দুবলারচরের শুঁটকিপল্লি নিয়ে সিকৃবির গবেষণা

সিলেট সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ০১
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০৩

বঙ্গোপসাগরের পাড়ে সুন্দরবনের দুবলারচরে গড়ে উঠেছে বিশাল শুঁটকিপল্লি। লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, রুপচাঁদা, খলিশা, ইছা, ভেদা, পোয়াসহ অন্তত ১০০ প্রজাতির শুঁটকি তৈরি হয় এ পল্লিতে। বর্তমানে বাংলাদেশের শুঁটকি অর্থনীতির কেন্দ্র এটি।

এই বিশাল শুঁটকি খাত নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একদল গবেষক। মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধীনে এই গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুবলার চরের শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ও শুঁটকি শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে এই গবেষণায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের আওতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপ ঘূর্ণিঝড়েরমতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তারপ্রভাব কত দূর বিস্তৃত হচ্ছে তাই মূলত পর্যালোচনা করা হবে এই গবেষণায়।

গবেষণা কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, ‘দুবলার চরে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জেলেরা সাগর থেকে মাছ ধরে আনেন এবং তা শুঁটকি করেন। আমাদের এই গবেষণা কার্যক্রমের উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। একই সঙ্গে দুবলার চরে উৎপাদিত শুঁটকির মান নিয়েও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত