প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশা

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ২৪
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ২১

টাঙ্গাইল-৭ আসনের (মির্জাপুর) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। মনোনয়ন ফিরে পেতে গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলে দলের শীর্ষ নেতারাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন। ঋণখেলাপে কারণে গত সোমবার সন্ধ্যায় খান আহমেদ শুভর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

খান আহমেদ শুভ জানান, ব্যক্তিগতভাবে তাঁর নামে কোনো ঋণ নেই। একজনের ঋণের গ্যারান্টার (জিম্মাদার) ছিলেন। ওই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ে জানায়নি। তাই খেলাপির তালিকায় নাম এসেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আপিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে আশা করেন।

মনোনয়ন ফিরে পেতে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাওয়ার কুমারজানী মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজ মিয়া, মধ্যপাড়া (দক্ষিণ) জামে মসজিদে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ দুলাল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আন্ধরা জামে মসজিদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাণ্ঠালিয়া জামে মসজিদে শফিকুল ইসলাম, পোস্টকামুরী দক্ষিণপাড়া জুয়েল ও মুসলিমপাড়ায় মারুপ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে ঋণখেলাপির কারণে শুভর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। শুভর প্রার্থিতা ছাড়াও বৈরাবরী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় খতিব খান নামক এক ব্যক্তির ৬ লাখ টাকার একটি ঋণের জিম্মাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। এ ঋণ খেলাপ হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ দলের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন জানিয়ে বলেন, আপিলে খান আহমেদ শুভ তাঁর মনোনয়ন ফিরে পাবেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিয়াজ উদ্দিন বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের খবরটি ভালো লাগেনি। এক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।

উপজেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন মির্জাপুর শাখার সভাপতি অধ্যাপক শক্তিপদ ঘোষ বলেন, একাধিক প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হয় না। আওয়ামী লীগ বড় দল। আপিলে শুভ প্রার্থিতা ফিরে পেলে উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ১৬ জানুয়ারি এই আসনে উপনির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ সাতজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ১৬ নভেম্বর মির্জাপুর আসনের চারবারের নির্বাচিত সাংসদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত