরপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস বলেন, ‘এবার পানির পাম্প মেশিন (সেচ) বসানো হয়নি। তাই আমরা ধান রোপণ করতে পারিনি। আমাদের জমিগুলো খালি পড়ে রয়েছে।’
কৃষক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘খিদিরপুরের তিন ফসলি জমি খনন করে গভীর জলাশয়ে পরিণত করা হচ্ছে। যেসব জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, তার পাশের জমি এমনিতেই ভেঙে পড়ছে। তাই অনেকে অসহায় হয়ে জমির মাটি দিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।’
কৃষক আওয়াল হোসেন বলেন, ‘যেখান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ১০৫ শতক ধানের আবাদি জমি রয়েছে। পূর্ব পাশে ধানের জমির ওপর দিয়ে মাহিন্দ্রা চলাচলের রাস্তা বানানো হয়েছে। শুনেছি বরকত এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।’
আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চকে (ফসলি জমি) কয়েকটি চক্র মাটি ও জমি খনন করে বালু বিক্রি করছে, তাদের ভয়ে কৃষকেরা মুখ খুলতে পারেন না। কিছু বলতে গেলে ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধমকি দেয়। কৃষকেরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এবার সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ধান রোপণ করতে পারেননি। এগুলো সবই তিন ফসলি জমি। জমিগুলো এবার পড়ে রইল।
খিদিরপুর গ্রামের পানির পাম্পের (সেচ) মালিক মো. আরশাদ বলেন, ‘সরিষা ওঠানোর পর আমরা যে ধান রোপণ করি, এবার তা পারিনি। আমার জমির যে স্থানে পানির পাম্প স্থাপন করি, সেখান দিয়ে মাটির গাড়িগুলো যায়। পাম্প স্থাপন করলে জমি ভিজা থাকে, মাটির গাড়িগুলো যাওয়া-আসা করতে পারবে না। তারা আমার যন্ত্র উঠিয়ে দেবে। এই ভয়ে এবার পানির পাম্প যন্ত্র বসাইনি।’
লতব্দী ইউপির চেয়ারম্যান হাফেজ ফজলুল হক বলেন, পাঁচ বছর আগেও ইউনিয়নটির সর্বত্র ফসলি জমি ছিল। চোখজুড়ানো ফসল হতো। সব কটি জমিই তিন ফসলি ছিল। কয়েক বছর ধরে ইকবাল, জহির, জুয়েল, বরকত, শামীম, শাহিন, জনি চক্র ইউনিয়নের খিদিরপুর, চন্ডিবর্দি এলাকার মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। ফসলি জমিগুলো বড় আকারের নদীতে পরিণত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
লতব্দী ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘খিদিরপুর এলাকার কয়েকজন কৃষক আমাকে বলেছেন, তাঁরা চলতি মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা না থাকায় বোরো চারা রোপণ করতে পারেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। ’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটার চক্রের ভয়ে ধান রোপণ বন্ধ হয়ে গেছে ১৪ কৃষকের। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকায় ওই কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, খিদিরপুর এলাকার তিন ফসলি জমিগুলো খালি পড়ে রয়েছে। অথচ এই সময় জমিতে ধান রোপণ করার কথা। জমির আইল কেটে পানি চলাচলের জন্য নালার ব্যবস্থাও করেছিলেন কৃষকেরা। এ ছাড়া জমিসহ সব ধরনের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু মাটি কাটার চক্রের গাড়ি চলাচলের রাস্তার কারণে সেচপাম্প স্থাপন করতে পারেননি কৃষক। এ কারণে সেখানে আর ধান রোপণ করা হয়নি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে মাটি কাটছে কয়েকটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কৃষকদের ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। সেচপাম্প স্থাপন করলে মাটির গাড়িগুলো যাওয়ায় রাস্তা ভিজে যাবে, এতে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হবে। এ ভয়ে সেচপাম্প স্থাপন করা হয়নি।
খিদিরপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস বলেন, ‘এবার পানির পাম্প মেশিন (সেচ) বসানো হয়নি। তাই আমরা ধান রোপণ করতে পারিনি। আমাদের জমিগুলো খালি পড়ে রয়েছে।’
কৃষক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘খিদিরপুরের তিন ফসলি জমি খনন করে গভীর জলাশয়ে পরিণত করা হচ্ছে। যেসব জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, তার পাশের জমি এমনিতেই ভেঙে পড়ছে। তাই অনেকে অসহায় হয়ে জমির মাটি দিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।’
কৃষক আওয়াল হোসেন বলেন, ‘যেখান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ১০৫ শতক ধানের আবাদি জমি রয়েছে। পূর্ব পাশে ধানের জমির ওপর দিয়ে মাহিন্দ্রা চলাচলের রাস্তা বানানো হয়েছে। শুনেছি বরকত এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।’
আরও কয়েকজন কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চকে (ফসলি জমি) কয়েকটি চক্র মাটি ও জমি খনন করে বালু বিক্রি করছে, তাদের ভয়ে কৃষকেরা মুখ খুলতে পারেন না। কিছু বলতে গেলে ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধমকি দেয়। কৃষকেরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এবার সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ধান রোপণ করতে পারেননি। এগুলো সবই তিন ফসলি জমি। জমিগুলো এবার পড়ে রইল।
খিদিরপুর গ্রামের পানির পাম্পের (সেচ) মালিক মো. আরশাদ বলেন, ‘সরিষা ওঠানোর পর আমরা যে ধান রোপণ করি, এবার তা পারিনি। আমার জমির যে স্থানে পানির পাম্প স্থাপন করি, সেখান দিয়ে মাটির গাড়িগুলো যায়। পাম্প স্থাপন করলে জমি ভিজা থাকে, মাটির গাড়িগুলো যাওয়া-আসা করতে পারবে না। তারা আমার যন্ত্র উঠিয়ে দেবে। এই ভয়ে এবার পানির পাম্প যন্ত্র বসাইনি।’
লতব্দী ইউপির চেয়ারম্যান হাফেজ ফজলুল হক বলেন, পাঁচ বছর আগেও ইউনিয়নটির সর্বত্র ফসলি জমি ছিল। চোখজুড়ানো ফসল হতো। সব কটি জমিই তিন ফসলি ছিল। কয়েক বছর ধরে ইকবাল, জহির, জুয়েল, বরকত, শামীম, শাহিন, জনি চক্র ইউনিয়নের খিদিরপুর, চন্ডিবর্দি এলাকার মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। ফসলি জমিগুলো বড় আকারের নদীতে পরিণত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
লতব্দী ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘খিদিরপুর এলাকার কয়েকজন কৃষক আমাকে বলেছেন, তাঁরা চলতি মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা না থাকায় বোরো চারা রোপণ করতে পারেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। ’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে