Ajker Patrika

ঘাটতি হবে না কোরবানির পশুর

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২২, ১১: ০৪
ঘাটতি হবে না কোরবানির পশুর

পটুয়াখালীতে এবার কোরবানির পশুর ঘাটতি হবে না। বরং জেলায় প্রয়োজনের তুলনায় ছয় হাজার গবাদিপশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর খামারগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের মালিক ও শ্রমিকেরা। সরেজমিনে জেলার কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু সারিবদ্ধভাবে বেঁধে পরিচর্যা করছেন খামারি ও শ্রমিকেরা।

জানা যায়, পটুয়াখালীর এসব খামারে দেশি পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে বেশি থাকায় পটুয়াখালীর পশু জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করছেন খামারিরা।

পটুয়াখালীর গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম হাওলাদার ২০১৮ সালে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। পরে তাঁর খামারে একটি গরুর বাছুর জন্ম নিলে নাম রাখেন ‘পটুয়াখালীর রাজা’। যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন। বর্তমানে ছোট্ট সেই বাছুর রাজার ওজন ২৫ মণ। তাকে কোরবানির হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন এই খামারি। দাম হাঁকছেন ৮ লাখ টাকা।

শামীম হাওলাদার বলেন, ‘এই গরুটির যখন জন্ম হয়, ভালোবেসে নাম রেখেছিলাম পটুয়াখালীর রাজা। ঈদুল আজহা এসেছে, তাই এখন এটি হাটে বিক্রি করতে চাচ্ছি। দাম বলছি ৮ লাখ টাকা।’

শামীম আহমেদের মতো ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণ শেষে হাটে ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালী জেলার খামারিরা।

সদর উপজেলার খামারি কামাল হোসেন বলেন, ‘অনেকগুলো গরু মোটাতাজা করে বিক্রির উপযোগী করে তুলেছি। আমার খামারের গরুগুলো আকারে বেশ বড়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটার ওজন ৮ মণ। দাম ২ লাখ টাকা। এর । সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন হাটে ওঠানোর পালা। আশা করি ভালো দাম পাব।’

সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চান্দু গ্রামের মো. মাসুদ বলেন, ‘এবার কোরবানিতে বিক্রির জন্য ৮০টি গরু প্রস্তুত করেছি। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু মোটাতাজা করতে খরচ বেশি হয়েছে আগের তুলনায়। তারপরও লাভের আশায় বিনিয়োগ করেছি। ’

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পটুয়াখালী জেলায় ৩ হাজার ৫৯৫টি খামার রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫টি পশুর চাহিদা ঠিক করা হয়েছে। তবে জেলায় মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০টি গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পটুয়াখালীতে চাহিদার থেকে ৬ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে পশু বিক্রির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত