Ajker Patrika

সিনেমাটি চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও দর্শকদের মুগ্ধ করবে

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ০৪
সিনেমাটি চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও দর্শকদের মুগ্ধ করবে

২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। ফেরেশতে সিনেমাসহ নানা প্রসঙ্গে শিমুর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আপনার অভিনীত ফেরেশতে প্রদর্শিত হবে। সিনেমাটি নিয়ে বলুন।
বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও রীতিনীতির সৌন্দর্য চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে ফেরেশতে সিনেমায়। আমার মনে হয়, সিনেমাটি চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও দর্শকদের মুগ্ধ করবে। গত বছর গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে। আমার চরিত্রটি নিয়ে এখনই বলতে চাচ্ছি না। এটা সারপ্রাইজ হিসেবেই রাখতে চাই। এ মাসে শুরু হতে যাওয়া দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এটি। বছরের শুরুতে এমন একটি খবর সত্যি আনন্দের।

সিনেমাটি দেখার সুযোগ হয়েছে?
গোয়াতে সিনেমার প্রিমিয়ারে আমি যেতে পারিনি। এখনো পুরো সিনেমাটি দেখার সুযোগ হয়নি। সিনেমাটি দেখার অপেক্ষায় আছি। ঢাকায় দেশের দর্শকের সঙ্গে প্রথমবার সিনেমাটি দেখার সুযোগ পাচ্ছি। বাংলাদেশের দর্শকেরা সুন্দর একটি গল্প দেখতে পারবে।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মর্তুজা অতাশ জমজম। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
তিনি ইরানের হলেও সিনেমার বিষয়বস্তু নিপুণভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। সিনেমাটি দেখলেই দর্শক তা বুঝতে পারবে। তাঁর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কাজের ব্যাপারে উনি খুব গোছানো এবং সিনসিয়ার।

এতে আপনার সহশিল্পী ছিলেন জয়া আহসান। সহশিল্পী হিসেবে তিনি কেমন?
জয়া আপু খুবই কো-অপারেটিভ। আমরা কাজের সময় অনেক মজা করেছি।

গত বছর জয়া আহসানের সঙ্গে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে যৌথভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কেমন ছিল সেই অনুভূতি?
যেকোনো পুরস্কার পাওয়া অনেক আনন্দের। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যেকোনো শিল্পীর জন্য বিরাট পাওয়া। জয়া আপার মতো গুণী অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে পুরস্কার পাওয়া আমার জন্য গর্বের। এই পুরস্কার আমাকে সামনে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে। আরও একটি ভালো লাগার বিষয় ছিল—‘শিমু’ সিনেমাটি মোট চারটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশে পুরস্কার জিতেছে। তবে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি একেবারেই ভিন্ন রকম। 

‘রানওয়ে’, ‘মাটির প্রজার দেশে’, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ প্রতিটি সিনেমাই একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। সিনেমা চূড়ান্ত করার আগে আপনি কোন বিষয়টি প্রাধান্য দেন? 
গল্প এবং চরিত্র। রানওয়েতে কাজ করার সময় মনে হয়েছিল, সিনেমা বোধ হয় এ রকমই হয়। তার পর থেকে এ ধরনের চিত্রনাট্যই বাছাই করেছি। 

২০১০ সালে রানওয়ে সিনেমার মাধ্যমে প্রথম বড় পর্দায় কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে আপনার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা তুলনায় কম। এর কারণ কী?
আমি কখনো কাজের সংখ্যা বিচার করি না। এ কারণেই হয়তো আমার কাজের সংখ্যা কম। গল্প এবং চরিত্র পছন্দ হলে আমি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সব সময় চিন্তা করি, যে চরিত্রটি করছি, সেটি ঠিকভাবে করতে পারছি কি না। 

ওটিটিতেও কাজ করেছেন। সেখানেও অনিয়মিত। কেন? 
আমি তো কাজ করতে চাই। কিন্তু গল্প পছন্দ না হলে রাজি হই না। সিনেমা হোক কিংবা ওটিটি, অর্থাৎ মাধ্যম বড় বিষয় নয়। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে হ্যাঁ বলতে সময় নিই না। কাজে নেমে পড়ি। আর একটা বিষয় হলো, আমি একটু সময় নিয়ে কাজ করতে চাই, যেন চরিত্রটিকে পর্দায় বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত