Ajker Patrika

ইভিএম নিয়ে ঠিক কথা বলছেন কে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২২, ১২: ০১
ইভিএম নিয়ে ঠিক কথা বলছেন কে

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ আসনেই এ প্রযুক্তির ব্যবহার চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইসিরও দাবি, এ মেশিনে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া অসম্ভব। আর ভোটের গোপনীয়তা নিয়ে তো কথাই নেই।

এরই মধ্যে ইভিএম নিয়ে গত রোববার পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেলের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে রাসেল বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ তাঁর এই বক্তব্য ইভিএম নিয়ে বিতর্ককে আবার উসকে দিয়েছে।

গত জুন মাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর একটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ইভিএম মানে কী জানো? তোমার আঙুল, কিন্তু টিপ দেব আমি। ওটাই হলো সুষ্ঠু ভোট।’

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা যখন এসব মন্তব্য করেন ইভিএমসহ কমিশনের চলমান কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়ে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার। তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের নেতাদের এসব বেফাঁস কথা পরিহার করা উচিত।

আর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনি (জোবায়দুল হক রাসেল) ঠিকই বলেছেন। এখানে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করা যায়। ইভিএম একটা নিকৃষ্ট যন্ত্র, এটা প্রতিষ্ঠিত। কারণ, এখানে পুনর্গণনার সুযোগ নেই। ভোট নিয়ে ইসি যে তথ্য দেবে, সেটাই মেনে নিতে হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে গত মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বিএনপিসহ ১১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। বাকি ২৮টি দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ চারটি দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ভোট নেওয়ার দাবি করে। অন্য তিনটি দল হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি। অন্যরা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের কথাই তুলে ধরে ইসির সংলাপে।

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম করার কথা ওঠে। পরে ভোটে ইভিএমের সুফল বর্ণনা করে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

ইসির সঙ্গে বৈঠকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, ইসির কার্যক্রমে ইভিএমসহ প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের ফলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘ব্যালটে আমার নিজেরও অভিজ্ঞতা আছে কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করে এক ঘণ্টায় দু-তিন শ সিল মেরে ভরাট করেছে। আপনারা পাশে থেকেও তো ওটা বন্ধ করতে পারেননি। সেদিক থেকে ইভিএমে যদি কোনো দোষ-ত্রুটি থেকে থাকে, আমি ইভিএম বিশেষজ্ঞ না, তার পরও আমি এ পর্যন্ত যতটুকু ইভিএম দেখেছি ইতিবাচক দিকগুলো অনেক বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত