উচ্ছ্বসিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২২, ১৬: ৪১
Thumbnail image

করোনার কারণে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সারা দেশের মতো সিলেটের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও গতকাল বুধবার খুলেছে। প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে উচ্ছ্বসিত কোমলমতি শিশুরা। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ক্লাসে ফিরেছেন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমেল আহমেদ বলে, স্কুলে না আসলে ভালো লাগে না। স্কুল খুলেছে, তাই খুশি লাগছে।

নগরীর মদীনামার্কেট এলাকার দি হোমস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নোমান আহমেদের মা সাথী আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাসার সামনে খেলার জায়গা নেই। তাই স্কুলে গেলে খেলার সুযোগ পেত নোমান। স্কুল বন্ধ হওয়ায় তার খেলাধুলাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই স্কুল খোলার খবর পেয়ে সে অনেক উচ্ছ্বাসিত।’

নগরীর উত্তর বাগবাড়ি এলাকার মেধালয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুগ্ধ রায় বলে, ‘স্কুল বন্ধ থাকলে পড়তে ভালো লাগে না। খেলাধুলাও করতে পারি না। স্কুল যেন আর বন্ধ না হয়।’

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে প্রতিদিন (সপ্তাহে ছয় দিন)। তবে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধই থাকছে। করোনার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীকালে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সব বিদ্যালয় দুই ধাপে পরিচালিত হবে। তবে কোনো সমাবেশ হবে না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসা নিরুৎসাহিত করতে হবে। টিকা দেওয়া ছাড়া কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারবেন না।

আখালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলছে, তাই আমরা বাচ্চাদের বরণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আজ প্রথম দিনে অনেক শিক্ষার্থী এসেছে। আমরা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের করোনা সচেতনতায় সরকারি নির্দেশনা মানার অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করেছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেবনাথ, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছি। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি করোনা সচেতনতায় শিক্ষকদের জের দিতে বলেছি। আজও (গতকাল) আমরা বেশ কিছু বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন তাই শিক্ষার্থী তুলনামূলক কম ছিল। তবে ক্লাস চলমান হলে সব শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরবে বলে আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা অনেক সচেতন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখেছি। আমরা চাই সব শিশু সুস্থ শরীরে বিদ্যালয়ে আসুক। এ জন্য অভিভাবকদের একটু সচেতন হতে হবে। এখন শীত শেষে হয়ে গরম পড়ছে। শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। পাশাপাশি করোনাকাল এখনো শেষ হয়নি। তাই অভিভাবকদের বাচ্চাদের প্রতি অনেক সচেতন হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নজর দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

আয়রন রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট পরবে পুলিশ

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

সিলেটে রিসোর্টে ৮ তরুণ-তরুণীকে জোর করে বিয়ে, কিছু না করেই ফিরে এল পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত