Ajker Patrika

ঝুঁকিপূর্ণ ২৯ ভোটকেন্দ্র

সিলেট, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৪
ঝুঁকিপূর্ণ ২৯ ভোটকেন্দ্র

সিলেটে প্রথম তিন ধাপের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও চতুর্থ ধাপে সহিংসতায় মারা যান একজন। ফলে পঞ্চম ধাপে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা। এই শঙ্কা ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যেই আজ জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ১৮ ইউপিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনে দুই উপজেলার ২৯টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভোটারদের মধ্যে শঙ্কার মূল কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। উপজেলার ১৮ ইউপিতে ১৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকার প্রার্থীরা। মূলত তাঁদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণেই কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।

জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল, বীরশ্রী, কাজলসার, খলাছড়া, জকিগঞ্জ, সুলতানপুর, বারঠাকুরী, কসকনকপুর ও মানিকপুর ইউপি এবং কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম, দিঘীরপার, সাতবাক, বড়চতুল, কানাইঘাট, দক্ষিণ বাণীগ্রাম, ঝিংগাবাড়ী ও রাজাগঞ্জ ইউপিতে আজ ভোট হচ্ছে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৯৮ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৭৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই উপজেলার ১৭২টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৭ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের ভোটার আরজু মিয়া বলেন, ‘সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে গোলাপগঞ্জে সহিংসতা হয়েছে। গুলিতে একজন মারা গেছেন। তাই কেন্দ্রে যেতে ভয় হচ্ছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের সবার প্রভাব রয়েছে। তাই কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সাধারণ ভোটার হিসেবে আমাদের চাওয়া থাকবে শান্তিপূর্ণ ভোট যাতে হয়।’

নির্বাচনে প্রকাশ্যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। প্রকাশ্যে কেউ বিএনপির ব্যানারে প্রচার না চালালেও বিএনপির তৃণমূল নেতারা ঠিকই আছেন ভোটের মাঠে। ফলে জয় পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন বিএনপির এসব নেতা। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে ১৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে কানাইঘাটে ১৩ জন ও জকিগঞ্জের চারজন রয়েছেন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানান, ভোট নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটের দিন কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। আশা করছি ভোট শান্তিপূর্ণ হবে।

সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মোহাম্মদ মিঞা বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত