ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী অফিসে প্রশিক্ষণের ৯ লাখ টাকার হদিস মিলছে না। অভিযোগ উঠেছে, দায় এড়াতে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) ও বর্তমান হিসাবরক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে এ টাকা তোলা হয়। তবে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারছেন না তাঁরা।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ (উদকনিক) প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের বাস্তবায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চারটি ব্যাচে ১৯২ জনকে প্রশিক্ষণের কথা ছিল। এতে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। সেই মোতাবেক ৩টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় একটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাদ পড়া ব্যাচের প্রশিক্ষণের ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংকের ৩৩৮৮০০০৫ নম্বর হিসাব থেকে তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুল হুদা এবং বর্তমান হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নেন। সেই টাকা তাঁরা নিজেদের কাছে রেখে দেন। এর কিছুদিন পর আরডিও মো. সামছুল হুদা বদলি হন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, করোনার কারণে প্রশিক্ষণ না হওয়ায় ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) স্যারকে দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাতে হাতে এ টাকা দেওয়া হয়। কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নাই।’ তবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রকল্প পরিচালককে টাকা কেন দেন? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুল হুদা বলেন, ‘টাকা তোলার পর অফিসের সব কর্মচারীর সামনে টাকা হিসাবরক্ষকের কাছে জমা রাখা হয়। আমি বদলি হয়ে চলে আসায় পরে সেই টাকা কী হয়েছে তা জানি না।’
বর্তমান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোছা. উম্মে কুলছুম বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার আগে বিষয়টি ঘটেছে। আমি শুনেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
উদকনিক প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো টাকা কেউ আমাকে দেয়নি। তা ছাড়া সরকারি টাকা হাতে হাতে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমি শুনেছি। খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী অফিসে প্রশিক্ষণের ৯ লাখ টাকার হদিস মিলছে না। অভিযোগ উঠেছে, দায় এড়াতে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) ও বর্তমান হিসাবরক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে এ টাকা তোলা হয়। তবে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারছেন না তাঁরা।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ (উদকনিক) প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের বাস্তবায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চারটি ব্যাচে ১৯২ জনকে প্রশিক্ষণের কথা ছিল। এতে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। সেই মোতাবেক ৩টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় একটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাদ পড়া ব্যাচের প্রশিক্ষণের ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংকের ৩৩৮৮০০০৫ নম্বর হিসাব থেকে তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুল হুদা এবং বর্তমান হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নেন। সেই টাকা তাঁরা নিজেদের কাছে রেখে দেন। এর কিছুদিন পর আরডিও মো. সামছুল হুদা বদলি হন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, করোনার কারণে প্রশিক্ষণ না হওয়ায় ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) স্যারকে দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাতে হাতে এ টাকা দেওয়া হয়। কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নাই।’ তবে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রকল্প পরিচালককে টাকা কেন দেন? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে তৎকালীন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুল হুদা বলেন, ‘টাকা তোলার পর অফিসের সব কর্মচারীর সামনে টাকা হিসাবরক্ষকের কাছে জমা রাখা হয়। আমি বদলি হয়ে চলে আসায় পরে সেই টাকা কী হয়েছে তা জানি না।’
বর্তমান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোছা. উম্মে কুলছুম বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার আগে বিষয়টি ঘটেছে। আমি শুনেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
উদকনিক প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো টাকা কেউ আমাকে দেয়নি। তা ছাড়া সরকারি টাকা হাতে হাতে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমি শুনেছি। খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে