স্কুলের জায়গা দখল করে ঘর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শরিফনগর গ্রামের বাসিন্দা কুমোদ চন্দ্র দাস ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভূমিতে ঘর নির্মাণ করায় এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার শরিফনগরে বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত করেন প্রয়াত জমিদার কালী প্রসন্ন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা চারটি দাগে ৩১ শতক ভূমি বিদ্যালয়টির নামে দানপত্র করে দেন, যার মধ্যে ১৫ শতকে বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে। বাকি ১৬ শতকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ও কিছু জমি পতিত রয়েছে। পতিত পাঁচ শতক ভূমি দখলে নিতে প্রথমে কুমোদ চন্দ্র দাস কাঁচা ঘর নির্মাণ করে থাকা শুরু করেন। সম্প্রতি সেই জায়গা একরকম জোর করে পুরোপুরি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে ১৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা জাহান রুহি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও সুলতানা সালেহা সুমী ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে ওই জায়গায় উভয় পক্ষকে কোনো ধরনের কাজ না করতে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। কিন্তু ইউএনও ছুটিতে থাকায় আবারও ঘর নির্মাণ শুরু করেন কুমোদ চন্দ্র দাস ও তাঁর ছেলেরা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জীবন চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা জায়গাটি জোর করে দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষপর্যন্ত আমরা যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিই; কিন্তু কুমোদ দাস প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও ঘর নির্মাণ করছেন।’

অভিযুক্ত কুমোদ চন্দ্র দাসের ছেলে টনি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাদীপক্ষকে ১৪৪ ভায়োলেশন কেস এবং উচ্ছেদ মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। তদন্তানুযায়ী রিপোর্ট দেব। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।’

হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মাওলা বলেন, ‘ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত